আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপাতত পরিবর্তন হচ্ছে না সময়সূচি



বিদ্যমান সময়সূচি বদলানোর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক। শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ইয়্যুৎ ইকো ফোরাম’ আয়োজিত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে জাপানের এলইডি নামের একটি প্রযুক্তির ওপর এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। সময়সূচির সঙ্গে খাপখাওয়ানোকে ‘অভ্যাস ও মানসিকতার বিষয়’ উল্লেখ করে তিনি জানান, সময়সূচি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করার দরকার নেই। বর্তমান সময়সূচিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। গত ১ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিদ্যুৎসঙ্কট মোকাবেলায় সূর্যালোকের ব্যবহার বাড়াতে ঘড়ির কাঁটা একঘণ্টা এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়।

১৯ জুন রাত ১১টায় রাজউকের ঘড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে এক ঘন্টা এগিয়ে এনে রাত ১২টা করা হয়। এরপর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করে, এতে ২০০ থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব হবে। এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। তবে শীত মৌসুমকে সামনে রেখে অনানুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছিলো, ১ অক্টোবর থেকে আগের সময়সূচিতে ফিরে যাওয়া হবে। তবে শনিবার বর্তমান সময়সূচি পরিবর্তন করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “না”।

তিনি আরও বলেন, “বিদ্যুৎ তো সাশ্রয় হচ্ছে। কিছু বেনিফিট তো পাচ্ছি। এতে তো খারাপ কিছু দেখছি না। সময়সূচি নিয়ে মানুষকে কনফিউজ করার দরকার নেই। ” শীত মৌসুমকে সামনে রেখে ৩০ সেপ্টেম্বরের পর আগের সময়সূচিতে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও কবে নাগাদ তা হবে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন রাখেন, “আগের সময়সূচি কী? আসলে সময়সূচির বিষয়টি হচ্ছে মানসিকভাবে মেনে নেয়ার।

ঘড়িতে এখন ছয়টা বাজছে। এ সময়সূচি পাঁচটা কিংবা সাতটা হলে কি আসে যায়!” তবে সময়সূচির বিষয়ে সরকার কোনভাবে ‘অনঢ়’ অবস্থানে নয় বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এখন যেভাবে আমরা অভ্যস্ত হয়েছি, তা চলবে। যখন মানুষ মনে করবে, সময়সূচিতে পরিবর্তন দরকার, তখন তাতে পরিবর্তনের বিষয় নিয়ে সরকার ভাববে। ” ১৯১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রেও ঘড়ির কাটা এক ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়।

এরপর অনেক দেশেই এ প্রথা চালু হয়। বর্তমানে ৭০টিরও বেশি দেশে সময় এগিয়ে আনা হয়ে থাকে। অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার আরও কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার ইতোমধ্যে দেড় কোটি সিএফএল (কমপ্যাক্ট ফ্লোরেসেন্ট লাইট) বাল্ব কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সাশ্রয় হওয়া তিনশ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আগামী ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলে সেচকাজে ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া যাবে। জাপানের এলইডি প্রযুক্তি পরিবেশবান্ধব হওয়ায় তাদের বাল্ব ব্যবহারেও সরকার উৎসাহী বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে জাপানের এলইডি (লাইট ইমিটিং ডাইয়োড সেমি কনডাক্টর) প্রযুক্তি ব্যবহার ও সেদেশে তৈরি বাল্ব নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সানটেক করপোরেশনে পরিচালক তিরিওশি সাকাতা। তিনি জানান, এ বাল্ব দিনে ১০ ঘন্টা করে ব্যবহার করলেও ১০ বছর ব্যবহার করা যাবে। একটানা ব্যবহার করলে ৪০ হাজার ঘণ্টা ব্যবহার করা যাবে। প্রতিটি বাল্বের দাম সাড়ে সাতশ’ টাকা থেকে এক হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত তুমুৎসু সিনুৎসুকা, জাপানের ইয়্যুৎ ইকো ফোরামের নির্বাহী পরিচালক ইয়োসিকু ওমোরি, বাংলাদেশ শাখার ইয়্যুৎ ইকো ফোরামের এমএম রাজা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।