আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সার্চ ইঞ্জিন সাবমিশন - কেন এবং কখন দরকার

ফটোগ্রাফি, ভ্রমন, সিনেমা, ওয়ার্ডপ্রেস, এবং সব এলোমেলো ভাবনা
এসইও ফোরামগুলোতে ঢু মারলেই শত শত বিজ্ঞাপন চোখে পড়বে - "১০০+ সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটটি সাবমিট করা হবে মাত্র ২৯৯ ডলারে!"। স্বভাবত চোখ কপালে উঠে যায় - বাপরে! এতগুলো সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট! না জানি কি পরিমান ভিজিটর আসবে সেখান থেকে! আমরা বাঙালীরা যদিও সেইদিকে ঘেষব না (ক্রেডিট কার্ডের সমস্যার জন্যই মূলত!), কিন্তু অনেকেই সেই প্রলোভনে পা দিয়ে গাটের পয়সা খরচ করে সার্চ-ইঞ্জিনে তাদের সাইট সাবমিশন করে - ট্রাফিক না এলে রোজগার হবে কিভাবে! এই বিজ্ঞাপনদাতারা কিন্তু কখনোই বলে না, আপনার সাইটটি সার্চ-ইঞ্জিনে সাবমিট করার আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কি না। ইন্টারনেট ট্রাফিকের সবচেয়ে বড় অংশটি আশে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল থেকে - প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। বাকী অংশের প্রায় বেশীরভাগটাই ইয়াহু এবং মাইক্রোসফটের দখলে। বাকী খুব সামন্য অংশ চার-পাঁচটি সার্চ-ইঞ্জিন থেকে।

কাজেই ১০০+ সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পাওয়ার কথাটাই প্রথমে বোগাস। আপনাকে চিন্তা করতে হবে বড় দু-তিনটা সার্চ-ইঞ্জিন নিয়েই। এখন কথা হচ্ছে, বড় সার্চ-ইঞ্জিনগুলোতে আপনার সাইটটি সাবমিট করার প্রয়োজনীয়তাটা কি? কোনই প্রয়োজন নেই যদি আপনার কিছুটা ধৈর্য্য থাকে। নতুন কোন সাইটকে খুঁজে পেতে এবং তার ডাটাবেজের অন্তর্ভূক্ত করতে সার্চ-ইঞ্জিনের কিছুটা সময় লাগে। গুগলের ক্ষেত্রে সেটা চার দিন থেকে চার সপ্তাহ্ পর্যন্ত হতে পারে।

সার্চ-ইঞ্জিনগুলো প্রতিটা সাইটের গুরুত্ব একটি স্কেলে মাপে, গুগলের ক্ষেক্রে যার নাম "পেইজ-রেঙ্ক"। এর মান ১-১০ পর্যন্ত হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাইটগুলোর মান হয় ১০। সার্চ-ইঞ্জিনগুলোর সাইট খোঁজার জন্য একটি করে প্রোগ্রাম আছে যাকে বলে ক্রলার। গুগলের ক্রলারের নাম হচ্ছে "গুগল বট", ইয়াহু!-র "ইয়াহু! স্লার্প" ইত্যাদি।

এই ক্রলারগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাইটগুলো থেকে সাইট খোঁজা শুরু করে। এই সাইটগুলোতে অন্য যেসব সাইটের লিংক পায়, প্রথমে তাদের অন্তর্ভূক্ত করে। এরপর সেই সাইটগুলোতে যাদের লিংক পায় তাদের। এভাবে লিংক ধরে ধরে চলে তাদের অন্তর্ভূক্তির কাজ। সর্বশেষ লেভেলের লিংকগুলো অন্তর্ভূক্ত করার একটি চক্র পূর্ণ করতে মোটামুটি চার সপ্তাহ্ সময় লাগে।

এজন্যই কোন সাইট অন্তর্ভূক্তির জন্য গুগলের ক্ষেত্রে চার সপ্তাহের কথা বলা হয়। একটি চক্র শেষ হলে আবার শুরু হয় প্রথম থেকে আপডেট করার কাজ। তাহলে আপনার নতুন সাইটটি সার্চ-ইঞ্জিন কিভাবে খুঁজে পাবে? দুটো উপায় আছে। হয় এমন একটি সাইট থেকে আপনাকে একটি লিঙ্ক পেতে হবে যে সাইটটিকে সার্চ-ইঞ্জিন ইতিমধ্যেই তার ডাটাবেইজে অন্তর্ভূক্ত করেছে, এবং লিঙ্কটি হতে হবে ডু-ফলো - অর্থাৎ সেই লিংকটিকে সার্চ-ইঞ্জিনে অন্তর্ভূক্তির অনুমতি দেয়া আছে। ফলে সার্চ-ইঞ্জিন লিংক ধরে ধরে খুঁজতে খুঁজতে আপনার সাইটটিকে পেয়ে যাবে এবং অন্তর্ভূক্ত করবে।

আর দ্বিতীয় উপায়টি হচ্ছে আমাদের আলোচ্য বিষয় "সার্চ ইঞ্জিন সাবমিশন"। প্রতিটি সার্চ-ইঞ্জিনেই একটি পেইজ আছে নতুন সাইট সাবমিট করার জন্য। এখানে যদি আপনি সরাসরি আপনার সাইটের ঠিকানা এবং বর্ণনা লিখে জমা দেন, সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটটিকে কোন খোঁজাখুঁজি ছাড়াই সরাসরি অন্তর্ভূক্ত করবে। সেক্ষেত্রে সময় লাগবে এক মাসের বদলে মাত্র এক দিন। যদিও সার্চ-ইঞ্জিনগুলো কোন সাইটকে অন্তর্ভূক্তির নিশ্চয়তা দেয় না, কিন্তু সাধারনত সাবমিট করা হলে এরা সাইটটিকে অন্তর্ভূক্ত করে ফেলে।

কিভাবে বুঝবেন আপনার সাইটটি সার্চ-ইঞ্জিনে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে কি না? সার্চ-ইঞ্জিনে গিয়ে inurl:site address লিখে সার্চ দিন। site address এর জায়গায় আপনার সাইটটির পুরো ঠিকানা লিখতে হবে। যদি আপনার সাইটটি খুঁজে পান তাহলে বুঝতে হবে সাইটটি সেই সার্চ-ইঞ্জিনে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। আর না হয়ে থাকলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আরেকবার সাইটটিকে সাবমিট করুন, অথবা কয়েকটা ব্যাকলিংক তৈরী করুন।

তবে সাবমিশন মাসে একবারের বেশী নয়। আশা করা যায়, শীঘ্রই সার্চ-ইঞ্জিন আপনার সাইটটিকে খুঁজে পাবে। --------------------------------------------------------------------------------- Bangladesh Travel Assistance - Free travel info on Bangladesh
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.