আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অলংকার কথন

!!!
ভারতের বিখ্যাত জয়পুরী অলংকার আজ পথ চলতে কোন রমণীর দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন? তাঁকে কোন অলংকার ছাড়া কি দেখেছেন? ন্যূনতম একটি কানের দুল ছাড়া? মনে হয় না। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে স্বপ্নের রূপ দিতে অলংকরণ নারীর চিরায়ত সাধ। বাঙ্গালী রমণী সৌন্দর্যকে আত্মস্হ করতে ব্যাকুল। ইতিহাসের বিভিন্ন অধ্যায় নারীর এই আকুলতাকে রূপ দিয়েছে নবসৃষ্টির মাধ্যমে। শব্দের উৎপত্তি: ১৩ শতকে সর্বপ্রথম অলংকার শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

ধারণা করা হয় ফরাসী শব্দ Jowel থেকে ইংরেজি Jewellery শব্দটি এসেছে। আবার অনেকের মতে ল্যাটিন শব্দ Jocale থেকে Jewellery শব্দের উৎপত্তি ঘটেছে। তবে বলা যায় অলংকারের ইতিহাস বেশ পুরানো। অলংকারের উপকরণ: জেমস্টোন, ব্রোঞ্জ, গোল্ড, হোয়াইট গোল্ড, ডায়মন্ড, প্লাটিনাম, টাইটেনিয়াম, পার্ল, সিলভার ইত্যাদি অলংকার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বিখ্যাত ও অভিশপ্ত হীরা "হোপ" এবং অন্যান্য আমেরিকাসহ ইউরোপের অধিকাংশ দেশগুলোতে স্বর্ণ, হীরা, প্লাটিনাম, হোয়াইট গোল্ড ও মুক্তার অলংকারের প্রচলন বেশী।

অপরদিকে এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে স্বর্ণ, রৌপ্য, বিভিন্ন ধরণের পাথর এবং স্টেইনলেস স্টিলের ব্যবহার বেশী। তবে কাঁচ, কাঠ, হাড়, আইভরি, পোড়ামাটি এমনকি প্লাস্টিকও বর্তমানে উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রচলন: ১৮৩৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং ১৮৪৭ সালে ফ্রান্সে প্রথম আধুনিক স্বর্ণ ব্যাবসার গোড়াপত্তন হয়। ১৯২০-১৯৩০ সাল পর্যন্ত অলংকারের আর্ট ডিকো ধরনটি বহুল ব্যবহৃত ছিল। আর্ট-ডিকো ভারতবর্ষে অলংকার ব্যবহারের ইতিহাস ৫ হাজার বছরের পুরানো।

ইন্দো-ইউরোপীয়ানরা সর্বপ্রথম অলংকারের ব্যবহার শুরু করে। একই সময় চীনেও অলংকারের প্রচলন ঘটে। তবে চীনারা বৌদ্ধ ধর্মের প্রতীক হিসেবে ২ হাজার বছর আগে অলংকার ব্যবহার করে। চীনারা গোল্ডের চেয়ে সিলভারের অলংকার বেশী পরে এবং নীল রঙ দিয়ে সাজিয়ে নেয়। আমেরিকার দক্ষিণ পেরুতে প্রায় ৪ হাজার বছর আগে অলংকারের ব্যবহার শুরু হয়।

মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকাতে আধুনিক অলংকারের ব্যবহার শুরু হয় প্রায় ৫ হাজার বছর আগে। অলংকারের আধুনিকীকরণ: বাহারী ডিজাইন ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী ১৯৪০ সালে অলংকারে শৈল্পিক ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের ছোঁয়া লাগে। এক্ষেত্রে জর্জ জেনসন অলংকারের উপকরণ, রঙ, ডিজাইনে নতুনত্ব আনেন এবং অলংকারে মুক্তা ও হীরার ব্যবহারকে জনপ্রিয় করেন। কিন্তু অলংকার যে একটি শিল্প এই ধারণাটি সর্বপ্রথম ইংল্যান্ডের ডিজাইনার রবার্ট-লি-মরিস নিয়ে আসেন। প্রেক্ষিত বাংলাদেশ: বাংলাদেশে মূলত স্বর্ণের চাহিদাই বেশী।

আমাদের বিয়েতে কনেকে স্বর্ণের অলংকার ছাড়া কি মানায়? স্বর্ণালংকারে প্রায় আবৃত বিয়ের কনে তবে এখন অনেক ডিজাইনারই পরিবেশ বান্ধব অলংকার তৈরি করছেন। এক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে কচুর আঁশ, নারিকেলের ছোবড়া ইত্যাদি। দেশী অলংকার এই সময়ে ডিজাইনাররা ক্রেতার শখ ও পেশার দিকে লক্ষ্য রাখেন যাতে সকল শ্রেণীর ক্রেতা এটা ব্যবহার করতে পারেন। ---------------------------------------------------------- তথ্য ও ছবি: দেশীয় পত্রপত্রিকা ও ইন্টারনেট
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।