আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুনলাম শাহাদত বাহিনী চান্দা চাইছে পল্লবীর এমপি ইলিয়াস মোল্লার কাছে!

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

কালা জাহাঙ্গীরের পরে চান্দাবাজির জগতে যার নামটা সবচেয়ে বেশী উচ্চারিত হইতেছে সেইটা হইলো শাহাদাত। তবে সমস্যা হইলো কোনটা আসল শাহাদাত বাহিনী আর কোনটা নকল তা শনাক্ত করতে মিরপুর বাসী হিমশিম খাইতেছে। তবে ভূক্তভোগীরা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে কইলো একটা মোটা অঙ্কের টাকা চাইয়া যদি নিগোসিয়েশন শুরু করে চান্দাবাজরা এবং অনেক কম অঙ্কে রাজী হয় তাহলে বুঝতে হইবে এইটা দুই নম্বর শাহাদত বাহিনী। আইজকা শুনলাম শাহাদাত বাহিনী নাকি ইলিয়াস মোল্লার কাছেও চান্দা চাইছে। ঐদিকের সবার মুখেমুখে এখন এই গল্প চাউর হইয়া গেছে।

শোনা কথার বিশ্বাস নাই, কিন্তু দীর্ঘকাল যাবত শাহাদাত বাহিনীর যে দৌরাত্মের কথা শুনতেছি তাতে এটা অবিশ্বাস্যও না। মিরপুরের অবস্থাপন্ন লোকজন সবাইকেই শাহাদাত বাহিনীর তরফ থেকে ফোন করা হইয়া গেছে। দুই লাখ টাকা চাইয়া শেষে তিনশ টাকার ফ্লেক্সিতে সন্তুষ্ট হইছে এইরকম উদাহারণ আছে আমার পরিচিতদের মইধ্যেই দুইতিনটা। আশ্চর্য্য ঘটনা হইলো যারা চান্দার জন্য ফোন করে তারা মোটামুটি ভাল খোজ খবর লইয়াই নামে - যেমন গ্রামের বাড়ী কই, অফিস কোথায়, স্ত্রী-সন্তানের নাম থেকে শুরু কইরা নানা ব্যক্তিগত তথ্য। এইসব শুইন্যা ফোনপ্রাপ্তরা শুরুতেই ঘাবড়াইয়া যায়।

একজন ভূক্তভোগী যে শাহাদাত বাহিনীকে এক লাখ টাকার চান্দা ৫ হাজার টাকায় রফা কইরা হাতে হাতে পৌছাইয়া দিয়া আসছিলো - সে জানাইলো, এই গ্রুপটা শাহাদাত বাহিনী না। এরা বিভিন্নভাবে পার্সোনাল ইনফো কালেক্ট কইরা এই কাজ করতেছে এবং যতদূর মনে হয় এরা খুব শান্তশিষ্ট স্বভাবের এবং সন্ত্রাসী টাইপ না। মধ্যবিত্ত পরিবারের নেশাটেশা করা কোন পুলাপাইনের একটা জোট হবে। নানা উসিলায়, সমাজ সেবা কর্মের ছদ্মাবরণে পার্সোনাল ইনফো নেয়, কম্পিউটারে ডাটাবেজ বানায় তারপরে ফোনাইতে থাকে। উক্ত ব্যক্তি আরো জানাইলো - এইসব চান্দাবাজরা এখন ওয়ারিদ ফোন বেশি ব্যবহার করতেছে - কারণ হিসাবে বললো, ওয়ারিদ কোম্পানীর সিম ট্রেস করা নাকি কঠিন।

থানায় গিয়াও তেমন সুবিধা হয় না, তাদের কাছে প্রতিদিন শাহাদাত বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে কয়েক হালি! দেখা যাক ইলিয়াস মোল্লার ঘটনা কতদূর গড়ায়!


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।