আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইলিশ।

আমি নগন্য মানুষ

মুন্সিগঞ্জ। গ্রামের নাম জাজিরা। বছরের ছয় মাসই থাকে চারপাশে পানি। এখানের মানুষের প্রধান জীবিকা আলুচাষ আর ইলিঁশ ধরা। মেঘনা নদীর কোলঘেষে এই গ্রাম।

চলাচলের প্রধান মাধ্যম ট্রলার। এই ট্রলার দিয়েই হয় মেঘনা পারি। দুই ভাগে ইলিশ ধরা হয়। সন্ধ্যার আগে আগে বেরিয়ে পরে ওরা। পাঁচজনে এক ট্রলারে যাত্রা শুরু করে।

ট্রলারে খাবার পানি নিয়ে বেরিইয়ে পরে জমির,মহশীন,কালন নাসির আর শহীদ। ট্রলার নিয়ে বাড়ির ঘাট থেকে দশ মিনিট লাগে মেঘানা যেতে। জমির হাক দেয়,"কালন ফিরিজে বরফ আছে?,লইয়া লইছ। " কালন জবাব দেয়না,মাথা নারে। খালটা পার হলেই সামনে দেখে বরফ কলের নাও।

আবার জমির ডাক দেয়,কালন বরফ লইয়া ল। কালন ইশারা করে শহীদ কে। শহীদ আস্তে আস্তে ট্রলার ভিরায় বরফের ট্রলারের সাথে। কালন ট্রলার থেকে লাফ দিয়ে পারহয়। গফুর ভাই দুইডা লইলাম,কালন বলে।

না না,আক্তা ল,দুইডা দিয়া কিয়ারবি?,জবাব দেয় বরফ মালিক। আমাগো ফিরিছটা বাংগা,গইল্লা যাইব। বাছলে ত আপ্নেরে দিয়াই দিমু। গেলাম ভাই,কালন বরফ নিয়ে নিজেদের নাওয়ে আসে। শুরু হয় যাত্রা।

মেঘনার উত্তাল ঢেউ আছড়ে ফেলে নাও,শহীদ অকুতোভয় সৈনিকের মত হাল ধরে দাড়িয়ে থাকে। ছুটে চলে নাও মেঘনার ঢেউয়ে চিড় ধরিয়ে। অপেক্ষায় থাকে ওরা পাঁচ সৈনিক। মেঘনার আরেক পাড় দেখা যায় আবছা,দাড়িয়ে যায় মহশীন। হিসাবনিকাষ চলে কোথায় জাল পাতবে।

পাড় দেখে শহিদকে নির্দেশনা দেয়। আরো হউমকে যা,হিন্দু পারার কাছাকাছি যা। ,বলেযায় মহশিন। নাঁও এগিয়ে চলে। ততোক্ষনে জাল ধুয়ে মুছে নেয় জমির আর নাসির।

জালের চাকা আর স্পঞ্জ আলাদা করে সাজিয়ে নেয়। হিন্দু পাড়ার কাছে এসে এবার নাও এর মাথা ঘুরিয়ে মাঝ গাংযের দিকে নেয় শহিদ। আছলা দেইক্ষা লইস,আছলায় জানি নাও না বাযে। ,শহিদ কে বলে মহশিন। চারদিক দেখে মহশিন জাল ছাড়তে বলে গাঙ্গে।

নাসির আর কালন জাল ছাড়ে,জমির জালের জট ছাড়িয়ে দেয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.