আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধারাবাহিক গল্প (শেষাংশ) পরীক্ষার্থী

আবজাব বিষয়বস্তুর ব্লগ এটি। ভালো কিছু খুঁজে সময় নষ্ট করবেন না।

... ... ... ... মা চেঁচিয়ে উঠলেন, গাধাটা কাজ আর পেল না। বিয়ে করে বউ নিয়ে বাড়িতে এল। আমাকে বললেও তো পারতো।

তিন বার পরীা দিয়ে ফেল করে চতুর্থ বারে বিয়ে করে বউ নিয়ে এল। কোথায় সেই গাধাটা? ধরে নিয়ে আয়। আজ তাকে কান ধরে উঠ-বস করাব। বিয়ে করার সাধ মেটাব। মা এত জোরে কথা বলছেন কেন? চেঁচা মেঁচি করার মত কিছুই হয়নি।

পাশের ড্রয়িং রুমেই নীলা বসে আসে। শুনতে পেলে অবস্থা খারাপ হবে। কি! তুই আমাকে আস্তে কথা বলতে বলছিস। তোর তো সাহস কম নয়। মা, এখানে সাহসের কথা উঠছে না।

এখানে উঠছে মান সম্মানের কথা। বিয়ে করেই ফেলেছে কি আর করার। এখন শান্ত হয়ে বাড়িতে তুলে নেন। কি বললি? আমি ঐ মেয়েকে বাড়িতে তুলে বে? তোদের মাথা খারাপ, তাই বলে কি আমারও মাথা খারাপ? ওকে আমি বাড়ি থেকে বের করে দেব। এুনি দেব।

মা, আপনি পাগল হয়েছেন নাকি? এই রাত দশটায় মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে সে কোথায় গিয়ে উঠবে। তাছাড়া পুলিশের ঝামেলায় হবে। তার চেপে যান। এতে আমাদের মান-সম্মানও ঠিক থাকবে, মেয়েটার জীবনও বাচঁবে। মা চুপ করে গেলেন।

আর কোন কথা বললেন না। চুপচাপ বিছানায় শুয়ে পড়লেন। জেসমিন দ্রুত পায়ে বাহির এসে এমদাদকে ফরহাদের ঘরটা সাজাতে বলে নীলাকে খবর দেবার জন্য ডয়িং রূমে ঢুকল। নীলা তখনও কাঁপছে। জেসমিনকে দেখে কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে বলল, আ-পা।

সব ঠিক। মা রাজী হয়েছেন। তুমি বসে থাক। আমি ফরহাদকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। রাত ১২ টা।

জেসমিন বলল, নীলা তোর ঘরে আছে। তুই যা ওখানে। যাচ্ছি। তার আগে তোমার সাথে খানিণ গল্প করতে চাই। আজ রাত আমার সাথে গল্প করার রাত নয়।

আজ রাতে তোর নীলার সাথে গল্প করার রাত। যা তুই তার সাথে গল্প কর। না আপা, ওর সাথে গল্প করার অনেক সময় আছে। তার আগে তোমার মনটাকে কিয়ার করতে হবে। তুমি ঝোকের মাথায় আমার অবস্থা দেখে সব মেনে নিয়েছে।

কিন্তু আসল ঘটনা জান না । বিয়ের আসল ঘটনাটি বলি। বল তবে সংেেপ বলবি। ঠিক আছে বলছি। ব্রেঞ্চে বসি।

তারপর বলি। বস। ফরহাদ বারান্দায় রেলিং গলে বাহিরে তাকিয়ে বলল, চঞ্চল আমার ঘনিষ্ট বন্ধু। তার সঙ্গে নীলার মন দেয়া নেয়া ছিল। তবে আমিও মনে মনে নীলাকে ভালবাসতাম।

কিন্তু চঞ্চলের দিকে চেয়ে তা প্রকাশ করতাম না। আজ পরীা দিতে হলে ঢুকব। ঠিক সেই সময়ে নীলা আমার সামনে এসে হাউ মাউ করে কাঁদতে লাগল। সে কাঁদতে কাঁদতে যা বলল, তা হচ্ছেÑ গতকাল রাতে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিকেলে সে চঞ্চলের সঙ্গে দেখা করে বলে, বিয়ের আগেই সে পালিয়ে তার কাছে আসবে।

সব ব্যবস্থা কমপ্লিট। এসেই বিয়ে করার জন্য কাজীও রেডি। কিন্তু তার ভাগ্য ভাল নয়। চঞ্চলের কাছে এসে দেখে তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে একটা মাডার কেসের আসামী হিসাবে। চঞ্চল ভাল ছেলে ছিল না।

কোন রকমে রাতটা পার করে সকালে এসেছে আমার কাছে। সে একটু একটু জানে তার প্রতি আমার দূবলতার কথা। পরীা আর দেয়া হল না। সংগে সংগে আমার বন্ধু আনিসসহ আরও কয়েকজন মিলে আমাদেরকে কাজীর কাছে নিয়ে গেল। তারা কিছুতেই ছাড়তে চায়না।

বিয়ে দিয়ে তবে ছেড়েছে। তারা ঠিকই করেছে। তোকে যদি বিয়ে না দিত তবে পরীার হাত থেকে নি®কৃতি পেতি না। না তা নয়। আমি আবার সামনের বছর পরীা দেব এবং তুমি দেখে নিও আমি পাশ করবই করব।

ঠিক আছে এসচ এস সি পাশের আগে আজকের পরীায় পাশ কর। যা ঘরে যা। নীলা বেচারী একা একা আছে। আপা ভাল হচ্ছে না কিন্তু। ভাল না হলে না হবে তুই যা।

যাচ্ছি যাচ্ছি। ফরহাদ চলে যাচ্ছে। জেসমিন তার দিকে তাকিয়ে আছে। ছেলেটা পড়ালেখায় গবেট হলেও জীবন সংসারে সুখী হবে। কেমন সুন্দরভাবে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে সে হেটে যাচ্ছে নীলা নামের মেয়েটির কাছে।

মনে হচ্ছে তার কোন প্রকার চিন্তা নেই। নীলা আসলেই সুখী হবে এমন একটা ছেলেকে ভাগ্যের জোরে বিয়ে করে। আর নাই ... ... ... শ্যাষ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।