এক
কিযে তার নাম দেবে
নিজেই জানেনি কখনো।
মুঠো মুঠো সোনালী আলোর কণা ঝরে পড়তো
ও এলে।
আগুন ।
হতে পারতো ওর নাম ।
বিকালবেলা ছায়া পড়ে এলে
কাঠবিড়ালীরা যখন ঘাসের বুকে লুটোপুটি খেলায় মাততো
আগুন এসে দাঁড়াতো ওর আঙিনায়।
অপেক্ষার মধুর সময়গুলোকে
কখনো বিরক্তিকর করেনি সে।
ঘড়ির কাঁটা চারটার ঘর ছুঁই ছুঁই করতেই
আগুনের সুরভিত মূর্ছণায় ভরে যেতো চারিদিক।
কোন সে ফুল কে জানে!
কিছু মানুষ এমনই ।
যেখানেই যায়
নানান ফুলের সৌরভ এ ভরে যায় চারদিক।
দুই
আজবিকাল চারটায় আগুন আসবার কথা ছিল।
আগুন তো এলোনা শুধু বৃষ্টি এলো।
মন খারাপ করা একা সময়ের হাতধরে
কখন যে সন্ধ্যা নেমে এলো!
আগুন আসবে বলে আকাশ সেজেছিলো আজ।
মেঘেরা বাজাচ্ছিল আনন্দধ্বনি।
শুধু ও এলো না বলেই
বৃষ্টিধারায় ভিজে গেলো সারা বিকেল এর রৌদ্দুর।
রংধনুটা পশ্চিমাকাশকে আলো করে দিলো যখন।
আগুন এলো তখুনি।
পরনে ময়ূরকন্ঠী রং শাড়ি।
কপালে কুমকুম টিপ।
সন্ধ্যামালতীর সৌরভ এ ভরে গেলো চারিদিক।
বুকের মধ্য তখন ওর নদীর পাড় ভাঙার শব্দ।
শুধু আগুনের জন্যই এমন রংধনু সন্ধ্যার বেহাগ!
শুধু প্রজাপতি মেয়েটা যদি তা জানতো!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।