আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবার জীবনে প্রেম আসে, তাইতো সবাই ভালোবাসে। আমার ভালবাসারা

এডিট করুন

ইহা একটি পাপ স্বীকার পোষ্ট। আমার প্রথম কাউকে ভাল লেগেছিল ক্লাস টুতে থাকতে। তার নাম ছিল দিলরুবা। মেয়েটা সবসময় প্রথম বেঞ্চে বসত। ভালো ছাত্রী ছিল।

আমার কেন জানি ভাল ছাত্রীদের প্রতি একটা দূর্বলতা থাকে সবসময়। আমি স্কুল ছুটির পর বাসায় এসে খাবার পেলে খেয়ে খাবার না পেলে না খেয়ে ঘুরতে বের হতাম। আমার কাহীনি আমার "জীবনের লক্ষ্য" পোষ্টগুলোতে অনেকেই পড়েছেন। তা আমি প্রায়ই দিলরুবাদের বাসার সামনে চলে যেতাম। তাদের বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে ঘুরাঘুরি করতাম।

যদি তারে দেখিতে পারি এক নজর। কিন্তু দেখা আমি পেতাম না। যদি বা পেতাম তবে মনে হত আজকের দিনটা ভাল গেল। সে ছিল অনিন্দ্য সুন্দরী। দিলে সে সহজেই জায়গা করে নিয়েছিল।

কিন্তু আমি কোনদিন তাকে বলতে পারি নাই আমার মনের কথা। ক্লাস থ্রীতে দিলরুবা অন্য স্কুলে চলে যায়। তারা সেই বাসা ছেড়ে অন্য বাসায় চলে গিয়েছিল কিনা জানতে পারিনি। তারপরেও আমি বহুদিন সেই বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে ঘুরেছি। যদি তাকে একবার দেখতে পাই।

কিন্তু দেখা আমি পাইনি। বুঝতে পেরেছিলাম হয়ত তারা বাসা বদল করেছে। কিন্তু তবুও আমি প্রায়ই সেই বাসার সামনের রাস্তায় চলে যেতাম। উকি মারতাম খোলা গেট দিয়ে। একটি বার যদি দর্শন মেলে তার।

আরো একজনকে ভাল লেগেছিল কিন্তু প্রেমবোধ করিনি। এরপর যখন ক্লাস ফাইভে প্রাইমারীতে ভর্তি হলাম তখন আমার মন কেন যেন ক্লাসের " " এবং " " রোল নাম্বারের মেয়েদুটোর প্রতি আকৃষ্ট হল। কেন হল জানি না। এর মধ্যে আমার এক বন্ধু " " কে প্রপোজ করে বসল। তাই আমার জন্য বাকী রইল " "।

আমি তাকে নিয়ে ভাবতাম। মনে হত আমি সালমান শাহ আর সে শাবনূর হলে মন্দ হত না। রাতে শুয়ে শুয়ে তার কথা ভাবতাম। তাকেও আমার মনের কথা আজও বলতে পারিনি। আমি যে একটা কাবালক তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমার বন্ধুরা আমার তুলনায় অনেক সুবালক। তাদের উদ্ভট প্রপোজ কাহিনী আর বিড়ম্বনার কথা আরেকদিন বলব। ভর্তি হলাম হাই স্কুলে। এক বছর আমি ক্লাস ফাইভের " " কে ভেবে কাটালাম। সে আমাদের স্কুলে ভর্তি হয় নি।

অন্য আরেকটা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। ক্লাস সিক্সের রেজাল্টের দিন মেয়েদের মধ্যে সেকেন্ড হওয়া বালিকাটি দেখলাম কাদছে। এই রেজাল্ট তার পছন্দ হয় নি। ১ম হওয়া বালিকাটিও কাদছে। মনে হয় নাম্বার পছন্দ হয় নি।

যত্তসব আদ্যিখেতা এইসব ভাল ছাত্রীদের। মেজাজ খারাপ করা জিনিস। কিন্তু একি! দ্বিতীয় হওয়া বালিকাটির কান্না দেখতে আমার এত কষ্ট হচ্ছে কেন। মনে চাচ্ছে আমি কাছে গিয়ে তার চোখের জল মুছে দিই। হায় আমার একি হল! রাতে আমি ঘুমাতে পারলাম না।

ক্লাস সেভেনে আমরা দুজনেই ক-শাখায়। আমি আবার সেই রাস্তার প্রেমিক হয়ে গেলাম। প্রতিদিন তার বাসার সামনে দিয়ে ঘুরোঘুরি করি। তাদের বাসা কোনটা জানি না। চিপা গলির ভেতর দিয়ে অনেক ভেতরে গিয়ে তাদের বাসায় সে যায়।

তাই অনুসরন করার সাহস পাই নি। যদি দেখে ফেলে। আমি তার বাসার কাছাকাছি রাস্তা দিয়ে ঘুরোঘুরি করি। একদিন সন্ধ্যার সময় বিসিকের রাস্তা দিয়ে ঘুরছি। এমন সময় দেখি সে সপরিবারে সেজেগুজে কোথাও বেড়াতে যাচ্ছে।

আমি সন্ধ্যাহত হলাম। পৃথিবীর সকল সৌন্দর্য কেন্দ্রীভূত হয়ে আমার সামনে দিয়ে হেটে যেতে লাগল। মনে বেজে উঠল সেই অমর সংগীত। "এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়, একি বন্ধনে জড়ালেগো বন্ধু"। তাকে দেখে মনে হল এই পৃথিবীতে সে সবচেয়ে সুন্দরী।

তার ধারে কাছেও কেউ নেই। আমার প্রেমগুলো বড়ই অদ্ভুত। বেছে বেছে ভাল ছাত্রীদের প্রেমে পড়ি আমি। যাদের অবস্থান আকাশের চাদের মতই। আমি বামন মাটিতে শুয়ে শুধু তাদের দেখি আর ভাবি "সে কত সুন্দর"।

আমি অনেক রাত তার কথা ভেবেছি। এই মেয়ে আসলেই আমাকে নাড়া দিয়েছিল যেমন দিয়েছিল দিলরুবা। এই মেয়েকেও আমি বলতে পারিনি আমার কথা। এখন সে অন্যের ঘরে। মঙ্গলময় হোক তার জীবন।

সুখে, শান্তিতে, পরিবার পরিজনের ভালবাসায় উদ্ভাসিত হোক তার প্রতিটি দিন। এই আমার আমার ক্ষুদ্র শুভকামনা দূর থেকে তার জন্য। এরপর আর কাউকে ভাল লাগেনি। আজ পর্যন্ত কাউকে বলিনি যে আমি তাকে ভালবাসি। আমি আসলেই একটা কাপুরুষ।

শুধু দূর থেকে ভালবেসে যাই। সবার জীবনে প্রেম আসে গানটির লিংকঃ http://drop.io/sobarjibone#

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.