আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গতকাল ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়



এই যে গত কালও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর নাম ভাঙগিয়ে হোক আর নাম নিয়েই হোক কেন রে বাবা তো যাস ঘড়ি কিনতে আর দোকানীকে মারামারি করতে। বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলি,ইসলামপুর ,নর্থবুক হল রোড, শ্যামবাজার , বাদামতলী , বাবুবাজার তাতীবাজার শাখারী বাজার সব মিলিয়েই তো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চারপাশ তাই নয় কি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমান এখনো আমার পাইনি কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রথম ব্যাচ এর ছাত্ররা সবে মাত্র বের হতে শুরু করেছে । তাদের পরবর্তী অবস্খান কোথায় হবে এদের মধ্যে কতজন কে দেশ গড়া মূল কারিগড় হিসেবে আমরা পাবো তার উপর ভিত্তি করেই মূলত জগন্নাথ বিশ্ববদ্যালয়ে ছাত্রদের মানে মূল্যায়ন আমরা করবো। তাই এটাই দেখার বিষয় তারপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কর্মকান্ড নজরে আসে বিভিন্ন পিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কল্যাণে ।

এর মধ্যে শুধু মাত্র পাথরকুচির পাতা থেকে বিদ্যু উৎপাদন ছাড়া দেশের কল্যাণে অন্য কাজ গুলো তেমন গুরুত্বের সাথে আসেনি। কিন্তু অপরদিকে বিশ্ববিজৎ হত্যা সহ বিভিন্ন সময় গাড়ি পোড়ানো থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী হত্যা ( যদিও পুলিশের টিয়ার শেলের আঘাতে) এছাড়া চাদাবাজির তো খবর প্রকাশই হয়না। এসব খবর ভালো লাগে না কারণ ছাত্ররা এগুলো করতে যাবে কেন এর ইতিহাসের পিছনে তাকালে ভয়াবহ আরো কিছু দেখা যায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৪ টির মতো হল ছিল এখন এগুলো বেদখলে চলে গেছে আবার কোন কোনটা সরকারি কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শুধু আব্দুর রহামানের একটা হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দখল মুক্ত করা হয়েছে। এই হল গুলো বেদখল হওয়ার কারণ হিসেবে স্থানীয় লোকদের সূত্র মতে জানা যায় : তৎকালীন ছাত্রনেতারা এই হলে স্থানী আবাসিক মেয়েদের নিয়ে তাদরে মনোবাসনা পূরণ করতো অনেকটা সিনেমা কায়দায়। তাই অতিষ্ঠ হয়েই স্থানীয়রা জোট বেঁধে এই হল গুলো তারা দখল করে নেয়।

ঘটনার সত্যতা আমার জানা নেই যদি এমনই হয় তবে তো আবাসিকের মধ্যে এমন হল না হলেই ভালো হয়। ইদানীং কালে বাংলাবাজার হতে যখন তখন বইয়ের দোকানীদের কাছ থেকে বই নিয়ে আসার ব্যাপার তো খুবই মামুলি। ছাত্র নেতাদের মধ্যে যে দলাদলি হয় তার কারণ হলো এরা নিদির্ষ্ট রাস্তা ধরে নিয়মিত চাদাবাজি করে । যেমন লক্ষীবাজার রোড় এর সুভাষ দত্ত লেন এর নিয়ন্ত্রণ হয় কবি নজরুল কলেজ এর মাধ্যমে । এর আগে অব্যশই একটা প্রবচল ছিল সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন চাদার ৬০% এবং বিরোধী দলীয় ছাত্র সংগঠন ৪০% এটা ছিল বিগত জোটের আমালের হিসাব ।

আর বর্তমানে তো এই শতকরা হিসাব নেই একচেটিয়া । এই যে চাদাবাজির হিসাব রে বাবা তোদের হাতে যদি দেশ গড়া কোন বড় দায়িত্ব দেওয়া হয় তবে তোরা কি করবি বল। হাতে খড়ি তো সেই বিশ্ববিদ্যালয় এ প্রবেশের পর দিন থেকেই । আসল ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই তো রাজনীতির সাথে জড়িত থাকে না শুধু মাত্র গোটা কয়েক জনের জন্য পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাপা যায়। আর এই পদ্ধতিতে মাপতে গেলে এই পরিমাণ যন্ত্রটা ভুল বিবেচিত হবে।

তাই আর হতাশার কথা না বলি অব্শ্যই এই বিশ্ববিদ্যালয় তার যোগ্যতার প্রমাণ দিবে এখন প্রশ্ন হলো কারা কারা তৈরি হচ্ছেন ....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।