আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাদককে না বলতে শিখুন



আজকাল কোন কিশোর কিংবা তরুণকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, তুমি মাদকাসক্ত কিভাবে হলে? মোটামুটি ৮০ শতাংশেরই উত্তর হবে, ‘বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে হয়েছি’। অর্থাৎ, নিজেদের দোষটা তারা কোনভাবেই নিজেদের ওপর নিতে রাজি নয়। ভাবখানা এমন, আমি তো খেতেই চাইনি। ওরা জোর করে মুখের ভেতর পুরে দিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে একদম পাকস্থলি পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিয়েছে। স্কুল লাইফ থেকেই অসংখ্যবার মাদক গ্রহণ করার নিমন্ত্রণ(!) পেয়েছি।

তখনকার সময় যেহেতু ইয়াবা ছিল না, তাই গাঁজা, ফেনিসিডিল কিংবা নিদেনপক্ষে সিগারেটে একটা টান দেওয়ার জন্য কতই না সাধাসাধি করতো ক্লাসের অনেক ছেলেরা। আমি কিন্তু একবারের জন্যও সেগুলো ছুঁয়ে দেখার আকাঙ্ক্ষা অনুভব করিনি। এরপর কলেজে ওঠার পর যখন স্বাধীনতার মাত্রা আরেকটু বেড়ে গেল। তখন মাদক গ্রহণের আমন্ত্রণও কয়েক ধাপ বেড়ে গেল। আমার খুবই কাছের এক বন্ধু প্রতি বৃহস্পতিবারেই আমাকে বারে নিয়ে যেতে চাইত, কিন্তু সেখানেও আমি নিজেকে সংযত রাখতে পেরেছিলাম।

এরপরে আসলো পুরোপুরি মুক্ত, স্বাধীন ভার্সিটি জীবন। হলে আমার যে বাকি তিনজন রুমমেট ছিল তাদের মধ্যে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলত, কে কত দামের হার্ডড্রিঙ্ক কিনতে পারে এবং খাওয়া শেষে যার যার টেবিলের নিচে স্বীয় অর্জনের(!) প্রমাণ স্বরূপ সাজিয়ে রাখত। আর গাঁজা, সিগারেট?? পুরো রুম ধোঁয়াতে আচ্ছন্ন হয়ে গেলেও তারা নির্বিকার থাকত। এখানেও আমি আল্লাহ্‌র রহমতে নিজেকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হই। এত কিছু বলার মূল উদ্দেশ্য হল, বন্ধুবান্ধব আপনাকে মাদক গ্রহণের জন্য ডাকতেই পারে।

আপনি তাতে সাড়া দিবেন কিনা, সেটা পুরোটাই আপনার ইচ্ছাশক্তির উপর নির্ভর করে। হতাশা কাটাতে কিংবা আধুনিকতার জোয়ারে নিজেকে মানিয়ে চলতে চাই বলে মাদক নিতে হবে, এসব ভণিতা একটু ছাড়ুন। ক্ষণিকের উত্তেজনাকে প্রাধান্য না দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী সুখের কথা ভাবুন। আরে ভাই, অন্যের দোষ দিয়ে নিজের জীবনটা নষ্ট করে লাভ কি?? একবার চলে গেলে তো হারিয়েই ফেললেন জীবনটাকে। ১৬-১৭ বয়সে জাতি আপনাকে শিশু ভাবলেও পিতা-মাতা হওয়ার যোগ্যতা কিন্তু আপনার কয়েক বছর আগেই এসে গেছে।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।