আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গতকালের রিক্সাওয়ালা.......... আর আমার অব্যক্ত অনুভূতিগুলো

সব লেখার স্বত্ব লেখকের সংরক্ষিত

যেদিন ক্লাস থাকে সেদিন আমি অফিস থেকে বাসে শাহবাগে নামি। সেখান থেকে রিক্সায় যাই ভার্সিটিতে। গতকাল পরীক্ষা ছিল তাই একটু আগেই অফিস থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলাম, ইচ্ছা সেমিনারে বসে একটু পড়াশুনা চালানো। দুপুর গড়ানো রোদ মাথায় নিয়ে বাস থেকে শাহবাগে নেমেই দ্রুত একটা রিক্সায় চড়ে বসলাম। ভার্সিটি যাব বলতেই সে রাজী।

কিন্তু রিক্সাওয়ালার দিকে তাকিয়ে আমি একটু চমকে গেলাম। রিক্সাওয়ালা সত্তুর পেরোন বৃদ্ধ , মুখে শ্বেত শুভ্র দাড়ি। একজন জোয়ান লোককে একটা বৃদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছে ভাবতেই আমার প্রচন্ড অস্বস্তি শুরু হলো। ততক্ষনে রিক্সা চলতে শুরু করেছে। উনি একটা ছোট্ট ছাতা বের করে নিজের মাথায় এক হাতে ধরে রাখলেন।

ভাবছিলাম নেমে যাব কিনা। কিন্তু তাতে উনার লাভ হয় না। আমার এক বন্ধুর পিতা কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। উনি কখনও রিক্সায় চড়তেন না। উনার কথা ছিল এটা একটা অমানবিক বাহন।

হটাৎ তার কথা মনে পড়ল তখন। কিন্তু আমার মনে হয় না চড়লে রিক্সাওয়ালার কোন উপকার না হয়ে উল্টো ক্ষতিই হয়। কারন এটাই তার জীবিকা। তবু এই বৃদ্ধ মানুষটা আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে মানতে পারছিলাম না। বিকাল শুরু হওয়া রোদের মধ্যে দিয়ে চলছি তখন।

থেমে থেমে হেমন্তের মৃদু বাতাসে ভেসে আসছে নাম না জানা পাখিদের সুর। কিন্তু আমার ভিতর তখন অচেনা সব অক্ষম অনুভুতিগুলোর গুমরে চলা। এই দারুন পরিবেশটাও তাই আমার কাছে বিস্বাদ ঠেকতে লাগল। গন্তব্যের কিছু আগেই আমি দ্রুত নেমে গেলাম নিজের মধ্যকার অস্বস্তিটা দুর করতে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।