আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাম্রাজ্যবাদী ও সম্প্রসারণবাদী নীলনকশার বাস্তবায়ন বন্ধ কর! (শেষ কিস্তি)

চোখ খুবলে নেয়া অন্ধকার, স্ফুলিঙ্গ জ্বেলে দাও!

চারদলীয় জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীলদের তৎপরতা: এরকম একটি অবস্থায় দেখা যাচ্ছে, চারদলীয় জোট ভারতবিরোধী কিছু বিষয়ে জ্বালাময়ী বক্তব্য দিলেও মার্কিন স্বার্থের প্রশ্নে সম্মতি দিয়ে চলেছে। মার্কিন স্বার্থের কারণে তারা "সন্ত্রাসবাদ বিরোধী দক্ষিণ এশীয় টাস্কফোর্স"-এর বিরু্দ্ধে যেতে পারছেনা, তারা দাবী করছে এটা সার্কের আওতায় হতে হবে। অর্থাৎ, তাদের আঞ্চলিক মিত্র পাকিস্তানও যাতে এর অংশীদার হয়। তারা চায় যেন ভারত ও শাসকশ্রেণীর ভারতীয় লবির আধিপত্য একচেটে হয়ে না পড়ে। অপর দিকে, সিপিবি এতসব কিছুর পরও সর্বশেষ রাজনৈতিক প্রস্তাবে আওয়ামী সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে।

বাম মোর্চা অর্থনৈতিক ইস্যুতে আটকে যাচ্ছে। গণমঞ্চসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক ঐক্য এবং জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সীমিত সামর্থ্য্ নিয়ে জনগণের পক্ষে রাজনীতিকে বিকশিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সুশীলদের একাংশ নির্লজ্জ দালালী করছে এবং একাংশ প্রভূদের সাথে দরকষাকষির পক্ষে দাঁড়িয়ে খুঁদকুড়োর আশায় কিছু বিরোধীতা প্রকাশ করছে। এসব বিভ্রান্তির জাল আমাদের ছিন্ন করে এগিয়ে যেতে হবে মুক্তি সংগ্রামের সঠিক পথে। প্রকৃত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী সংগ্রামের পথে অগ্রসর হোন! মহাজোট সরকার একদিকে জনগণের আকাঙ্খার প্রশ্নে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করছে, অপরদিকে সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের নীলনকশার রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক, সামরিক সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে।

আমরা মনে করি, যদি মহাজোট সরকার জাতি ও জনগণের প্রত্যাশার সাথে বিশ্বাসঘাতকতার পথ পরিহার না করে, যদি তারা জনগণের জরুরী প্রয়োজন এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পথ গ্রহণ না করে, কিছু দিনের মধ্যেই তারা জনগণের সামনে "সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের ঠিকাদার" হিসাবে পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত হয়ে যাবে এবং জনগণ এই বিশ্বাসঘাতকদের উৎখাত কামনা করবেন। তখন জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের সংগ্রাম তাদের উৎখাতের লক্ষ্যেই পরিচালিত হবে। আমাদের এই সংগ্রাম কেবল এই ঠিকাদার সরকার নয়, বরং তার ক্ষমতার ভিত্তি মার্কিনসহ সাম্রাজ্যবাদ, ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ, আমলাতান্ত্রিক পুঁজিবাদ ও সামন্তবাদকেই উচ্ছেদের দিকে পরিচালিত হবে। এই সংগ্রাম এই রুগ্ন শোষণ-নিপীড়নমূলক শাসন ব্যবস্থার কোন সংস্কার নয় বরং আমূল পরিবর্তনের সার্বিক বিপ্লবের পথে পরিচালিত হবে। প্রতিষ্ঠা করবে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম, প্রগতিশীল ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র; প্রতিষ্ঠা করবে একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি।

সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক, নিপীড়িত জাতি ও জনগণ মুক্তি পাক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.