আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের আগ্রাসনে আমাদের লোকগান

লোকসংস্কৃতি আরোপিত নয়, নিহিত। এটি জনগণের মধ্যে স্বতঃস্ফর্তভাবে গড়ে ওঠে। হতে পারে এটি অপরিশীলিত তবে তা স্থানিক এবং নৈসর্গিক। লোকসংস্কৃতির জনক অনেক অনামী মানুষ। তারা সৃজনশীল এবং প্রতিভাবান, কিন্তু সাধারণের পরিচিত নন।

আর এই লোকসাংস্কৃতির অন্যতম একটি ধারা হল লোকগান। এটি এমন তৃণমূলের এক ধরনের শিল্প, যা ভোক্তাদের নিজেদের সৃষ্টি এবং তা তাঁদের মূল্যবোধ ও দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার সাথে যুক্ত। এভাবেই কোনো গ্রাম অথবা কোন অঞ্চল এমনকি কোন জাতি নিজেদের মতো করে লোকগানের শৈলী গড়ে তোলে যেগুলো একান্তই তাদের নিজস্ব। এর পেছনে কোনো বাণিজ্যিক প্রয়াস নেই। এটা ব্যক্তির মনোভূমিতে আপনা আপনি বিকাশিত হয়।

এসব গান কখনো সমাজের অভিজাত শ্রেনীর কাছ থেকে নিদের্শনা গ্রহন করে না। আর লোকগান সে অর্থ ধ্রপদের মর্যাদা পায় না বা সে বিষয়ে তাদের কোন প্রচেষ্টাও নেই। যেমন: বাংলার নাম-না জানা অসংখ্য বাউল আপন মনে কত গানই যে বেঁধেছেন তার কোনো ইয়াত্তা নেই। এটি সাধারণ মানুষের ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু আজকের এই সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের আগ্রাসনে আমাদের লোকগান প্রতিনিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে।

লোকগান শুধুই নিছক বিনোদন নয়। বরং এটা সমাজ গড়ার হাতিয়ার। আন্দোলনের মোক্ষম অস্ত্র। সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করার উত্তম মাধ্যম। তৃণমূল পর্যায়ে বার্তা পৌছাতে লোকগান বিশেষ ভূমিকা পালন করেছ।

এসব গানের মাধ্যমে সমাজে থেকে কুসংস্কার, অপবিশ্বাস, ধর্মাদ্ধতা, কূপমন্ডুকতা ইত্যাদি দূর করা সম্ভব। লোকগানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতা,শিক্ষা বিস্তার, পরিবেশদূষর্ণ রোধ, বনায়ন, শিষ্টাচার, মানবতাবোধ ইত্যাদি যাবতীয় মানবীয় গুণাবলীর বার্তা সমাজের একবারেই তৃনমূল পর্যায়ে সহজে পৌছানো যায়। তাই উন্নয়নেও লোকগান একটি অন্যতম হাতিয়ার। আবার বিশ্বায়নও সময়ের দাবি। মানুষ নিজের প্রয়োজনেই অন্যের কাছে যায়।

মানুষের যৌথ শ্রমেই গড়ে উঠেছে সমাজ-সভ্যতা। সেই আদিম কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ এগিয়ে চলছে দেওয়া-নেওয়ার মধ্য দিয়েই। সাধারণত বিভিন্ন জনগোষ্টির এ আদান প্রদানের সম্পর্ক আজ বিশ্বায়ন নামে পরিচিত। কিন্তু বর্তমান মুনাফানির্ভর কর্পোরেট পুঁজিবাদী বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ায় এক সংস্কৃতি অন্য সংস্কৃতির কাছে আসছে। বাণিজ্য প্রসারের প্রয়োজনেই বিশ্বকে বানানো হয়েছে ‘গ্লোবাল ভিলেজ’।

যেখানে বলা হচ্ছে একই প্রবাহ সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বায়নের পণ্যবাজারে সারা পৃথিবীতে বাজারগুলো কিছু বহুজাতিক কোম্পানির দখলে। এ সকল কোম্পানিগুলো শুধু পণ্যবিক্রি করে না বরং বিনাদামে ‘আগ্রাসনের সাংস্কৃতি’ ফেরি করে বেড়ায়। যার ফলে আমরা আর থাকছিনা আমাদের মত। তাদের অনুকরণে হওয়ার তাদেরই মত হতে চেষ্টা করছি ।

ফলে মিশ্র একটি ‘অদ্ভুত’ সাংস্কৃতিক অবস্থা দাঁড়িয়েছে। শরীরের পোশাক থেকে শুরু করে মুখের ভাষায় এবং সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে রাতের টিভি চ্যানেলই তার প্রমাণ । কিন্তু এতে আমরা তো তাদের মত হচ্ছিই না বরং নিজেরটাও হারাচ্ছি প্রতিনিয়ত। অন্যদিকে চলমান মিডিয়া ব্যবস্থার আকাশ সংস্কৃতিতে এ হারানোর মাত্রাটা যেন বাড়ছে দিন দিন। আমাদের সামগ্রিক সাংস্কৃতির সীমানাটা যখন তার অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে তখন এর অন্যতম অংশ লোকগান আরও বেশি হুমকির মুখে।

এক সময় আমাদের দেশে প্রায় সাড়ে চার’শ ধরণের লোকগান ছিল। পাড়ায় পাড়ায় লোকগানের আসর বসত। মানুষ চাঁদা তুলে গায়েন আনত। তাঁকে ঘিরে ধরে মানুষ গান শুনত। তখন একতারা, করতাল, সারিন্দা, বাঁশি, দোতারা, খঞ্চনীর মত লোক বাদ্যযন্ত্র দিয়ে গান হত।

রাতভর চলত নাচ গান। গানের সুরে মানুষ হাসত-কাঁদত। শ্রমজীবী মানুষ কাজ করত লোকগানের সুরে। দেখা যেত ক্ষেতে কৃষক কাস্তে হাতে ধান কাটছে আর তার মুখে গান। নদীতে জোয়ার ভাটার টান ছিল।

মাঝিও দাঁড় টানছে আর তার মুখে গানের মায়াবী সুর। এমনিভাবে বেয়ারা ,মহিষের রাখাল, গাড়িয়াল, বণিয়া বন্ধুদের মত বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম ছিল লোকগান। উত্তরাঞ্চলসহ সারা বাংলায় অবদমিত-অবহেলিত নারীসমাজের মত প্রকাশের প্রধান মাধ্যম ও বিনোদন ছিল মেয়েলী গীত। বার মাসে তের পার্বণ ছাড়াও বিয়েবাড়ি, গায়েহলুদ, পোয়াতি বিদায়ের মত লোক উৎসব এমনকি মাথার উকুন তুলতে বসেও তারা গীত গাইতেন। আবার বাঙালীর অসাম্প্রদায়িক আধ্যাত্মিক সাধন জীবনের বড় অংশই লোকগানকে ঘিরে।

শ্যামাসংগীত, কীর্ত্তন,রাম প্রসাদী, পুঁজার গান, মহরমের গান, সূফীগান, মনসামঙ্গল, চন্ডিমঙ্গল,হাসান, দদ্দু, পাগলা কানাই ও লালন সাইজির অনুসারীদের গান বাঙালীর সম্পত্তি। এসব গান আমাদের আত্মারগান, শেকড়ের গান, সাধন-ভজনের গান। এসবসুরে আমাদের পূর্বের মানুষদের শ্রম মিশে আছে। লোকগানের সবটুকু অংশ জুড়েই আছে নিজেদের কথা, পেটের কথা, গায়ের ঘামের কথা, লড়াই-সংগ্রামের কথা। এ গান একান্ত আমাদের।

এ সম্পদের মালিক আমরা। বৃদ্ধ পিতা মেয়েকে যৌতুক দিতে পারছেন না। কিন্তু তার এ অনুভুতি উজাড় করে জমা রাখলেন লোকগানে। হাত চলার সাথে পেট চলার কথা, ফসলের কথা, বর্গী আসা দেশের কথা, ধানফুরানো-পান ফুরানো জীবনের কথা শুনা যায় শুধুমাত্র লোকগানে। বাঙালির বিয়ে, আত্মীয়তা,আতিথেয়তার স্মারক এ লোকগান।

আমাদের উৎসব-আনন্দ, খেলা, পূর্ব পুরুষ-নারীর প্রতিবেশ চিন্তা, প্রেম, বিরহ ও ‘নিষিদ্ধ মধুর’ পরকীয়ার হাজারো অভিজ্ঞতায় ভরা এ গানগুলো। এমনকি, বিশ্বে বিরল হলেও বাংলায় দেখা যায় কেউ মারা গেলে তার জন্য মাতম করে গান গাইতে। এ শক্তি শুধু আমাদের লোকগানের। এত কিছু থাকার পরও বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ প্রাকৃতিক তেল-গ্যাসের মত লোকগান আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এ পযর্ন্ত প্রায় দু’শ প্রকার লোকগান হারিয়ে গেছে।

আগেকার সাড়ে চার’শ প্রকারের গানের আড়াই’শ ধরণের গান ছিল পেশাজীবীদের গান। ভাটি অঞ্চলের দ্রুতলয়ের গান ছিল ভাটিয়ালি। আর উত্তর বাংলার উজান স্রোতের লম্বা টানা সুরের গান ছিল ভাওয়াইয়া। এখন এগুলো তেমন একটা কানে আসে না। আকাশ সাংস্কৃতির বিশ্বায়নের বদজিনের আছর হয়েছে।

আমাদের উপস্থাপনের অভাবেই আমরা লোকগানের প্রতি আসক্ত হারাচ্ছি । শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠেও এখন হিন্দি গান শোনা যায়। চাচাকে চাচা ডাকলে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু বাপকে বাদ দিয়ে চাচাকে ‘চাচাআব্বা’ ডাকলে তা আমাদের কানে খারাপ শোনায়। তথ্য প্রযুক্তির এই সাড়াম্বড়েও লোকগান উপেক্ষতি।

যেমন: আমাদের মোবাইলফোনের মেমোরি কার্ডে, কম্পিউটারে, টিভি চ্যানেলে । এমনকি ভাড়া করা মাইকে,কোন অনুষ্ঠানে এসব গানকে ‘ফকিরি’ আর কথিত অশিতিদের গান আখ্যায়িত করে ছেই ছেই করা হয়। বিশ্বায়ন ব্যবস্থায় পপ শিল্পীদের জন্য দু’হাতে টাকা খরচ করা হলেও লোকগায়করা চরম অবহেলার শিকার। দেশের অন্যান্য গরীব মানুষদের মতই লোকগায়কদেরও অভাব বেড়েছে। নেই উপযুক্ত পৃষ্টপোষকতা।

আবার টিভি, ডিশচ্যানেল ও এফএম রেডিওগুলোতে উঠে আসছেনা আমাদের লোকগান। বর্তমানে সম্প্রচার মাধ্যমগুলোতে লোকগান পাচ্ছে সামান্য সময়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একে বাদই দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে লোকজগানের শিল্পীদের গণমাধ্যম থেকে দূরে রাখা হচ্ছে। এখন বাজারের চায়ের দোকান থেকে বাড়ির বৈঠকখানা পর্যন্ত সবখানেই বাজতে দেখা যায় সর্বশেষ হিন্দি গান বা ভারতীয় ওপশ্চিমা চ্যানেলগুলো।

ফলে আমাদের নিজস্ব গানের বদলে আমরা অন্যগান শুনতেবাধ্য হচ্ছি। সাম্রজ্যবাদী বিশ্বায়নের মধ্যদিয়ে চলা উৎপাদন ব্যবস্থা ও জীবনবোধ আমাদের যৌথ জীবনযাপনকে ভেঙ্গে আত্মকেন্দ্রীক জীবনের তালিম চলছে । এক সময় মানুষ মিলেমিশে বসবাস করত। পরিবারগুলো যৌথ ছিল। মানুষ মানুষের প্রয়োজনে এগিয়ে যেত।

মানুষে মানুষে একতা ছিল। ভাইয়ে ভাইয়ে মিল ছিল। মানুষ এক সাথে গান গাইত। ফলে লোকগানের চর্চাও হত। আর এখন, যৌথ জীবনের বদলে ‘একাএকা খেতে চাও-দরজা বন্ধ করে খাও’ নীতির আত্মকেন্দ্রীক জীবনে অভ্যস্ত সবাই।

ফলে লোকগানের সামাজিক চর্চা এখন আর চোখে পড়ে না। ধনবাদী বিশ্বায়নব্যবস্থায় বিদেশী পুঁজির অনুপ্রবেশ, শ্রমিক ছাঁটাই, কুটির শিল্প ধ্বংসখুব স্বাভাবিক ঘটনা। তাই অন্যান্য শ্রমিকদের মত লোকশিল্পীরাও বেকার হচ্ছেন। এক সময় এদেশে গ্রামে গ্রামে লোকগানের দল ছিল। লোকগান জাঁকজমক ওমাধুকরী ছিল।

বরিশালের চারণকবি মুকুন্দদাস, কুষ্টিয়ার কাঙাল হরিনাথ,লালনের গানের দলের কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এ প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা আর লোকগায়ক হওয়ার কথা দু:স্বপ্নেও ভাবেন না। কেননা এতে আছে অবহেলা আর ভবিষ্যত বিপর্যয়ের বিনাশী আশক্সা। মানুষও আগেকার মত সম্মানও দেয় না। তাইদিন দিন লোক শিল্পীরা বেকার হচ্ছেন।

পেটের দায়ে পরিবারের ভরণপোষণের তাগিদে তাদের কাউকে কাউকে একতারা হাতে ট্রেনে-রাস্তায় ভিক্ষা করতেও দেখা যায়। উপযুক্ত মূল্যায়নের অভাবে আমরা হারাতে বসেছি আমাদের একঝাঁক চারণশিল্পীকে। অথচ এরা এক একজন লোকসংগীতের এক একটি জীবন্ত বিশ্বকোষ। আবার অন্যদিকে, আমরা নিজেদের অনুষ্ঠানে বাহিরে থেকে শিল্পী ভাড়া করে এনে উচ্চশব্দে পাড়া মাথায় তুলতে পারি। কিন্তু চাঁদের আলোয় গান গাওয়া লোকশিল্পীদের এসবের ধারের কাছেও আনি না।

দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, বনভোজন, যুগপূর্তী, নবীন বরণ,বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মত অনুষ্ঠানে বিদেশী গান বা বিদেশী দেশের কারখানায় তৈরী গান শোনা যায়। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিতজনরাও এব্যাপারে উদ্যোগী হতে পারেন। কিন্তু তা খুব একটা চোখে পড়ে না। তাই আমাদের ভৌগলিক সীমানা পাহারা দেয়ার মতই প্রয়োজন সাংস্কৃতিক সীমানা রক্ষা করা। বিশ্বায়ন ছিল, আছে থাকবে।

কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে এর মধ্য দিয়ে আমরা কতটা পাচ্ছি আর হারাচ্ছি কী? বিশ্বায়নের এযুগে লোকসাংস্কৃতির রক্ষার জন্য নিজেদের এগিয়ে আসতে হবে। সাম্রাজ্যবাদকে প্রতিরোধের সাথে সাথে আপাতত প্রয়োজন গণমাধ্যমে লোকগানের চর্চা বাড়ানো,লোকগায়ক-বাদকদের পৃষ্ঠপোষকতা,স্থানীয় উদ্যোগ, সরকারি সাংস্কৃতিক নীতিমালা, শিল্পীদের জীবিকার ব্যবস্থা করা, নিজেদের যৌথ জীবন চর্চা, লোকগানের উৎসব বাড়ানো, চর্চা ও সংগ্রহই পারে আমাদের এ সাত রাজার ধন কে কাজে লাগাতে। লোকগান চর্চায় এ মূহুর্তে দরকার আধুনিক প্রযুক্তি ও গণমাধ্যমের ব্যবহার বাড়ানো। এ প্রজন্মকে শেকরের সন্ধানে জাগতে হবে, চিনতে হবে নিজের গান। নৈতিক অবয়, মাদকাসক্তি,ইভটিজিং, অস্থিরতা, ও আত্মহত্যার মত মানবীয় বিপর্যয় মোকাবেলায় লোকগানের মানবীয় আবেদন হতে পারে শক্তিশালী অস্ত্র।

তাছাড়া বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে নিজের পরিচয় দেয়ার জন্য নিজের স্বাতন্ত্রবোধ তো রাখতে হবে। যেদেশের জাতীয় সংগীত লোকগানের সুরে রচিত, তাদের লোকগান কখন অবহেলার বিষয়হতে পারে না। তাই সাংস্কৃতিক সাম্রজ্যবাদী বিশ্বায়ন স্রোতের প্রবল চাপেও আমাদেরকে নিজেদের গানের ভেলা ভাসাতে হবে, যেতে হবে অনেক দূরে । আমরা আশা করছি, বর্তমান সরকার অতিদ্রুত লোকগানসহ লোকসাংস্কৃতির বিষয়গুলো ভেবে দেখবেন এবং কার্যকর পদপে গ্রহণ করবেন। লেখক: এম জিয়াউল হক সরকার ও সাজ্জাদ লিয়ন E-mail: ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.