আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যাচ্ছি আজ রাতেই

লিখি কাউকে বলবো না আমি চলে যাচ্ছি মাঝ রাতে যাচ্ছি বহুদূর, জিজ্ঞেস করে দেখতে পার, গন্তব্য আমিও জানি না। আশ্রমসন্ধানী বাউলের মত অরণ্যের নির্জনে গিয়ে জটাধারী হয়ে যাবো তা নয়, আমি যাচ্ছি বঙ্কিম নগরী পার হতে, প্রতারক খেলাড়ির ষোলগুটি এড়াতে, জটিলতায় কি দু:খ? জুয়ারী হয়ে অনেকেই কি চমৎকার ফ্ল্যাশ পেয়ে যায়! মদ হাতে বারগার্ল রুলেটের মত আবর্তিত হয়, সুখ নেই তবু, তাই চলে যাচ্ছি ফিরবো না বলে, সুখ পাবো বলে - ঠিক সুখও নয়, সুখের সংজ্ঞা এখনো মাটিচাপা সভ্যতার মত অনাঘ্রাত আছে। এক একেকবার ইচ্ছে হয় আমাকে থামিয়ে দাও, কিন্তু কে থামাবে? তোমরা কি আমাকে বেঁধে রাখতে চাও? তোমাদের কাজ কতো! কর্মহীনতার ব্যস্ততা আছে, আলস্যের প্রয়োজনীয়তা আছে, রমণীদের জন্য স্তুতি আছে, পুরুষেরা ঘড়ির কাঁটায় স্বামী হয়ে যাচ্ছে, বাবা হয়ে যাচ্ছে কিংবা সন্তানাদির স্বার্থ মেটাতে ভারবাহী মানুষ হয়ে যায়, পোষা মানুষের কণ্ঠে কি তৃষ্ণার ব্যাকরণ থাকে? হিসেবে করে দেখো দুইঘরা নগদ স্বপ্নের তালিকা সর্বমোটে গরমিল হয়, অতএব যা কিছু আছে পকেটে তা নিয়েই ডুবে যাই, হারিয়ে যাই তলিয়ে যাই বিস্মৃতির পথে.. কোথাও না কোথাও চলে যাবে তোমাদের আমি - চন্দ্রিমায় যাচ্ছে কত লোক, শ্রমজীবি হয়ে কোদাল সহ জাহাজে উঠছে মেধাহীন সহপাঠী মৃত্যু বা সুরঙ্গে অভিযাত্রী হয়ে নয়, শীত এবং পূর্ণিমা পার হয়ে আমি চলে যাবো.. যেতে যেতে এক সময় খুব ইচ্ছে হবে জলের পুকুরের যাবতীয় বিষাদ শুষে নিতে, একপাশে মরানদী পানি ধরে থাকে, অন্যপাশে ছেড়ে যাওয়া অন্যরূপ বাড়ি;সংসারী হয়ে গেলে অনেকেই ওখানেই মরে পড়ে থাকে। মরা সংসারের জল আমি নেই নি। যেতে যেতে এক সমাধী বেষ্টনীর বসে থাকতে ইচ্ছে হয়, এত মাটি থেকে থেকে ডুকরে ওঠে জীবিতদের জন্য! আমি চলে যাবো নি:সঙ্গ পথিকের মত স্কটিশ বালিকার গান শুনতে শুনতে, পৃথিবীর ওপাশ ঘুরে যদি ফের একই ঘরে আসি, তখনো যে থেমে যাবো না তা কে জানে! -- ড্রাফট ১.৩

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।