আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের ডাক্তারদের কবে হুশ হবে.........................................................!

আমি মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে ভালবাসি ।

ডাক্তারের অবহেলায় সংকটাপন্ন হয়ে পড়ছেন খাগড়াছড়ির ইদ্রিস মিয়া (৩৮)। গত সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালেকের অধীনে তিনি পেটের ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাকে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায় থাকতে দেয়া হয়। যাকে ‘ভি-পাঁচ নম্বর বেড' হিসেবে অভিহিত করা হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অপারেশনের জন্য ইদ্রিস মিয়াকে নিয়ে যান অপারেশন থিয়েটার (ওটি)। হাসপাতালের সহকারী রেজিস্টার ডা. আহসান হাবিবের নেতৃত্বে অপারেশন শেষে রাত আটটায় ওটি থেকে বের করে তাকে বেডে নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে আবারও পেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন ইদ্রিস মিয়া। পরে তার পেটের এক্সরে করানো হয়। এক্সরে রিপোর্টে দেখা যায়, তার পেটে অপারেশনের কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি রয়েছে।

রাতে আবারও তাকে নেয়া হয় ওটিতে। পরে সেলাই খুলে ডাক্তার কোন ছুরি খুঁজে পাননি। আবারও তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বেডে। ক্রমেই পেটের ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার দুপুরে আবারও তাকে ওটিতে নিয়ে অপারেশন করা হয়। অপারেশন শেষে দেখা যায়, অপারেশন কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি তার পেটে রয়ে গেছে।

পরে সে ছুরি রেখে সেলাই করে দেয়ার ফলে দরিদ্র ইদ্রিস মিয়ার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রোগীর চাচাতো ভাই আবদুর রহিম জানান, ডাক্তার তাকে জানিয়েছেন, ইদ্রিস মিয়ার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। আশঙ্কার কিছু নেই। পেটে ছুরি রেখে সেলাই করে দেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. আহসান হাবিব ভুল স্বীকার করে বলেন, রোগী ভালো আছেন।

তার কোন সমস্যা নেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.