আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বান্দরবান ভ্রমন - ১

এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
বাংলাদেশের পাহাড়ি জেলা বান্দরবান ।

ওখানের সৌন্দর্যের কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা, পাহাড়ের ঐ স্বপ্নপুরী দেখার জন্য অনেকদিনই প্রহর গুনেছি । শেষ পর্যন্ত আমার কয়েকজন বন্ধুর সাথে ঈদের পর পরই আমরা বান্দরবানে পৌছাই । আমার এই বন্ধুদের সাথে অতীত ভ্রমন অভিজ্ঞতা সুখকর ছিলনা, তাই কিছুটা সংকা নিয়েই ওদের সাথে গেলাম । সবচাইতে টেনশানে ছিলাম, আগে হোটেল বুক করতে না পেরে । ঈদ পরবর্তী এই সময়ে ঐসব এলাকায় পর্যটকদের উপচে পরা ভীর, হোটেল না পেলে সমস্যায় পড়ার আশংকা যোল আনা ।

কিন্তু ভাগ্য আমাদের অতি সুপ্রশন্ন, বান্ধরবানে ঢুকার মূহুর্তে পর্যটনের যেই মোটেল রয়েছে ওখানে আমরা রুম পেয়ে যাই । এবার আসি বন্ধুদের কথায়, ওদের সাথে আমার অতীত ভ্রমন অভিজ্ঞতা সুখের হয়নি কেন, গত ঈদ পরবর্তী সময় ওদের সাথে রাঙামাটি গিয়েছিলাম, ওরা গাড়িতে বসে কিংবা ট্রলারে বসেই রাঙামাটি ভ্রমন শেষ করেছিল, আমি চেয়েছিলাম গভীরে গিয়ে আরো ভালোভাবে রাঙামাটিকে দেখতে, কিন্তু ওরা পাহাড়ে চড়তে ভয় পায় বিধায় আমারও আর যাওয়া হয়নি । এবার ও ওদের সাথে গিয়ে আমার সেই একই অভিজ্ঞতা হয় । অর্থাৎ ভালোভাবে বান্দরবানকে দেখতে পারিনি আমার ননীর পুতুল বন্ধুদের জন্য । গাড়িতে থেকে যতটুকু দেখা যায় ততটুকুতেই সন্তুষ্ঠ থাকতে হয় ।

বান্দরবানে ছিলাম আমরা মাত্র একদিন, ঐ একদিনকে আমি সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যা তিনটি অংশে বিভক্ত করে তিনটি পোষ্ট দিব । আজ সকাল বেলার অভিজ্ঞতাটা বর্ণনা করবো । পর্যটনের এই মোটেলে ছিল আমাদের থাকার ব্যবস্থা, ইহা বান্দরবান শহরে ঢুকার ৫ কিলোমিটার আগে সকালে নাস্তা সেরে মেঘলা পর্যটনের ১০ টাকার টিকিট কেটে ঢালু পথ বেয়ে নেমে যাই তার ভিতরে, আর সেখানেই বিশাল পুকুর না হৃদ ঠিক জানিনা তার ওপরে ঝুলে আছে এই অচেনা রঙের চেনা ফুল । দুটি ঝুলন্ত সেতুর একটি বেয়ে চলে গেলাম ওপাড়ের পাহাড়ে । বান্দরবানে বান্দর বলতে ওদেরকেই দেখলাম মেঘলা পর্যটনের পাহাড়ের ওপরে খাচায় বন্দি ।

বান্দরদের অতিক্রম করে পাহাড়ের আরো উচুতে চড়ার পর কলমি ফুলের ন্যায় এই ফুলটা দেখতে পাই, কিন্তু গাছের পাতা বলে এগুলো কলমী ফুল না । পাহাড়ে চড়ে টায়ার্ড হয়ে গেছেন ? নো চিন্তা, আপনার তৃষ্ণা নিবারণ এবং ক্লান্তি দূর করার জন্য পাহাড়ের উপরই সব রকমের ব্যবস্থাই রেখেছে পাহাড়ি ললনারা । নেমে আসার পথে আরো কিছু পাহাড়ি ফুল ক্যামেরাম্যান সহ অভিযাত্রীদের ছবি ।
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।