আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুড়ো বয়সে ভীমরতি অথবা সকলের শততম পোষ্ট হয় ১০০তে, আমার হলো ২১৬ তে ...



ইতরপ্রাণী শব্দটার মানে জীবজন্তু হলেও শব্দটা আমার মোটেও ভালো লাগেনা। হুমায়ূন,মিলনের ব্যাপারে একটা দুর্নাম আছে। তাদের উদ্দেশ্য করে দুর্জনেরা একটা কথা বলে বেশি বলে থাকে। তাদের লেখার পরিমান বেশি বলে বলা হয়ে থাকে,ইতর প্রাণী-ই বেশী প্রসব করে। আমি এই উক্তির মহাবিরোধী।

একজন হুমায়ূন আহমেদ একবার বসেই চল্লিশ পাতা লিখেন বলেই যে তিনি খারাপ লিখেন আর একজন বুদ্ধিজীবী মার্কা সাদেক আলী (কাল্পনিক নাম)লিখতেই পারেননা। মাসে এক পাতা লিখেন। তাই বলে সে মহা-ভারত লিখে ফেলেন, আমি এ বিষয়টা মানতে নারাজি। মহাশ্বেতা দেবী একরাতে 'হাজার চুরাশীর মা'লিখেছেন সেটা কি নিন্মমানের হয়েছে? সুনীল তার মহা কবিতা 'কেউ কথা রাখেনী' লিখেছিলেন পাচ কি দশ মিনিটে, সেটার আবেদন কি মুছে গেছে? আসলে যে যেমন মাপের লেখক, তারটা তেমন তো হবেই। আর ভালো খারাপতো সকলেরই আছে।

একজন লেখকের সব রচনাই যে ভালো হবে এ প্রত্যাশাও তো অযৌক্তিক। আমারও একটা বাজে অভ্যাস আছে অতিরিক্ত লেখার। যে কারনে ব্লগের মাত্র ৯মাসেই আমার ২১৫ টি পোষ্ট পার হয়ে গেছে। যেটা আমার অনেক পরিচিত ব্লগ পাঠক,লেখক খুব ভালো ভাবে নেয়নি। খুব বিরক্তীকর চোখে তাকিয়ে বলে দেয় শোনো, ইতর প্রাণী ...।

অতএব কম লেখো। (উল্লেখ্য এখানে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই। আমি নিজেকে হুমায়ূন মিলনের সাথে তুলনা করছি না। ) প্রথমদিকে আমি যে কোনো কাজেই ব্যাপক সিরিয়াস থাকি। যে কারনে আশেপাশের অনেক কিছুই আমার মিস হয়ে যায়।

আমি লেখাপড়া যখন করেছি তখন বেশ সিরিয়াসলি সেটা করতাম, যখন ছেড়েছি সেখানেও সিরিয়াসনেসের কমতি ছিলনা। ব্লগিং করতে এসেও কোনো ব্যাতিক্রম নেই। প্রতিদিন একটি করে পোষ্ট দেই। কখনো কখনো ইচ্ছে করলে তিন চারটাও দিয়ে দেই। তবে সিরিয়াসলী ব্লগিং শুরু করার পর এমন দিন খুব কম-ই আছে, দিনে একটা পোষ্ট দেইনি।

তো ব্লগিং-এ এতোই সিরিয়াস হয়েছি কখন যে ১০০তম পোষ্ট দিয়েছিলাম মনেও নেই। তাই একে স্মরণীয় করে রাখারও কোনো উদ্যোগও নিতে পারিনি। ফলে যা হবার তা হলো। ২১৬ নম্বর পোষ্ট দিতে এসে মনে পড়ল,হায় আল্লাহ!আমার একটা পোষ্টতো মিস হয়ে গেল। এখন অনেকের ১০০তম পোষ্টের অনুভুতি মনোযোগের সাথে পড়ে মনোবেদনায় ভুগি।

ইশ!কেমন যেন ছিল আমার ১০০তম পোষ্টের অনুভুতি? তাই দেরী হলেও শততম পোষ্ট নিয়ে একটা লেখা পোষ্ট করলাম। সামাজিকতা রক্ষা বলে যে একটা বিষয় আছে সেটাকে রক্ষা করলাম। যদিও ততদিনে সেটা ২টি শততম ষ্টেজ পার করে ফেলেছে। যাই হোক, স্মৃতি ঘেটে মনে করে সেটা শেয়ার করলাম সকলের জন্য,আহ! শততম পোষ্ট লেখার যে কি অনুভূতি,তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।