আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বার্মা কি শীঘ্রই বাংলাদেশ আক্রমণ করবে নাকি ধূর্ত শেয়ালেরা চিলের গল্প শোনাইতেছে?

সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com

বাংলাদেশে কিছু লোক সিরিয়াসলি বলতেছে যে বার্মা বাংলাদেশ সীমান্তে ক্যান্টনমেন্ট বানাইতেছে, সেনাসমাগম ঘটাইতেছে। নাসাকা রণসজ্জা করতেছে। বঙ্গোপসাগরে তারা আমাদের গ্যাসের ব্লক দখলের পাঁয়তারা করতেছে। এই লোকগুলা আরও আগ বাড়ায়ে এই কথাও বলতেছে যে, এতদিন ধইরা বাংলাদেশের ডিফেন্স স্ট্রাটেজিস্টরা ইনডিয়াকে লক্ষ্য করে ডিফেন্স পলিসি সাজাইছিলেন।

কিন্তু বাংলাদেশের জন্য থ্রেট আসলে ইনডিয়া না বার্মা। ইনডিয়া গণতন্ত্র বইলা তাদের পক্ষে সামরিক আক্রমণ করা কঠিন। কিন্তু বার্মা অগণতন্ত্র। সেখানকার জেনারেলরা কারো তোয়াক্কা না কইরা বাংলাদেশ আক্রমণ করতে পারে এবং নিমেষে যুদ্ধ বাধাইতে পারে। খুবই চিন্তার কথা।

বার্মা সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানি না। শুধু জানতাম যে, বার্মার আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের খুব কদর আছিল। সেইখানে আলাওল গেছিলেন। আর শরৎচন্দ্রের কোন উপন্যাসের নায়ক জানি বার্মা গেছিল। বার্মা সম্পর্কে বাকী কথা যা জানা যায় তা জানায় পশ্চিমা মিডিয়া।

সু চিকে অন্তরীণ করে রাখার খবরই মূলত বার্মার খবর। বার্মার প্রচুর শরণার্থী বাংলাদেশে আসছে সেখানকার সংঘর্ষের ফল হিসাবে। এই শরণার্থীরা রোহিঙ্গা নামে পরিচিত। এই রোহিঙ্গাদের অনেকেই মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে গেছে। ফলে, আমার অনুমান সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের কিছু জাতিগত সাজুয্য থাকতে পারে।

যাই হউক, শুরুর কথায় আসি। বার্মা কী আসলেই বাংলাদেশকে আক্রমণ করতে যাইতেছে? বার্মিজরা কি আমাদের প্রতি প্রতিহিংসাপ্রবণ ইনডিয়ানদের চেয়ে বেশি? বিএসএফ প্রতিদিন গড়ে দুই-তিনজন বাংলাদেশী মারে, সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়। নাসাকা বা বার্মিজ বর্ডার রক্ষকরা ততো কি মারে? বাংলাদেশীদের ওপর হামলা করার গড় প্রবণতা তাদের কেমন? কেউ জানেন? বার্মিজদের সম্পর্কে জানা কঠিন, তবু এইটা মোটামুটি জানা যায়- ভারত ও চীন মোটামুটি ভাল সম্পর্ক রাখে বর্মি জেনারেলদের সাথে। ব্রিটেনের বিশাল ইনভেস্টমেন্ট আছে ওইখানে। মিডিয়া শুধু একজনকে নিয়া আহাজারি করে কিন্তু বার্মার কোটি মানুষ নিয়া তাদের কোনো চিন্তা নাই।

এখন এই বার্মা কি সত্যি সত্যি আমাদের আক্রমণ করে বসবে? এই প্রশ্ন যারা তুলতেছেন তাদের কথা আমি বাতিল করতে চাইতেছি না। কিন্তু এ প্রসঙ্গে বাবুরাম ভট্টরাইয়ের একটা লেখার কথা মনে পইড়া গেল। নেপালের প্রাসাদ হত্যাকান্ডের পর উনি একটা চিঠি লিখছিলেন নেপালের কান্তিপুর পত্রিকায়। সেই চিঠি একসময় খুব প্রচার পাইছিল। ওই চিঠিতে উনি কইছিলেন রূপকথার সেই শিয়ালের গল্প।

শেয়ালের মনে যখন নাকি মুরগীর বাচ্চা খাওয়ার শখ হয় তখন সে আকাশের চিলরে দেখাইয়া কয়, ওই যে চিল আইসা মুরগীর বাচ্চা নিয়া গেল। সবাই যখন আকাশে চিল দেখার জন্য তাকায় তখন ধূর্ত শিয়াল মুরগীর বাচ্চা নিয়া চম্পট দেয়। ঘটনা এইরকম কি না কে জানে। ধূর্ত শেয়ালেরা কি চিলের গল্প শোনাইতেছে নাকি?

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.