আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিপাইমুখে বাঁধ: প্রবাসীব্লগারদের কাছে একটি ছোট্ট খোলাচিঠি

নর্দমার রাত, হিরন্ময় তাঁত

অতীত: একদা কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বাড়ানো ও সেচের জল যোগান দেয়ার জন্যে বাঙলাদেশ সীমানার ১১ মাইল উজানে মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা নামক স্থানে একটি বাঁধ দেয়া হয়। ১৯৫১ সালে ভারত এ পরিকল্পনা করে এবং ১৯৬১ সালে বাঁধের কাজ শুরু হয় এবং ১৯৭৪ সালে তা শেষ হয়। পরীক্ষামূলকভাবে বাঁধ চালুর কথা বলে তারা স্থায়ীভাবে চালু করে দেয়। ফলে পদ্মা মরুভূমিতে পরিণত হয়, বাঙলাদেশের ৩৭ ভাগ অঞ্চল ও ৩ কোটি মানুষ ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আসছে। শ্লোগান ছিলো ফারাক্কা বাঁধ-- মরণফাঁদ।

এই ফাঁদের বিপক্ষে মৌলানা ভাসানি দেশের আমজনতাকে নিয়ে লং মার্চ করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ভবিষ্যত: এখন টিপাই মুখে নির্মিত হচ্ছে আরেকটি বাঁধ। যার ফলে দেশের সবচেয়ে বড় নদী মেঘনার কী পরিণতি হবে এবং কতোভাগ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা এই পোস্টে বলা বাহুল্য। কেননা ইতোমধ্যে এই বিষয়ে অনেক লেখা আপনারা পড়েছেন। করণীয়: ঢাকায় যখন ৮০০টাকা কেজি ইলিশ বিক্রি হয়।

তখনো ইলিশ মানুষ কিনে খায়। যারা কিনতে পারে, টিপাইমুখ বাঁধে তাদের কিছু যায় আসে না। বরং বাঁধ না হলেই ক্ষতি হয় খানিকটা। পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় ভারত বলেন কিংবা বাঙলাদেশ বলেন সব রাষ্ট্রচরিত্রই এক। রাষ্ট্রের সরকার কখনোই আমজনগণের স্বার্থ দেখে না।

সুতরাং যা করার আমজনতাকেই করতে হবে। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ প্রতিরোধে দেশের যারা আন্দোলন করার করছেন। এবং করবেন। আমি নিজেও একদা বিবিয়ানা অভিমুখে চট্টগ্রাম থেকে লংমার্চ এ অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমাদের সাথে মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আনু মুহাম্মদ সহ অনেকেই ছিলেন।

বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড আমাদের দেশের অভ্যন্তরে বলে সেই আন্দোলন সফল হয়েছিলো। কিন্তু টিপাইমুখ আমাদের দেশের অভ্যন্তরে নয়। সুতরাং দেশের জনগণ আন্দোলন করে সরকার কে চাপ দিতে পারবে ঠিকই। কিন্তু সরকার কিছু করবে বা করতে পারবে বলে মনে না করে আমাদের উচিত আন্তর্জাতিকভাবে ভারতকে চাপ দেয়া। প্রবাসী বন্ধুরা যারা আছেন, যারা স্রেফ সময়কাটানোর জন্যে ব্লগিং করেন না, এটা কে সিরিয়াসলি নিয়েছেন, যাদের রক্তবীজ প্রোথিত এই মাটিতে-- আপনারাই পারেন আন্তর্জাতিক গণমত তৈরি করতে।

এবং ভারতকে চাপ দিতে। কীভাবে গণমত তৈরি করবেন তা আপনাদের অবস্থান থেকে আপনারাই ভালো বলতে পারেন। তবে একটা পরামর্শ আপনাদের নিজ নিজ কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। জয় হোক। ------------------------------------------------------------------------------- *বাঁধ নির্মাণ সম্পর্কে তথ্যের জন্যে আমার আগের একটি পোস্ট দ্রষ্টব্য: Click This Link


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.