আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু অমোঘ বাণী যা আপনার জীবনের চিন্তাভাবনাকে বদলে দিতে পারে - ১

ভাবতেসি!
 যার কথার চেয়ে কাজের পরিমান বেশী, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়। কারণ, যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়ার শব্দ তত কম।  ব্যক্তিগত খেয়াল বা আবেগ আর জীবনের লক্ষ্যকে এক করে ফেলবেন না। লক্ষ্যকে যখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন তখন তা আপনাকে আবেগের ঊর্ধ্বে নিয়ে যাবে।  সুযোগের সাথে জড়িত ঝুঁকি গ্রহনে সাহসী হোন।

 যখনই আপনি অনুভব করবেন যে, আপনার শরীরের উপর নিজের নিয়ন্ত্রন রয়েছে, তখনই আপনি সুস্বাস্থ্যের সুপ্রভাতে উপনীত হবেন।  নিরাময়ের জন্যে আপনার প্রথম প্রয়োজন এক প্রশান্ত মন।  'সমস্যা' শব্দটির পরিবর্তে 'সম্ভাবনা' শব্দটি বেশি ব্যবহার করুন।  শৃঙ্খলা জীবনকে সমৃদ্ধ করে। লোহা ও চুম্বকের রাসায়নিক উপাদান এক হলেও সুশৃঙ্খল আণবিক বিন্যাসের কারণে চুম্বকের রয়েছে আকর্ষণী শক্তি যা লোহার নেই।

 ব্যর্থরা অবচেতনভাবে ব্যর্থতার সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করে। সচেতনভাবে সাফল্যের সঙ্গে একাত্ম হলে সাফল্যই আপনার দিকে আকৃষ্ট হবে।  সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৪ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে, সহজে পেটের কোন পীড়া হবে না।  সহপাঠী বা প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক আর বন্ধুত্ব এক নয়।

চেতনা ও আদর্শের মিল রয়েছে এমন কারো সঙ্গেই বন্ধুত্ব হতে পারে।  কর্মস্থলে প্রতিযোগীকে সবসময় শ্রদ্ধা করুন। শক্তিশালী প্রতিযোগী আপনার মেধার সর্বোত্তম বিকাশে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।  শোষিতরা শোষিতের হাতেই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়। যে কখনো সম্মান পায় নি সে জানে না অন্যকে কিভাবে সম্মান করতে হয়।

 আপনার সময় নেই-- এ অজুহাত গ্রহনযোগ্য নয়। কারণ সময় কোন কাজে ব্যয় করবেন তা নির্ধারণের অধিকার আপনার রয়েছে।  আত্মকেন্দ্রিকতা ও 'আমারটা আগে' এ দৃষ্টিভঙ্গি জীবনকে এক ক্লান্তিকর বোঝায় পরিণত করে। আর বিনয়, সহানুভূতি ও উপকার যত ক্ষুদ্রই হোক জীবনকে প্রাণবন্ত ও হাস্যোজ্জ্বল করে তোলে।  হাসুন! প্রাণ খুলে হাসুন! হো তেই- এর মত করে হাসুন।

হো তেই ছিলেন জাপানী সাধক। বুদ্ধের বাণী প্রচার করতেন। তাঁর পুরো শিক্ষাই ছিল হাসি। শুধুমাত্র হাসি। তিনি গ্রাম থেকে গ্রামে; বাজার থেকে বাজারে ঘুরে বেড়াতেন।

গ্রামের মাঠে বা বাজারের মাঝখানে দাঁড়াতেন। তারপর হাসতে শুরু করতেন। এই হাসি ছিল তাঁর বাণী। তাঁর হাসি যেমন ছিল প্রাণবন্ত, তেমনি ছোঁয়াচে। হৃদয়ের ভেতর থেকে উঠে আসত এই হাসি।

হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি যেতেন তিনি। তার চারপাশে সমবেত জনতাও হাসতে শুরু করত। সেই হাসি ছড়িয়ে পড়ত চারপাশে। পুরো গ্রাম-জনপদের সবাই যোগ দিত সেই হাসিতে। হাসতে হাসতে গড়াগড়ি যেত তারা।

গ্রামের লোকেরা হো তেই-এর জন্যে অপেক্ষা করত। কখন তিনি আসবেন। কারণ তিনি নিয়ে আসতেন হাসি, আনন্দ, উচ্ছলতা, আশীর্বাদ। তাঁর সাথে হাসিতে যোগ দিয়ে দুঃখ-শোক ভুলে যেত, রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত হত মানুষ। তাই গ্রামের লোক অপেক্ষা করত হো তেই-এর জন্যে।

 নিয়ত বা অভিপ্রায় হচ্ছে মনের লাগাম। নিয়ত মনকে নিয়ন্ত্রন করে, দেহকে সঠিক পথে পরিচালিত করে, দেহ-মনে নতুন বাস্তবতার জন্ম দেয়।  মুক্ত বিশ্বাস হচ্ছে সকল সাফল্য, সকল অর্জনের ভিত্তি। বিশ্বাসই রোগ নিরাময় করে, মেধাকে বিকশিত করে, যোগ্যতাকে কাজে লাগায়, দক্ষতা সৃষ্টি করে। ব্যর্থতাকে সাফল্যে আর অশান্তিকে প্রশান্তিতে রূপান্তরিত করে।

 সুন্দর প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে দিন শুরু করুন। ঘুম ভাঙতেই বলুন, শোকর আলহামদুলিল্লাহ/থ্যাঙ্কস গড বা প্রভু ধন্যবাদ, একটি নতুন দিনের জন্যে। দিনের সমাপ্তিও ঘটবে এইভাবে।  সময় পেলেই বুক ফুলিয়ে দম নিন। মেরুদন্ড সোজা রেখে নাক দিয়ে ধীরে ধীরে দম নিন।

এক মুহূর্ত থামুন। এরপর ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে দম ছাড়ুন। এভাবে প্রতি দফায় ১৫/২০ বার করে দিনে ৫/৭ দফা দম নিন। শরীরের ক্লান্তি-আলস্য-অবসাদ দূর হয়ে যেতে থাকবে।  বদ অভ্যাস মনের এমন একটি জীর্ণ অবস্থা, যা এক সময় নতুন ধারণার মাধ্যমে মুক্তির পথ দেখাতে চেয়েছিল, কিন্তু এখন সে নিজেই পথ হারিয়ে ফেলেছে।

 কুৎসা ও কান কথা থেকে দূরে থাকুন।  রোগ-ব্যধির অনুপস্থিতিই সুস্বাস্থ্য নয়। সুস্বাস্থ্য হচ্ছে ভালো থাকার এক অন্তর্গত অনুভূতি যা আপনাকে সবসময় আনন্দোচ্ছল করে রাখে।  যা করতে পারবেন না বা করবেন না, সে ব্যাপারে বিনয়ের সাথে প্রথমেই 'না' বলুন।  কাউকে অভিনন্দন জানানোর সুযোগ পেলে আন্তরিকভাবে জানান।

 স্থান-কাল-পাত্র বুঝে হাসিমুখে কথা বলুন। হৃদয়ের আন্তরিকতা মুখের হাসিতে শতগুনে প্রস্ফুটিত হয়।  প্রস্তুতি ছাড়া যাত্রা পথের কষ্টকে বাড়িয়ে দেয়। স্বপ্ন ও বিশ্বাস পথ চলার সে প্রস্তুতিরই সূচনা করে।  প্রতিটি কাজ করার আগে অন্তত একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন কাজটি আপনি কেন করবেন।

 নিজের কাছে নিজ সততা বজায় রাখুন। প্রতিটি কাজে আপনার পক্ষে যা করা সম্ভব, আন্তরিকতার সঙ্গে করুন।  বুদ্ধিমান সবসময় কথা বা কাজের আগে চিন্তা করে। আর বোকারা চিন্তা করে (পস্তায়) কাজের পরে।  ১. একজন মানুষকে তার নাম ধরে সম্বোধন করুন।

আলাপ-আলোচনায় একাধিকবার তার নাম উল্লেখ করুন। ২. নতুন বন্ধুত্ব করুন, কিন্তু পুরানো বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দিন। ৩. সবাইকে আগে নিজে সালাম দিন। ৪. গোপনীয়তা রক্ষা করুন। ৫. কাজ শেষ না হতে পারিশ্রমিক শোধ করবেন না।

আজ এই পর্যন্তই, ভালো থাকুন, আগামীতে আবার দেখা হবে ততক্ষণের জন্য শুভরাত্রি!! [তথ্যসূত্রঃ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন]
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.