আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ - চীন সম্পর্কের টানা পোড়েন!! শুধু ভারতমূখী নীতি নিয়ে বর্তমান বিশ্বে কতটা টিকে থাকা যাবে?



তিনদিকে ভারত বেষ্টিত বাংলাদেশের সাথে বিশ্ব পরাশক্তি চীনের সুসম্পর্ক এতদিন ভালই ছিল। বন্ধুত্বের গভীর নিদর্শন বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র, মেঘনা সেতু সহ বহু ক্ষেত্রে তারা আমাদের পরীক্ষীত বন্ধু। সেই বন্ধুত্বে আজ ভাটার টান..... "সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিনিধিদল বেইজিং সফরে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ-চীন যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠকে যোগ দেয়া। গত মাসের শেষ দিকের এ বৈঠক থেকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল বলতে গেলে শূন্য হাতে ফিরে এসেছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কতগুলো প্রকল্পে চীনা সহায়তার জন্য ৪৬৮ কোটি মার্কিন ডলারের একটি তালিকা দিয়েছিলেন প্রতিনিধিদলের হাতে। যেসব প্রকল্পে ঋণ ও মঞ্জুরি হিসেবে সহায়তা চাওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র ও পদ্মা ব্যারাজ। জানা গেছে, চীনা পক্ষ বৈঠকে বাংলাদেশে তাদের অর্থায়নপুষ্ট প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়ার শ্লথ গতির জন্য অসন্তোষ প্রকাশ করে। তবে ইআরডি সচিব জানান, জেইসি বৈঠকে পেশ করা ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে অন্তত তিনটির ব্যাপারে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে একটি সার কারখানা, একটি পানি ও বর্জø শোধনাগার এবং টেলিযোগাযোগ প্রকল্প।

বাদবাকি প্রকল্পের ব্যাপারে তারা সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তবে বহু কাঙ্ক্ষিত এই জেইসি বৈঠকে কোনো প্রকল্পের ব্যাপারেই চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়নি কিংবা চুক্তি স্বাক্ষরের আশ্বাসও দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকেই চীন বাংলাদেশকে তার বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করে আসছিল। অনেক বৃহৎ সেতু নির্মাণ, সার কারখানা স্থাপন এবং সর্বোপরি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যাপক সহায়তা করে দেশটি। জেইসি বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রতি চীনা প্রতিনিধিদলের শুষ্ক মনোভাব থেকে দৃশ্যত এটিই প্রতীয়মান হয় যে, ঢাকার প্রতি বেইজিংয়ের নীতির পরিবর্তন ঘটছে।

পিপলস ডেইলি অব চায়নার একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মিয়ানমারকে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে বর্ণনা করেছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের নাম না থাকা সত্যি অবাক করার মতো বলে মন্তব্য করেছেন দেশের কূটনীতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, বেইজিংয়ের ধারণা হচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রমেই ভারত-মার্কিন অক্ষশক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ছে। চীনা সংবাদমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী­ এ দু’টি শক্তি চীনকে বেষ্টন করে ফেলার জন্য একটি কৌশলগত জোট গঠন করছে। আর এর মধ্যে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।

সম্প্রতি মহাজোট সরকার চীনা অনুদানে নির্মিত বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হলের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র করেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস এ নাম পরিবর্তনের বিষয়টিকে মোটেই ভালো চোখে দেখেনি। এটিকে তারা এত দিনের একটি বন্ধুরাষ্ট্রের বৈরী মনোভাব হিসেবে দেখছে বলে নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, ১৯৭৬ সালের পর বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী সুসংহত করার ক্ষেত্রে চীনের ব্যাপক ভূমিকা ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের এ অংশগ্রহণে বেশ ছেদ পড়েছে।

চীন থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহসংক্রান্ত নতুন কোনো চুক্তির বিষয় সরকার এখন আর বিবেচনা করছে না। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও চীনা নির্ভরতা কমানোর জন্য প্রতিবেশী ভারতের চাপ রয়েছে। ভারতের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করা হলে চীনা পণ্যের বাজার ভারত অনেকখানি দখল করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত মাসে ভারত একটি পারমাণবিক সাব মেরিন চালু করেছে। এটিও চীনের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ।

পিপলস ডেইলি অব চায়নায় ‘ইন্ডিয়াজ আনওয়াইজ মিলিটারি মুভ’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে নয়াদিল্লিকে ১৯৬২ সালের যুদ্ধে পরাজয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ যুদ্ধে চীনের পিএলএ বাহিনী ভারতীয় বাহিনীকে উত্তর-পূর্ব সীমান্তে ধরাশায়ী করে। পত্রিকাটি ভারতকে ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের ভুল অভিযান থেকে বিরত থাকার জন্য সাবধান করে দেয়। উদ্ভূত নয়া পরিস্থিতিতে চীন ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে মাখামাখি সম্পর্ককে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরাম সম্প্রতি পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে বলেছেন, বাংলাদেশে নয়া সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ঢাকার সাথে সমঝোতা ও বন্ধুত্বের মাত্রা আগেকার সরকারগুলোর সময়ের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ অবস্থায় বেইজিং মনে করে, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অক্ষশক্তির প্রতি ঝুঁকে পড়ছে এবং এর ফলে এ অঞ্চলে চীনা স্বার্থ হুমকির মুখে পড়ছে। ফলে চীন বাংলাদেশকে যেকোনো আর্থিক সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে আগে ঢাকার মতিগতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্র জানা গেছে। " >তবে কি আমরা অবিবেচকের মতো কোন ঝুকির মাঝে ঝাপিয়ে পড়তে যাচ্ছি >এদিকে এতদিনের নিরব প্রতিবেশী মায়ানমার হঠাৎ আজ মারমূখো! সমুদ্রসীমার দখল নিতে মরিয়া!! একি শুধু শুধুই??? >আবার ভারত সেখানে ঘরপোড়া আগুনে আলু সেদ্ধ করার মতোই মায়ানমারের ব্যবাসায়িক অংশীদার!!!! আবার নিজেও তালপট্রি সহ সমুদ্র সীমার ব্যপক দখল নিতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায়... >বর্তমান বিশ্ব ব্যাবস্থায় শুধু ভারতমূখী নীতি নিয়ে বিশ্বে কতটা টিকে থাকা যাবে সংবাদ সূত্র :http://www.dailynayadiganta.com/fullnews.asp?News_ID=160884&sec=1

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.