আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যতিক্রমী খাদ্যঃ শৈশব-১

ভোরের তারা হয়ে একাকি পথ খুজি

আমার পুলাপান কালের হাবিজাবি ঘটনা নিয়া সিরিজ লেখা শুরু করলাম। এইটা একদমই ল্যাদা কালের ঘটনা। আমি পাচ বছর বয়স পর্যন্ত আমার নানার বাড়ীতেই ছিলাম। জ্বী মা বাবা ভাই বোন সহই ছিলাম। আমার নানা তার অতি আদরের কন্যাটিকে বিয়ের পরও নিজের বাড়ীতেই রেখে দিয়েছিলেন।

নানার বাড়ীটা ছিল বেশ পুরনো ডিজাইনের, মূল বাড়ীর বাইরের দিকে ছিল গাছপালা ঘেরা লাগোয়া একটা উঠান আবার ভিতর বাড়ীতেও ছিল আরেকটা উঠান। ভিতর বাড়ীর উঠান ঘিরে কাটতো মা নানী খালাদের দৈনন্দিন জীবন। সেখানে খোলা আকাশের নীচেআমরা ছোটরা গোসল করতাম। বাহির বাড়ীর উঠানে আর ছাদে চলত আমাদের উদ্দাম খেলাধুলা দৌড় ঝাপ। কত যে মধুর ছিল সেই সব দিন।

জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় সময় ছিল সেটা। কোন কথা থেকে কোন কথায় চলে গেলাম। তখন আমার দৌড়ঝাপেরও বয়স হয়নি, নিতান্তই গ্যাদা টাইপ বাচ্চা। অসহায়ের মত ভাই বোনদের আনন্দ উল্লাস খেলাধুলা দেখতাম। তবে হে হাগু ধরলে বাহির বাড়ীর উঠানে পেয়ারা গাছের নীচে বসে হাগু করতাম।

ছোট হওয়ার কারনে এই সুবিধা টুকু আমার জন্য বরাদ্দ ছিল। পরে আম্মা এসে আমাকে পরিষ্কার করতেন। তো কখনও আম্মা আসতে দেরী করলে পেয়ারা গাছ থেকে পড়া শুকনো কাঠি কুড়িয়ে ওই জিনিস মানে গু খাওয়া শুরু করতাম আরকি। খুব একটা মন্দ লাগতো না। জিনিসটা লবনাক্ত স্বাদের আর দাতের নীচে বালির মত কিচকিচ করতো।

আমার ভাই বোন সব ছি ছি করতো, তাদের অঙ্গভঙ্গি দেখে মজা পেয়ে আমি আরো দ্বিগুন উৎসাহে খওয়া শুরু করতাম। তাদের হাকডাকে আম্মা এসে একসময় আঙ্গুল দিয়ে মুখ থেকে ওই জিনিস বের করতো। এখনোও ভাই বোন একত্র হলে ওই কথা মনে করে খানিকটা হাসাহাসি হয়।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.