আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাঠ্যবইয়ে ছোট(?) কিছু ভুল

কারার ঐ লৌহ-কপাট ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট রক্ত-জমাট শিকল পুজার পাষাণ-বেদী ওরে ও তরুণ ঈশান বাজা তোর প্রলয় বিষাণ ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচী-র প্রাচীর ভেদি আমাদের দেশে বই গুলো যেন আমাদের মস্তিষ্কে পছন্দমত বিষয় ঢুকিয়ে দেবার সব চেয়ে ভালো উপায়। স্বীকৃত কবিদের লেখা বাদ দিয়ে রাজনৈতিক(?) কবির লেখা আর নেতা ভিত্তিক পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক এখন। তবে কিছু ক্ষেত্রে কিছু জিনিস না বলে পারি না। ১) প্যারেনকাইমা টিস্যু নাকি কোষ? নবম শ্রেণি, জীববিজ্ঞান, পৃষ্ঠা ১৭, বলা হয়েছে প্যারেনকাইমা এক প্রকার টিস্যু অথচ তার পরের পেজে বলা হয়েছে কোলেনকাইমা টিস্যু বিশেষ ধরনের প্যারেনকাইমা কোষ নিয়ে গঠিত। ২) নবম শ্রেণি,জীববিজ্ঞান, পৃষ্ঠা ৭৫,মুখে টায়ালিন নামক এনজাইমের উল্লেখ আছে, কাজ বলা আছে মুখগহ্বরে কিন্তু আসল কথায় বলা নেই যে এটি মুখ গহ্বরে কাজ করে না করে পাকস্থলীতে এসে।

আর কেনই বা এমন বৈষম্যমূলক আচরন করে টায়ালিন তার উল্লেখের আশা করা উচিত নয়। ৩)নবম শ্রেণি, বিজ্ঞান,পৃষ্ঠা ৬২, ডায়াবেটিস ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ(?) এটি পড়ার পর আমি ক্লাসে এক দু সেকেন্ড চুপ মেরে ছিলাম। এই আশা করি কাউকে ব্যাখ্যা দিতে হবে না এই লাইনে সমস্যা কি। বর্তমান নবম শ্রেণির বই গুলোতে অনেক বিষয় আপডেট করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে পরবর্তী শ্রেণি মানে একাদশ শ্রেণির বইয়ের পরিবর্তন কাম্য। নবম শ্রেণির বইয়ের কিছু কিছু অংশে কিছু সমন্বয়হীনতা রয়েছে বলে মনে করি।

যেমন হঠাৎ করে ক্লিনিক্যাল টার্ম কোন ব্যাখ্যা ছাড়া, একটু পরেই আবার তার উদ্ভট একটি বাংলা নাম, ঠিক জানি না এর পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।