আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তাহলে ঘটনাটা কী দাঁড়ালো? (প্রসঙ্গ জলিলের বক্তব্য)

soroishwarja@yahoo.com

"নির্বাচন, দল, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে নিয়ে করা ঝড় তোলা মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল। মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জলিল বলেন, তার আগের বক্তব্য গ্রেপ্তার অবস্থায় ডিজিএফআই'র নির্যাতনের বিচার না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে উৎসরিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে জলিল বলেছেন, তিনি আওয়ামী লীগেই থাকছেন। দেশেও ফিরবেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জলিল বর্তমানে ব্যক্তিগত সফরে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।

সেখানে গত সপ্তায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার বক্তব্য আওয়ামী লীগে তোলপাড় তোলে। এরপর বার্মিংহামে স্থানীয় যুবলীগ সমর্থকদের হাতে লাঞ্ছিতও হন তিনি। " জলিলকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা প্রথমে তেমন রা শব্দ করেন নাই। পরে ধীরে ধীরে মতিয়া চৌধুরী, সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফ, আলাউদ্দিন_ সবাই কথা বললেন। বিরোধী দলীয় নেতারাও একটা সুযোগ নিতে ভুল করলেন না।

এমনকি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে জলিল সাহেবের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অনেক কথা বললেন। আমাদের সিইসি সাহেবও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা থেকে বিরত থাকলেন না। ব্যক্তি জলিল নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করলে সিইসি সাহেবকে প্রতিক্রিয়া দিতে হবে কেন বুঝলাম না। কোনো দল বা কোনো প্রতিষ্ঠান সিইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও কথা ছিল। নির্বাচন কমিশনার এর মাধ্যমে নিজের দুর্বলতাই প্রকাশ করলেন।

অবশেষে জলিল যখন নিজেই বললেন যে ডিজিএফআইয়ের নির্যাতনের পর থেকে তার মাথাটাথা ঠিক নাই। কখন কী বলেন তা তিনি নিজেও জানেন না। তার আগের সব গরম গরম মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমাও চাইলেন। "ওই বক্তব্যের বিষয়ে জলিল এখন বললেন, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আটকাবস্থায় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই'র নির্যাতন তাকে অস্থির করে ফেলে। তিনি সংসদে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর বিচার চেয়েছিলেন, কিন্তু এখনও বিচার পাননি।

তাই অন্তর্জ্বালা থেকে মাঝে মাঝে তার ক্ষোভ হয়। জলিলের ভাষায়, বিচার না পাওয়ার কারণে মাঝে মাঝে আমার যন্ত্রণা হয়। আমার অন্তর্জ্বালায় হয়তো ক্ষোভের প্রকাশ হয় এবং সেখানে হয়তো আমি আনুষাঙ্গিক কথা বলে থাকতে পারি। সে জন্য আমি দুঃখিত। আগের বক্তব্যের বিষয়ে জলিল বলেন, সেটা সম্পূর্ণভাবে আমার মানসিক যন্ত্রণার কারণে।

আমি এটা ডাইজেস্ট করতে পারি না। "আমার বয়স ৭০ বছর চলছে। যে লোকটার ওপর তার বাবা-মা কোনদিন হাত তোলে নাই, গালিগালাজ করে নাই; সেই লোকটাকে রাস্তার এবং যে আমার কর্মচারী তারা,,,,,,,,। ডিজিএফআই আমার টাকার কর্মচারী, আমার করের পয়সা দিয়ে তার বেতন দেওয়া হয়। তাই আমি এটা হজম করতে পারি না।

" এই রকম একটা পাগল লোককে নিয়ে আমার সোনার বাংলার প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও সংবাদমাধ্যম এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ব্যস্ত থাকল। মাথাটা কী খালি জলিল সাহেবেরই খারাপ। মনে তো হচ্ছে না। মনে হচ্ছে, পাগলের চেয়ে পাগলের প্রলাপ শুনে পাগলামি বেশি করে ফেলেছে সুস্থরা। কাল রাতে জলিলের দুঃখ প্রকাশের খবরটা পড়ে হাসতে হাসতে আমার পেটে খিল ধরে গিয়েছিল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.