আজকের পত্রিকার খবর অনুসারে “আমার মেয়ের সর্বনাশ করে যারা বাজারে ভিডিও চিত্র ছেড়েছে আল্লাহই তাদের বিচার করবেন। ” এক অসহায় মায়ের এমন আর্তনাদে পিরোজপুরের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। সরকারদলীয় এমপি’র বিশ্বস্ত সহচর, দলের দুর্ধর্ষ ক্যাডার এবং ছাত্রলীগ নেতা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা কয়েকজন স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ছবি বানিয়ে বাজারে সিডি আকারে বিক্রির ঘটনায় পিরোজপুর শহরে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে। একটি জাতীয় ইংরেজি দৈনিকে সংবাদটি প্রকাশের পর গোয়েন্দা পুলিশ সিডি বিক্রির দায়ে তিন ভিসিডি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করলেও ঘটনার হোতা ও তার সহযোগীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
পুরো খবর দেখুনঃ ধর্ষিতা ছাত্রীদের পরিবারের কান্নায় স্তব্ধ পিরোজপুর।
এটা তো সাম্প্রতিক ঘটনা। আরো কিছু ঘটনার দিকে আলোকপাত করা যাক-
১। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ২১ শে ফেব্র“য়ারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে শেখ কামাল দ্বারা।
২। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের সেঞ্চুরিয়ান মানিকের কথা অনেকেই জানে।
৩। বাঁধন এর ঘটনাও অনেকেরই জানা।
৪। ৩০ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী লাঞ্চনায় রাজু নামে ছাত্রলীগ কর্মী বহিস্কৃত হয়।
এছাড়া অসংখ্য প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত ঘটনা রয়েছে।
সবগুলো উল্লেখ করতে গেলে ব্লগের পরিসরকেই ছোট মনে হবে।
যে ধর্ষণের ঘটনা শেখ মুজিব পুত্র শেখ কামাল দ্বারা শুরু হয়েছিলো তার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে ছাত্রলীগের কর্মীরা দৃঢ় পায়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত অহরহ ধর্ষনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে দিন বদলের শ্লোগান ছাত্রলীগের কর্মীদের বেলায় মনে হচ্ছে প্রযোজ্য নয়। প্রযোজ্য না হওয়ারই কথা।
যতই বলি না কেন? বাংলাদেশের পিতার ছেলে হিসেবে যে ধর্ষণের কাজ শুরু করেছিলেন তা তো এগিয়ে নিতেই হবে এবং সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে! ভাইয়ের ইচ্ছা পূরণ করতে বোন হিসেবে শেখ হাসিনা তা না করে উপায় আছে?
তাই তো ছাত্রলীগ ধর্ষণের ক্ষেত্রে অপ্রতিরোধ্য বেগে এগিয়ে চলেছে।
জয়তু বঙ্গবন্ধু সৈনিক! কোন বাধাই তাদের অগ্রগতি রুখতে পারবে না। এমনকি শেখ হাসিনাও পারেন না। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু পারেন নি। আর এরাতো নস্যি...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।