আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

''দুঃখীর সকল দিনই অশুভ, কিন্তু যাহার হৃষ্ট মন, তাহার সততই ভোজ''__ আপনি, আমি ও আমরা কি আশাবাদী!!!



'উৎফুল্ল হৃদয় উত্তম ঔষধ'__ কথাটি একজন রাজা ৩,০০০ বছর পূর্বে লিখেছিলেন (প্রবচনমালা)। কিন্তু আমাদের হয়তো সহজাতভাবে এক ''উৎফুল্ল হৃদয়'' থাকে না। আমাদের মাঝে খুব কম মানুষ আছে, যারা প্রাত্যহিক জীবনের সেই চাপগুলো এড়িয়ে চলতে পারে, যেগুলো হতাশাজনক ও নিরাশাবাদী দিকে পরিচালিত করে। তবুও বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্বেও, আশাবাদী হওয়ার মূল্য রয়েছে। আশাবাদী হওয়াকে এমন ভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, ' এক প্রতাশাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী বা মনেোভাব রাখা, এক অনুকূল ফলাফল প্রতাশা করার প্রবনতা''।

একজন আশাবাদী ব্যক্তি যখন কোনো ব্যাপারে পরাজিত হন, তখন তিনি কেমন বোধ করেন? তিনি সেই পরাজয়কে কোনো স্হায়ী বিষয় হিসেবে দেখেন না। তবে এর মানে এই নয় যে, তিনি বাস্তবতাকে অস্বীকার করেন। এর পরিবর্তে তিনি বাস্তবকে মেনে নেন এবং বিষয়টাকে পরীক্ষা করে দেখেন। তারপর, পরিস্হিতি যখন সুযোগ করে দেয়, তখন তিনি সেই অবস্হাকে পরিবর্তন করতে বা উন্নত করতে পদক্ষেপ গ্রহন করেন। অন্যদিকে, একজন নিরাশাবাদী ব্যক্তি প্রায়ই দুর্দশার জন্য নিজেকে দোষ দিয়ে থাকেন।

তিনি ধরে নেন যে, দুর্দশাজনক পরিস্হিতি হচ্ছে স্হায়ী এবং তা তার নিজের বোকামী, অযোগ্যতা বা খারাপ চেহারার কারণেই ঘটে থাকে। ফলে, তিনি ব্যর্থতার কাছেই হার মানেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনিসোটার রচেস্টারের মেয়ো ক্লিনিকে ৮০০জনেরও বেশী রোগীর উপর ৩০ বছর ধরে চালানো একটি গবেষনায় বিজ্ঞানীরা দেখেছিল যে, 'আশাবাদী ব্যক্তিদের অপেক্ষাকৃত ভাল স্বাস্হ্য ছিল এবং লক্ষণী্য়ভাবে তারা দীর্ঘদিন বেঁচে ছিলেন'। আশাবাদী ব্যক্তিরা সমস্যা গুলোর সমাধান ভালভাবে করতে পারে এবং তেমন একটা বিষন্নবোধ করেনা। তাই বলা যায়, আশাবাদী হওয়া আমাদের সুস্বাস্হ্য ও মঙ্গলের দিকে প্রভাবিত করে।

কিন্তু, এমন এক জগতে আমরা বাস করছি, যেখানে সমস্যাগুলো দিন দিন কেবল বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে আশাবাদী ব্যক্তি হওয়া মোটেই সহজ নয়, অনেকেই আমরা ইতিবাচক চিন্তা করা কঠিন বলে মনে করি, কিন্তু এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য আমরা কি করতে পারি? কিছু পরামর্শ সবার জন্য______ ১. আপনি যদি মনে করেন যে, কোন একটি বিষয় আপনি উপভোগ করবেন না বা কোন প্রকল্পে আপনি সফল হবেন না, তা হলে সেই ধারণা বাতিল করুন। ইতিবাচক বিষয়ের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন। ২. আপনার কাজ উপভোগ করার চেষ্টা করুন। আপনার কাজ যাই হোক না কেন, সেই দিকগুলো খুঁজুন, যেগুলো আপনাকে আনন্দ দেয়। ৩. সেই বন্ধুদের খুঁজুন, যারা জীবনকে ইতিবাচক দেখে।

৪. আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এমন পরিস্হিতির ব্যাপারে পদক্ষেপ নিন, আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না এমন পরিস্হিতি গুলোকে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। ৫. প্রতিদিন, আপনার প্রতি যা ঘটছে, এমন তিনটি ভালো বিষয় লিখে রাখুন। যদিও উৎফুল্ল মনোভাব সমস্ত কিছুকে ভাল করে ফেলবে না কিন্তু এটা আরো স্বাস্হ্যকর আরো বেশী পরিতৃপ্তিদায়ক জীবনের ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।