আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সতেরো (পর্ব: -১)

অতীতকে নিয়ে নস্টালজিক হতে ভালোবাসি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেও।

এইচ এস সি পরীক্ষার আগে মাথায় ব্রিলিয়ান্ট সব আইডিয়া এসে ভীড় করতে লাগলো। যেমন: বাসা থেকে পরীক্ষার ঠিক আগে পালিয়ে যাওয়া যায় কিনা, কবিতা লিখে জীবন পার করে দিতে পারবো কিনা, "আমি তো মেয়ে, আমার পড়াশুনা করার দরকার কি?" বললে ফেমিনিস্টরা আমাকে মেরে ফেলবে কিনা ইটিসি ইটিসি। এসব আকাশ ছোঁয়া আইডিয়ার মধ্যে একদিন এরকম একটা ব্যাপার ভেবে ফেললাম, যেটা বাস্তবায়ীত করতে হলে মরতে হবে না - আমি ঠিক করলাম, একটা গল্প লিখবো! আমার আশেপাশের অনেকগুলো মানুষকে মিশিয়ে এক একটা চরিত্র বানিয়েছি। দশজনের কাছ থেকে এক টুকরো করে নিয়ে, তারপর সেটাতে কিছু মশলা মাখিয়েছি।

তাই গল্পের মাঝে রিয়েলিটির ক্লু খুঁজতে গেলে নিরাশ হবেন। ভালো লাগলে অবশ্যই জানাবেন, খারাপ লাগলেও জানাতে দ্বিধা করবেন না। আমি গল্পকার নই, কিন্তু চেষ্টা করতে অসুবিধা কি? যখন আইডিয়াটা মাথায় এসেছিলো, তখন ভেবেছিলাম সতেরোকে নিয়ে বেশি মানুষ মাথা ঘামায় না। ষোড়শীদের নিয়ে হাজার কবিতা আর আঠারোকে কেন্দ্র করে এ্যাডাল্টহুড। ভেবেছিলাম এ দুটোর মাঝে পড়ে বেচারার অবস্হা খারাপ, কিন্তু তারপর সব কিছুতে আমি শুধু সতেরোই দেখছি! কিন্তু উপায় নেই - ষোলোর নিচে ম্যাচুরিটি খুব কম থাকে, আর বাঙালিরা কুড়িতেই বুড়ি।

উনিশ বছরে এখনও পা দেই নি, তাই বুঝতে পারছি না সেটা কি রকম। তাই সতেরোই সই! যদিও আমি সতেরো ছেড়েছি প্রায় সাত মাস আগে, এখনও মনে হয় সতেরো বছর বয়সটা আমার জন্য বিরাট ছিলো। কারন সে সময় আমার আশেপাশের মানুষগুলো একটু একটু করে বদলে গিয়েছিলো, তাতে আমিও একটু একটু করে বদলেছি, আর এ পরিবর্তনটার পুরোটা সময় ব্লগে, খাতায়, এখানে সেখানে লিখে যাওয়ার জন্য আমি বুঝতে পেরেছি ঠিক কতটুকু বদলেছি। তাই আমার মনে হয় সতেরো মোটেই মাঝামাঝির বয়স না। এটা খুব জরুরি একটা বয়স - এটাতে পা না দিলে আঠারো হওয়াই যায় না! আর একটা ব্যাপার হলো, আমাদের বয়সীরা এ বয়স নিয়ে লেখে না; যারা লেখেন, তারা এ বয়স ছেড়ে গেছেন বহুদিন হলো! তাই আমি আমার বয়সী বাঙালি প্রবাসীদের মধ্যে যা দেখছি, তা একটু খানি হলেও তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

আমার এখন এইচ এস সি শেষ! তাই লেখার অজস্র কারনের মধ্যে একটা কারন হলো - নিজের ভালো লাগা। কেউ যদি পছন্দ না করেন, লেখা অবশ্যই থামাবো না, কিন্তু হয়তো পরবর্তী পর্বে কিছু বদলে নেবার চেষ্টা করবো। আর দয়া করে বানান ভুল ধরিয়ে দিন! বি.দ্র.: নেগেটিভ ওয়ান দেওয়ার কারন হলো আমি এই 'সূচনা' লেখার কথা চিন্তা অনেক পরে করেছি। পর্ব এক ভাবার পর মনে হলো, এর আগে কিছু আসা দরকার, তাই পর্ব শুন্য এলো। তারপর মনে হলো, এরও আগে কিছু জানানো উচিৎ!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.