আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহবাগে সবাই দৌড়াইতেছে চিলের পিছনে কান নিয়ে গেল বলে কিন্তু কানতো রয়ে গেছে নিজের কাছেঃদয়া করে একবার চোখ বুলাবেন।

আমি ভবঘুরে আমরা বাঙগালী জাতি আজকে আমাদের জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ করতেছি শাহবাগে একাত্ততা প্রকাশের মাধ্যমে। এর মাধ্যমে আমরা কি হাসিল করতেছি। এই বিচার সঠিক এবং নিরপেক্ষ হইতেছে কিনা তা আমরা যাচাই করার কথা একবারো ভাবলাম না। এই বিচার নিয়ে কত কেলেংকারী হয়ে গেলো। স্কাইপ কেলেংকারী যার অন্যতম।

আমার কথা এই যে যুদ্ধাপরাধীদের বর্তমানে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাদের লিস্ট কে করল। সেখানে শুধু বিএনপি ও জামাতের নেতারা থাকবেন কেন?এই কথাটা কে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন?তাহলে তাদেরকে কেন অভিযুক্ত করা হবে না?এটা প্রত্যক্ষভাবে প্রমানিত যে প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই শ্রম মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন একজন রাজাকার এবং বর্তমান স্বরাস্ত্রমন্ত্রী আলমগীর সাহেব ওই সময়ের ডি সি ছিলেন। একটা জেলার সব প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন হয় একজন ডি সি এর মাধ্যমে ,তাহলে তার চেয়ে বড় রাজাকার কে আছে। মাইন্ড করবেন না আমি জামাত সাপোর্ট করি না। আমার সবচেয়ে অপছন্দের দল জামাত ।

আর যুদ্ধাপরাধীর বিচার আমিও চাই। কিন্তু সেটা যেন আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যম না হয় সেটা মনে রাখতে হবে । আমি একজন তরুণ হিসেবে বলতে চাই আমরা আমাদের বর্তমান সমস্যা গুলো উপেক্ষা করে অতীত নিয়ে মাথার ঘাম ঝরাইতেছি। আজকে একটা পদ্ধতি বের হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি। আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে পড়াশুনা করতেছি তাদের সবার লক্ষ্য বি সি এস ক্যাডার হওয়ার কিন্তু সেখানে মেধার মুল্যায়ন কই?মুক্তিযোদ্ধা কোটাই ৩০%।

তার মানে ১০০ জনের মদ্ধে ৩০ জনই মুক্তিযদ্ধা জাতি । কিছুদিন আগে সোনালী ব্যাঙ্কের নিয়োগ হল শুধু মুক্তিযোধ্যা জাতির জন্য। ৩২ তম বি সি এস হয়েছিল সুধু মুক্তিযোদ্ধা জাতির জন্য। মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় যেখানে সর্বনিম্ন চান্স পায় ৫৫ ,সেখানে মুক্তিযোদ্ধা জাতির মানুষ ৩২ পেয়ে চান্স পায়। কি বৈষম্য?এখন তারা আলাদা জাতি।

আসলেই তাই ,আগে ছিল পশ্চিম এবং পুর্ব পাকিস্তান জাতি। এখন মুক্তিযোদ্ধা আর অমুক্তিযোদ্ধা দুই জাতি। আগে পশ্চিমারা শোষণ করতো এখন করছে মুক্তিযোদ্ধারা। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে আমি স্বাধীনতার বিরধী। সিংহভাগ জাতিকে বঞ্ছিত করে কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে সুবিধা দেওয়ার জন্য যদি দেশ স্বাধীন হয় তাহলে আমি সেই স্বাধীনতার বিরোধী।

আপনারা হয়তো আমাকে ভুল বুঝবেন কিন্তু আমার মত যারা মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে পড়াশুনা করে চাকরী পাচ্ছেন না তারা অবশ্যই আমাকে বুঝবেন। এই মুক্তিযোধ্যা কোটার কথা শুনলে আমার গা ঘিনঘিন করে আর মুক্তিযোধ্যাদের প্রতি অতটা শ্রদ্ধাবোধ থাকে না। এখন মুক্তিযোধ্যাদের দেখলে অতটা শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে না,শুধু মনে হয় এরা একটা বিশেষ সুবিধাভুগী জাতি। তাই আমি আজকের প্রজন্মকে আহব্বান জানাই আপনারা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিল পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে আমারা লড়াই করি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

বি দ্রঃ আমাকে আপনারা ভুল বুজলেও কিছু করার নাই। কারন দেশের নামকরা নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে যখন চাকরী পাই না তখন আর ইতিহাস নিয়ে পরে থাকার যৌক্তিকতা খুজে পাই না। কে কবে যুদ্ধ করেছিল তা ভেবে শ্রদ্ধাবোধ এর ফুলঝড়ী ঝরাতে পারি না। এখন আমরা খেয়ে পরে বেচে থাকতে চাই। তা না হলে স্বাধীনতার বুলি আউরিয়ে আমার আপনার পেট ভরবে না।

আমরা সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারি। ভাই আমি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী না। আমি মুক্তি যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা করি। আমি বংগবন্ধু এবং জিয়াউর রাহমান সবার কৃতিত্ব স্বীকার করি। কিন্তু এসব নিয়ে বারাবারি আর মাখামাখি ভাল না।

যেমন শেখ মুজিব কে নিয়ে আওামি লীগ যে রকম বারাবারি আর মাখামাখি করতেছে তাতে তার প্রতি মানুশের শ্রদ্ধাবোধ কমছে। ঠিক একই ভাবে বি এন পি এর কারনে জিয়াউর রাহমান এর। আমি চাই মানুষের মন থেকে শ্রদ্ধাবোধ আসুক জোর করে নয়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।