আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বার্লিন প্রাচীর পতনের ২০তম বছরে সংবর্ধিত কোল, গর্বাচভ ও বুশ

A passionate writer

বার্লিন প্রাচীর পতনের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে শনিবার বার্লিনে একত্রিত হলেন জার্মানির প্রাক্তন চ্যান্সেলর হেলমুট কোল, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখায়েল গর্বাচভ এবং প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র জর্জ বুশ। বার্লিনে তাঁদেরকে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়ে, জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জার্মানির পুনরেকত্রীকরণে ভূমিকা রাখার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন৷ প্রাক্তন চ্যান্সেলর হেলমুট কোল বলেন, জার্মান ইতিহাসে গর্ব করার জন্য তেমন কিছু নেই৷ তবে জার্মানির পুনরেকত্রীকরণ নিয়েই শুধুমাত্র গর্ব করা যায়৷ এমন একটি দিনে পুনরেত্রীকরণ নিয়ে আমি যে সত্যিই গর্বিত - একথা ছাড়া আমার আর কিছুই বলার নেই৷ অনুষ্ঠানে জার্মান প্রেসিডেন্ট হর্স্ট কোয়েলার বলেন, বিভিন্ন জাতির মধ্যে কিছু দেশপ্রেমিক জন্ম নেন যাঁরা অন্যের দেশকেও সম্মান করতে জানেন৷ এই তিনজনই সেধরনের অতীব মহান ব্যক্তিত্ব৷ কোয়েলার বলেন, তাঁদেরকে আমি জার্মান নাগরিকদের পক্ষ থেকে এবং এমনকি ইউরোপের সকল জাতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই৷ ইউরোপীয় নিরাপত্তা নীতির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাশিয়ার মধ্যে নিবিড় আলোচনার জন্য এটা একটা মোক্ষম সময় বলে উল্লেখ করেন কোয়েলার। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর পূর্ব জার্মানির নেতারা বার্লিন প্রাচীর খুলে দেন৷ এর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই জার্মানির কমিউনিস্ট শাসন মুখ থুবড়ে পড়ে৷ বছর না ঘুরতেই দুই জার্মানি মিলেমিশে গঠিত হয় একক রাষ্ট্র৷ তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সমর্থন নিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর কোল কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানিকে অন্যান্য অংশের সাথে একীভূত করার জন্য গর্বাচভের সাথে সমঝোতা করেছিলেন৷ জার্মানির ইতিহাসের স্মরণীয় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার কনরাড আডেনাওয়ার ফাউন্ডেশন আয়োজন করে এই তিন অগ্রনায়কের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান৷ বার্লিন থিয়েটার হলে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে মিলিত হন সাবেক তিন বিশ্ব নেতা৷ কনরাড আডেনাওয়ার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ব্যার্নার্ড ফোগেল বলেন, এই তিন ব্যক্তিত্ব দৃশ্যত অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন৷ আমরা সেজন্য মিখাইল গর্বাচভ, জর্জ বুশ এবং হেলমুট কোলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই৷ তিনি বলেন, সাবেক রুশ নেতারা কমিউনিজমের পতন ঠেকাতে যেখানে সাঁজোয়া যান পাঠাতেন, সেখানে গর্বাচভ সেগুলোকে থামিয়ে দিয়েছিলেন৷ তিন নেতাই ঐতিহাসিক বার্লিন প্রাচীর পতনে সাধারণ মানুষের সমর্থন এবং সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় দুই হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব৷ তাঁদের মধ্যে বিশেষ করে  তৎকালীন পোলিশ প্রধানমন্ত্রী টাডয়েশ মাসোভিকি এবং হাঙ্গেরির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিক্লোস নেমেথ উল্লেখযোগ্য৷ সূত্র: http://www.dw-world.de/bengali

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.