আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচন কমিশনের একটি ভাল প্রস্তাব

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

সরকারী কোষাগার থেকে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ব্যয় দেওয়ার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। দলগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও নির্বাচনকে কালো টাকা মুক্ত করতেই এই প্রস্তাব। এটা একটা ভালো প্রস্তাব। কেবল নির্বাচনী ব্যয় কিভাবে মেটানো হবে সেটা ভেবে রাজনৈতিক দলগুলো ইচ্ছা থাকলেও সৎ অথচ গরীব মানুষকে মনোনয়ন দিতে পারে না। অর্থনৈতিক কারণে অনেক সৎ ও যোগ্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে না।

আমাদের বড় দলগুলো কেন চোর বাটপারদের মনোনয়ন দেয় ? কারণ তাদের টাকা আছে। আমাদের বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় যার টাকার জোর আছে, সেই জেতে। আমাদের ভোটারদের সচেতনতার লেভেল এখনও এই পর্যায়ে যায় নি যে, তারা কোন দুর্নীতিবাজকে প্রত্যাখ্যান করবে। তারা সামান্য কিছু টাকা, খাবার বা সাহায্যের বিনিময়ে ভোট বিক্রি করে দেয়। টাকাওয়ালারা অবৈধপন্থায় টাকা উপার্জন করে সংসদ সদস্য হতে চায় সেই অবৈধ টাকাগুলো চিরতরে বৈধ করার জন্য ।

তাই তার অনুসারী বা চামচা তৈরি করার জন্য দু'হাতে ব্যাপক টাকা ওড়ায়। অনুসারীরা সাধারণ মানুষের মাথাটা গুলিয়ে দেয় সেই প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে। অন্য দিকে যেহেতু নির্বাচন করতে বড় অংকের টাকা লাগে, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীরা কেবল টাকার জোর না থাকার কারণে মনোনয়ন পায় না। মনোনয়ন পেলেও নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী দুর্নীতিবাজ টাকাওয়ালার প্রচারণার কাছে পরাজিত হয়। অথচ একটি রাষ্ট্রকে উন্নতির দিকে নিতে হলে দুর্নীতিবাজ নয়, দরকার সৎ মানুষের নেতৃত্ব।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা সব সময়ে উল্টো পথে হেঁটেছে এবং আমরা ভোটাররা অসৎ দুর্নীতিবাজদের বার বার ভোট দিয়েছি। সৎ লোকেররা তাদের টাকার প্রচারণার কাছে বার বার পরাজিত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ দেয়া হলে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা অনেক বাড়বে। টাকার খেলায় অসৎ ও দুর্নীতিবাজদের এমপি হওয়া ঠেকাতে পারা যাবে।

প্রচারণার ক্ষেত্রে পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করবে বলে টাকার জোরে কোন প্রার্থীকে কোণঠাসা করা যাবে না। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচন করার মতো পরিবেশ পাবেন। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোও সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে উৎসাহিত হবে। নির্বাচিত করার পর একজন এমপিকে আপনি যতই চোর বাটপার বলেন তাতে কোন লাভ নাই। বরং তাকে ভোটের যুদ্ধে কিভাবে পরাজিত করা যায় সেই পন্থা বের করতে হবে।

একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্রকে সব সময় দুর্বল মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে হয়। সেই হিসেবে রাষ্ট্র যদি সৎ ও যোগ্য প্রার্থীর পক্ষে দাঁড়ায় সেটা তো অভিনন্দনযোগ্য। খবর এখানে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.