আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সোনাইমুড়ীতে এক গৃহবধুর গায়ে কোরেসিন



পারিবারিক কোলহের জের ধরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বগাদিয়া গ্রামের হাজি বাড়িতে মঙ্গলবার এক সন্তানের জননী শারমিন আক্তার(২৫) এর গায়ে কোরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে তার মাতা জয়নুব বেগম। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী মহি উদ্দিন ও শ্বাশুরী রহিমা বেগম কে গ্রেপ্তার করেছে। খবর পেয়ে গতকাল(বুধবার) দুপুরে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাক,সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল বেগমগঞ্জ মাহবুবুর রহমান ও সোনাইমুড়ী থানার ওসি একেএম কাউছার চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থাণীয় এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্য নেয়ামত উল্যা জানান, বগাদিয়া গ্রামের হাজি বাড়ির আলী হায়দারের পুত্র সিএনজি অটোরিক্সা চালক মহিউদ্দিন ৩ বছর আগেই একই উপজেলার কৈয়া গ্রামে শারমিন আক্তারকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে অভাব অনটনের সংসারে শ্বাশুড়ী ননদের সাথে নানা বিষয়ে কোলহ- ঝগড়া লেগেই ছিল।

এর মধ্যে তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তারের জন্ম হয়। বর্তমারে যা বয়স দু থেকে আড়াই বছর। মঙ্গলবার সকালেও স্বামী-স্ত্রী ও শ্বাশুড়ীর মাঝে পূর্ব ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মহি উদ্দিন তান স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে শ্বশুড় বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে তার মা বাঁধা দেয়। সে তার নাতিকে তাদের সাথে দিতে রাজী ছিল না।

এই নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে শারমিন আক্তার বসত ঘরে দৌড়ে গিয়ে নিজের শরীরে কোরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তার আতœচিৎকারে বাড়ির লোকজন ঘরে গিয়ে তাকে পাশ্ববর্তী পুুকুরে নিয়ে শরীরের আগুন নিভোনোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ প্রদান করেন। রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেয়ার পর ভোর ৪ টার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এসময় হাসাপাতালে তার সাথে থাকা স্বামী ও তার শ্বাশুড়ী রহিমা বেগমকে স্থাণীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ আটক করে। এদিকে শারমিন আক্তারের গায়ে কোরোসিন ঢেলে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে তার মা জয়নব বেগম বাদী হয়ে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম কাউছার চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিয়ের পর থেকে নিহত শারমিনের স্বামীর সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। স্থাণীয় লোকজন এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস ও করেছিল। তারপরও সংসারে শান্তি আসেনি।

এর জের ধরে প্রাথমিক তদন্ত ও স্যাতে বুঝা যায় নিজে রাগে ােভে শরীরে কোরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এ বিষয়ে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থাণীয় লোকজনের সাথে বিস্তারিত স্যা প্রমান সংগ্রহ করছে। নিহত শারমিন আক্তারের মা জয়নব বেগম হত্যা অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে ৫টা) গ্রামের বাড়িতে আনা হয়নি। #


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.