আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধারাবাহিক গল্প-২ পরীক্ষার্থী

আবজাব বিষয়বস্তুর ব্লগ এটি। ভালো কিছু খুঁজে সময় নষ্ট করবেন না।

গত রাতে সর্বণ পড়াশুনা করার পরও ফরহাদ বুঝতে পারছেনা তার ইংরেজী পরীাটা কেমন হল। কেউ ‘পরীা কেমন হয়েছে’ জিজ্ঞেস করলে ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকছে। নিজেই যেখানে বুঝতে পারছে না সেখানে অন্যকে কি বুঝাবে।

তবে এখন তার মনে আর একটা নতুন আশংকা দেখা দিয়েছে। আর তা হলÑ সে মনে হয় রোল নং এর স্থানে রেজিস্ট্রেশন নং এবং রেজিস্ট্রেশন নং এর স্থানে রোল নং লিখেছে। তবে এটা তার অনিশ্চিত আশংকা। নাও হতে পারে। তবুও সে শান্তি পাচ্ছে না।

সেই অনিশ্চিত আশংকা নিয়েই সে পরীা দিতে লাগল। অর্থনীতি ২য় পত্র পরীার দিন সে বাড়ী ফিরল রাত ৯টায়। মা তো েেপ টং। কিন্তু তিনি রাগটা প্রকাশ করলেন না। তার ছেলে যে বাসায় এসেছে এতেই তিনি খুশি।

মনে মনে তিনি ভেবেছিলেন না জানি বুঝি সে পরীায় এক্সফেইল হয়েছে। এই কারণে বাসায় আসছে না। রাত ৯টায় তার সে ভয় কেটে গেল। জেসমিন মায়ের ঘরে ঢুকে বলল, মা ফরহাদ এসেছে। তিনি কোন কথা বললেন না।

একবার শুধু মেয়ের দিকে তাকালেন। জেসমিন শুধু তার মাকে ফরহাদ-এর আগমনের কথা বলেছে। তার সঙ্গে আরও একজন এসেছে তার কথা সে বলেনি। না জানি হঠাৎ মা আবার রেগে উঠতে পারে। সেই নতুন আগন্তকের কথা শুনলে তিনি রেগে উঠবেনই।

তাই তার আগে মাকে মেনেজ করতে হবে। মাকে মেনেজ করার দায়িত্বটা ফরহাদ জেসমিনকেই দিয়েছে। ড্রয়িং রুমের সোফাটায় নীলা বসে আছে। সেই কতণ ফরহাদ তাকে বসে রেখে চলে গেছে তারপর আর কেউ আসেনি। নীলাই হচ্ছে ফরহাদের সংগে আসা আগুন্তুক।

জেসমিন দরজা খোলার সংগে সংগে চমকে উঠলেও ফরহাদ তাকে খুব সহজেই মেনেজ করেছে। এত সহজে যে সে মেনেজ হবে তা তার ধারণার বাইরে ছিল। ফরহাদ তাকে এমনভাবে মেনেজ করেছে যে সে নিজেই মাকে মেনেজ করার দায়িত্বটা নিয়েছে। নীলার এখন একটু একটু করে ভয় লাগছে। ধীরে ধীরে সেই ভয়টা সারা শরীরে স্থান নিচ্ছে।

তার ফলে তার সমস্ত শরীর কাঁপছে। দুপুরে ফরহাদ তাকে আশ্বাস দিয়ে বলেছে, কোন ভয় নেই। মা মেনে নেবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তার মা হয়ত মেনে নিতে রাজি হচ্ছে না। তা না হলে এতণ কেউ এ ঘরে আসছে না কেন? নীলার শরীর যখন কাঁপছে আর মনে মনে অনিশ্চিত ভাবনা ভাবছে ঠিক সেই সময়ে ঘরে প্রবেশ করল এমদাদ।

দরজার পর্দা নড়া দেখে নীলার শরীর আরও কাঁপতে লাগল। এমদাদ ঘরে ঢুকে বলল, আপনি কি নীলা? জ্বী। কোন ভয় করবেন না। মা নিম রাজী হয়েছেন। রাজী হতে বেশিণ দেরি নেই।

চুপচাপ বসে থাকবেন। নড়াচাড়া, কাঁপাকাঁপি করবেন না। বা শেষ মুহূর্তে এসে বের হয়ে চলে যাবার চেষ্টা করবেন না। আমি ফরহাদের ছোট ভাই। আপনি আমার ভাবী।

এমদাদ চলে গেল। নীলার মনে হল এখন সে একটু শান্তি পাচ্ছে। আরো আছে ... ... ...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।