আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেনাবাহিনীকে নিয়ে একটি মিথ্যাচার।



বিশ্বাস করুন, আপনাদের তথাকথিত রাজনীতি নিয়ে আমার কোন আগ্রহ বা অনুরাগ নেই। আমার পোস্ট দেখে কেউ ভুল বুঝবেন না। বরং সন্দেহ হলে আমার বিভিন্ন লেখা পড়ে নিন। মূল কথায় আসি। আজ ফেসবুক থেকে একটি তথ্য পেলাম।

এবং তা নীচে কী পেস্ট করে দিলাম। ১৮ দলীয় জোট মেজর জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান। এই হচ্ছে হাসিনার মনোনীত ভবিষ্যত সেনা প্রধান! রক্ত সম্পর্কে হাসিনার আত্মীয়। আত্মীয়ের বাইরে হাসিনা কিছু বিশ্বাস করে না। মেজর জেনারেল ওয়াকার সেনাবাহিনীতে শেখ হাসিনার দুলাভাই হিসাবে পরিচিত।

শেখ হাসিনার খালু সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর-রশিদের মেয়ের জামাই হচ্ছে ওয়াকার। সেই হিসাবে হাসিনার খালাত বোনের জামাই। ওয়াকার আর্মির একজন ফালতু অফিসার। কিন্তু শ্বশুর চীফ থাকাবস্থায় সিনিয়রদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছিল। বিএনপির আমলে মামলা খেয়েছিল চাকুরী যায় যায়।

এই ওয়াকার ছিল ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার। তখন ওয়াকার ব্রিগেডিয়ার হয়েও তার অনেক সিনিয়রের উপর মাতুব্বরী করতো ন্যাশনাল দুলাভাই বলে। ওয়াকারকে চীফ বানানোর জন্য লম্বা চওড়া চেষ্টা হয়েছে। এই নিয়ে সিনিয়রদের মধ্যে চাপা গুঞ্জন আছে। হাসিনার দুলাভাই বলে ঢাকা ক্যান্ট সহ হাসিনার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দীর্ঘদিন ওয়াকারকে ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার হিসাবে রাখা হয়।

এই নিয়ে সোহরাওয়ার্দীর সাথে ওয়াকারের দ্বন্ধ। এক দিকে পরিবার, আরেকদিকে দালাল সোহরাওয়ার্দী। মেজর জেনারেল সোহরওয়ার্দী নবম ডিভিশনের জিওসি হয়েও তার অধীনস্ত ব্রিগেড কমান্ডার তথা ব্রিগেডিয়ার ওয়াকারকে সমীহ করতে হবে, এমন দশায় পড়েছিল। অন্যদিকে সুযোগসন্ধানী তেলবাজ সোহরাওয়াদীও ডিজি এসএসএফ থাকা কালে হাসিনার প্রিয়ভাজন হয়ে ওঠে। হাসিনাকে ’আপা’ বলে ডাকে দলবাজ কর্মীর মতন।

হাসিনার কাছে রক্তপ্রীতি খুব বেশী বলে তার জুনিয়ার ওয়াকার তাকে ডিঙ্গিয়ে উপরে উঠে যায় কিনা, এই নিয়ে সোহরওয়ার্দী ঘুম হারাম। তাই হাসিনার কাছে খুব সফল জেনারেল প্রমান করার জন্য সোহরাওয়ার্দী ‘রেশমা নাটক’ মঞ্চস্থ করে সরকারের উপকারী জন্তুতে পরিণত হয়েছে। সোহরওয়ার্দী বিশ্বস্ত হওয়ার জন্য রেশমা নাটক সহ অনেক দালালী করেও হাসিনার পরিবার প্রীতিকে দুর করতে পারে নাই, পারবেও না। তবে যতই নাটক তৈরী করুক সোহরাওয়ার্দী। এখনো শুনা যায় কায়দা কানুন করে হাসিনা তার পরিবার অংশ তথা মেজর জেনারেল ওয়াকারকেই সেনাপ্রধান বানানোর চেষ্টায় আছে।

কারন তার কাছে বাংলাদেশ আর্মি এখনো পাকিস্তান আর্মি এবং মনে প্রাণে ঘৃনা করে। এটাকে নিজ পরিবারের লোক দিয়েই শায়েস্তা করতে হবে। ওর বাপও ঐ চিন্তা করেই শেখ জামালকে আর্মিতে দিয়েছিল। তাছাড়া আরেকটি সুবিধা নিতে চায় হাসিনা। আর সেটা হলো, ওয়াকার হাসিনার প্রতি খুব কৃতজ্ঞ এই কারনে যে, বিএনপির সময় ওয়াকার মামলা খেয়ে চাকরী যায় যায় অবস্হা।

ঐ জজকে হাসিনা নিজে ফোন করে ওয়াকারকে মামলা থেকে বাঁচিয়েছে চাকুরী রক্ষা পেয়েছে। নইলে প্রায় নিশ্চিত জেল হতো ওয়াকারের। ওয়াকার শুধু পরিবার হিসাবে নয়, নিজের জীবন পরিবার, ক্যারিয়ার বাঁচানো সহ জেলবন্দী জীবন থেকে বাঁচিয়ে দেয়ার প্রতিদানে হাসিনার জন্য অন্ধ ভক্ত এই ওয়াকার। তাই ওয়াকারকেই হাসিনা সবচেয়ে বিশ্বস্ত মনে করছে। এখন অক্টোবর ষড়যন্ত্র হোক বা অন্য যে কোন পদ্ধতি করেই হোক না কেন ওয়াকারকেই চীফ বানাবে হাসিনা।

দেশপ্রেমিক জনগন এবং মিলিটারী সবাই চোখ কান খোলা রাখুন নীচে লিংকটাও দিলাম। লিংক এবার আমার কথা। লিংকে বলা হয়েছে মেজর জেনারেল ওয়াকার কিন্তু তিনি মেজর জেনারেল পদবীতে কবে পদোন্নতি পেলেন তা জানা গেল না। আমি আজ পর্যন্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওয়াকারকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার খবর শুনি নাই। অন্তত ২৯ আগস্ট পর্যন্ত এমনটি ঘটেনি বলে আমার বিশ্বাস।

লিংকে বলা হয়েছে তিনি ফালতু অফিসার। অথচ ২০০৪ সালে অর্থাৎ চার দলীয় ঐক্যজোট সরকারের আমলে তিনি স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি এ্যান্ড ট্যাকটিকস এর রণকৌশল শাখায় প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি এ্যান্ড ট্যাকটিকস এর রণকৌশল শাখার প্রশিক্ষক হিসেবে কোন মানদন্ডের অফিসারদের নিয়োগ দেওয়া হয় তা লিংকের লেখকের জানা নেই। জানা থাকলে অন্তত এধরনের লেখা লিখতে পারতেন না। লিংকে বলা হয়েছে তিনি ৯ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্ত।

জ্বী না। উনি ঢাকার একটি স্বতন্ত্র ব্রিগেডের কমান্ডার এবং ব্রিগেডটি সরাসরি সেনাসদরের অধীনস্ত। ব্রিগেডটি কোন ভাবেই ৯ পদাতিক ডিভিশনের অধীনস্ত নয় এবং ব্রিগেডটির কমান্ডার কোনভাবেই ৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি'র অধীনস্ত নয়। লিংকের বাইরের একটি কথা শুনুন। তিনি পিলখানায় দেয়াল টপকে ঢুকে পড়তে চেয়েছিলেন কিন্তু তার এক সহকর্মী তাকে টেনে নামিয়েছিলেন।

ভিতরের অবস্থা জানা না থাকায় সেই সহকর্মীটি এই কাজটি করেছিলেন। তিনি তখন ঢাকার একটি ইউনিটে উপ-অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আপনার বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু প্লিজ, কারো নামে মিথ্যাচার করবেন না।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.