আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাসের পেছনে লিখনঃ

সব কিছুর মধ্যেই সুন্দর খুঁজে পেতে চেষ্টা করি............

বাসের পেছনে লিখনঃ মানুষের জীবনের অভিষ্ট লক্ষ্য সম্পর্কে ও মানবতার জন্য কোনো আন্দোলন সূচিত করতে মনীষীদের নানা মহৎ কথা অ্যাটম বোমার চেয়েও শক্তিশালী। এ প্রসঙ্গে কবি নজরুল ও কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার উদ্ধৃতি দিয়েই আমার লেখা প্রসঙ্গে আসতে চাই। জাতীয় কবি নজরুল বলেছেন, "ঈমান ঈমান বল রাত-দিন ঈমান কি এত সোজা? ঈমানের কথা বলে কি কেহ বহে শয়তানি বোঝা? শোন্ মিথ্যুক এই দুনিয়ায় পূর্ণ যার ঈমান, শক্তিধর সে টলাইতে পারে ইঙ্গিতে আসমান"। সুকান্ত বলেছেন, "শোনরে মালিক শোনরে মজুতদার, তোদের প্রাসাদে জমা হল কত মৃত মানুষের হাড়/হিসাব দিবি কি তার"? "এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার"। কোলরিজ নামে এক মনীষী বলেছেন, "আমাকে মনে রাখতে হবে আমার জন্মটা যেন মৃত্যুর মধ্যেই শেষ হয়ে না যায়"।

ইদানীং অনকেগুলো বাসরে পিছনে রংগীন স্প্রে করে ইংলিশে লেখা দেখি-"সাবিহা মাগী"! কোথাওবা শুধু মাগী কিম্বা অন্য কিছু বাজে শব্দ। বুঝলামনা এই লেখার মাজেজাটা কী! "হিমালয় ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি এবং মেঘলা ট্রান্সর্পোট কোম্পানী'র প্রশংসা না করে পারি না। তারা তাদের প্রায় সব বাসে দুটো মূল্যবান বাণী লিখে দিয়েছেন। বাসের পিছনে লেখা বাণী দুটো হলো-"বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবনে"। " "দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবাসুন"।

যানজটে যখন বাস থেমে থাকে অনেকক্ষণ তখন 'হিমালয়' এবং 'মেঘলা' বাসের পিছনের এ কথা দুটো মন না চাইলেও পড়ে থাকেন হয়তো অনেকে। বার বার পড়ার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে নিশ্চয়ই বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি জাগবে শ্রদ্ধা ও দেশের মানুষের প্রতি জাগবে সত্যিকার ভালবাসা। প্রতিটি বাসের পিছনে এভাবে যদি ভালো ভালো কথা লেখার ব্যাপারে বাস মালিকরা উদ্যোগী হতেন তাহলে আমার মনে হয় এসব মহৎ কথার কারণে বাসটিই সামাজকি মূল্য পেত অনেক। আমরা যারা স্বার্থবাদী মানুষ সমাজে নিজ স্বার্থের পূজারী হয়ে শুধু বিষয়সম্পত্তি অর্জনে ধাবমান তাদের হৃদয়েও লাগতো কিছু দোলা। সরকারিভাবে প্রতিটি শিক্ষালয়ের দেয়ালে ও প্রতিটি শহরের সড়কের দু'পাশের দেয়ালে এভাবে মনীষীদের বাণী লিখে রেখে দেশের মানুষকে সত্য, ন্যায়ের পথে উদ্দীপ্ত করা যেতে পারে।

যেমন করে দেয়াল লিখন আছে-শহীদ মিনারের সামনে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।