আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কন্সপিরেসি উইদিন

সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com

আবদুর রাজ্জাক এমপি যেইদিন টিপাইমুখের উদ্দেশে রওয়ানা করলেন, সেইদিন থিকাই তিনি রাজি। কইতেছিলেন, সেচ প্রকল্প হইলে তীব্র বিরোধিতা করবো। মানে হইলো, বিদ্যুত প্রকল্প হইলে উনি রাজি। ওইটা যে, বিদ্যুত প্রকল্প সেইটা ভারত অনেকদিন ধইরাই কইতেছে।

কিন্তু নানা সূত্রে জানা যাইতেছে শুধু বিদ্যুত না সেচও হবে। টিপাইমুখের উজানে ফুলেরতালে সেচ প্রকল্প হইতেছে। সেচ প্রকল্প হইতেছে এইটা জানার জন্য আবদুর রাজ্জাকের দিল্লি যাওয়া লাগে না। পিনাকরঞ্জনকে জিগাইলেই হইতো। ফাও ফাও আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের মোক্ষম সময়ে ইনডিয়া গিয়া কী লাভ হইলো? প্রেসিডিয়ামের পদ হারাইলেন মি. রাজ্জাক।

কথিত আছে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগেই নাকি তিনি ও তার সঙ্গীরা বাদ পড়ছেন। দল থেকে খেদানো এমন এক নেতা স্পর্শকাতর বিষয়ে দিল্লি ও হেলিকপ্টার সহ নানা জায়গা সফর করলেন। আইসা কইলেন, টিপাইমুখে ক্ষতি হবে না। ভারত বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এইরাম কাজ করবে না। এই কথা বলার জন্য তো আমরা আবদুর রাজ্জাককে ভোট দিয়া এমপি বানাই নাই।

এই সব বলার জন্য ভারতের বেতনভূক কর্মকর্তা পিনাকবাবু আছেন। পরন্তু, যে লোকরে মাননীয় শেখ হাসিনা বিশ্বাস কইরা মন্ত্রিসভায় জায়গা দেন নাই, প্রেসিডিয়ামে জায়গা দেয় নাই। আওয়ামী লীগ যারে বিশ্বাস করে না, সেই লোকরে আমরা কেমনে বিশ্বাস করি? আরেকটা কথা মনে করাই, খালেদা জিয়া যেইদিন টিপাই নিয়া সংবাদ সম্মেলন করলেন। সেইদিন প্রধানমন্ত্রী কী কইছিলেন মন করেন। কইছিলেন, এ বিষয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ভারত সুযোগ নিবে।

আর এর পরদিন, একেবারে উপযাচক হয়া আবদুর রাজ্জাক কইছিলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্র করতেছে বা রাজনীতি করতেছে। অর্থাৎ টিপাইমুখ নিয়া আবদুর রাজ্জাক প্রধানমন্ত্রীর চাইতেও আগায়া আছেন। উনি হয়তো বুঝাতে চাইতেছেন, শেখ হাসিনার চাইতে দিল্লির বেশি কাছে উনি পৌঁছাইছেন। দিল্লি থেকে এসে উনি কইলেন, ক্ষতি হবে না। কোনো নতুন তথ্য উনি দিতে পারলেন না।

কোনো নতুন কাগজ দিতে পারলেন না। কইলেন ক্ষতি হবে না। কোনো বিচার বিশ্লেষণ, সরকারের কাছে বা সংসদে রিপোটিং না কইরা উনি এই কথা কইলেন। এর মধ্য দিয়া তিনি সরকার, সংসদ বিশেষ কইরা প্রধানমন্ত্রীকে বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্র করলেন। আবদুর রাজ্জাক হয়তো ভারতকে জড়ায়ে ধইরা আওয়ামী লীগে পুনর্বাসিত হওনের মানসে ডেভিলস অ্যাডভোকেসিতে মত্ত হইছেন।

বুঝা যাইতেছে, অবস্থানগত কারণে সংসদীয় দলের প্রধান হইলেও মি. রাজ্জাকের কথায় বিশ্বাস করা যাইতেছে না। ফলে, তার এই সফর, হেলিকপ্টার নাটক ইত্যাদিকে লস প্রজেক্ট হিসাবে ইগনোর কইরা নতুন করে শুরু করতে হবে। এখন আবদুর রাজ্জাকের সেচ ও বিদ্যুত তর্কে যাই। জাস্ট একটা চবি দেখেন। আমাদের কাপ্তাই বিদ্যুতকেন্দ্র বিদ্যুত প্রকল্প।

এইটা করতে গিয়া জলবায়ু ও ভূমিরূপের কি পরিবর্তন হইছে ছবিতে দেখেন। আবদুর রাজ্জাকের কথা সত্য ধরলেও ক্ষতি হবেই। কাপ্তাইয়ের চেয়ে টিপাই প্রকল্প অনেক অনেক বড়। ফলে, এই ক্ষতিই যথেষ্ট। টিপাইয়ে পানি প্রত্যাহার বা ফুলেরতাল লাগবে না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।