আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাস্তায় ধানের চারা রোপন!

ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী পৌরসভার প্রধান সড়কগুলির এখন বেহাল দশা। রীতিমতো কাদাপানিতে মাখামাখি। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক গুলোদে হাঁটুপানি জমে যায়। তখন সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারী ও আশপাশের ব্যবসায়ীদের। রাস্তা গুলোর বেহাল দশার কারনে স্থানীয়রা রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানায়।

সারেজমিনে দেখা যায়, বোয়ালমারী চৌরাস্তা থেকে সোনালী ব্যাংক মোড়, ডাকবাংলা রোড এবং ওয়াপদা মোড় হতে শ্যামল সাহার ময়দার মিল পর্যন্ত রাস্তা চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কিন্তু রাস্তা মেরামতের জন্য বরাদ্ধ থাকলেও তা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের।

বোয়ালমারী পৌরসভার উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার বিশেষ বিবেচনায় ১৯ শহর উন্নয়ন প্রকল্পে অর্ন্তভূক্ত করে। এই প্রকল্পের আওতাধীন পাঁচটি রাস্তা কার্পেটিং, বাজারের পানি নিষ্কাষনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বোয়ালমারী কেন্দ্রীয় কবরস্থান উন্নয়ন এবং মানুষের চলাচলের জন্য ফুটপথ নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সময় বোয়ালমারী পৌরসভা থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এসব প্রকল্পের মধ্যে শুধুমাত্র কবরস্থান বাদে বাকি সব প্রকল্পেরই অন্য ঠিকাদারের লাইসেন্স ব্যবহার করে বোয়ালমারী পৌরসভার মেয়র নিজেই কাজ করছেন।

তাই পৌরসভার প্রকৌশল শাখার কর্মকর্তারা সঠিক মানের কাজ আদায় করতে ব্যর্থ হয়।

পৌরসভার অফিস সুত্রে জানা যায়, ১৯ শহর প্রকল্প আওতাধীন এক কোটি সাতাশি লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়াপদা মোড় হতে বারাশিয়া নদী পর্যন্ত ড্রেন, রাস্তা ও ফুটপথ নির্মাণের জন্য গত ১২.০৪.২০১২ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ইতিমধ্যেই এই কাজের সময়ের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ড্রেন বাদে কোন কাজই দশ ভাগের বেশি শেষ হয়নি। বিশেষ করে ওয়াপদা মোড় হতে রাস্তার কাজ এক বছরের বেশি হয়ে গেলেও শুরুই করা হয়নি। ওজুহাত হিসেবে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ঠিকাদার কাজ করছেন না।

ইতিমধ্যে এ কাজের সময়ের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানো হয়েছে বলে পৌর অফিস সুত্রে জানা গেছে।

কাউন্সিলর রুহুল আমিন মৃধা জানান, এ সমস্ত রাস্তাঘাটের কাজের অনিয়মের ব্যাপারে এমপি আব্দুর রহমানকে জানানো হয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগে কথা বলে ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।

এদিকে বিভিন্ন সময়ে অনিয়মের প্রতিবাদ করলেও এমপির সাথে সখ্যতা থাকায় মেয়র পার পেয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র শুকুর শেখের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.