আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাটির ওপারে আমরা দাফন করেছি বাংলার গৌরবময় ঘাত, মাটির এপারে আমরা কাফন বুনেছি; হতে দেবনা ও বাংলা মা তোমার গর্ভপাত।

আমি আঁধারে তামাসায় ঘেরা জীবন দেখেছি, আমার বুকের ভেতর শূন্যতা থেকে শূন্যরা এসে বাসা বেঁধেছে, আমি খুঁজেছি তোমাকে সেই আঁধারে আমার মনের যত রঙলীলা; আজ সাঙ্গ হতেছে এই ভবের বাজারে। আমি একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধ যেন আবার ফিরে পেলাম শাহবাগের আগুন ঝরা উত্তাল জনসমুদ্রের মাঝে। একাত্তুরে মুক্তিযুদ্ধ করে প্রান দেয়ার সৌভাগ্য আমার হয় নাই কিন্তু আজ সৌভাগ্য হয়েছে এই বাংলাদেশের মাটিতে সকল রাজাকারদের ফাঁসির দাবীতে নব প্রজন্মের আজকের এই মুক্তিযুদ্ধ করার। প্রান দিতে এতটুকুও আজ আমি ভীত নই। এই যুদ্ধে আমাকে হয়ত মেশিনগান নিয়ে নামতে হচ্ছে না কিন্তু শুধু শ্লোগান দিয়েও আমি খান্ত হতে চাইনা কিংবা শাহবাগ চত্তরে অবস্থান করেই শুধু আমার তৃষ্ণা মিটছে না।

তাই যতদিন এই দেশ সম্পূর্ণরূপে রাজাকার মুক্ত না হচ্ছে এবং সকল রাজাকারের ফাঁসি না হচ্ছে আমি ততদিন আর এক মিনিটের জন্যও নরম বিছানায় গাঁ হেলিয়ে দিয়ে না ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মানুষ না ঘুমাতে ঘুমাতে কি মৃত্যু বরন করে কিনা আমার জানা নাই তবে এতে যদি আমার মৃত্যু হয় তবে কোন পরোয়া করিনা । তবু আমার এই নীরব প্রতিবাদ চলবে ততদিন পর্যন্ত যতদিন না এই আমার বাংলাদেশ সম্পূর্ণ রূপে রাজাকার মুক্ত না হচ্ছে এবং সকল রাজাকারের ফাঁসি না হচ্ছে। হে বাংলা মাতা, আমি দেখিনি একাত্তুরের ভয়াল যুদ্ধ সেই, আমি শুনেছি নব শতাব্দীতে তোমার আর্তনাদ এই। আমি তোমাকে মিছে আশ্বাস দেবনা; জানি তুমি আমাকে অভিশাপ দেবে, তবু, তোমাকেই বলছি শুন; তোমার অশ্রুস্নাত চোখে লেখা আমার এই কবিতা, তুমি শুন – মাটির ওপারে আমরা দাফন করেছি বাংলার গৌরবময় ঘাত, মাটির এপারে আমরা কাফন বুনেছি; হতে দেবনা ও বাংলা মা তোমার গর্ভপাত।

বিনা টিকেটে আমরা নির্লজ্জ চোখে দেখছি – বাংলার রঙ্গমঞ্চে নাট্য রত কিছু শকুনের দল। মঞ্চে লুটায়েছে খত-বিক্ষত কত নারীর দেহ, তাকে ঘিরে অশ্লীল নৃত্য রত আরও কিছু শকুনের দল। মিছিল আর গুলির সুরে মাতিয়েছে – বাংলার যেন এক ওপেন এয়ার কোন কনসার্ট । উন্মুক্ত করেছে বাংলার দাড়; অশ্রু -ঘামে ভেজা এই বাংলার যত সম্পদ, রাখবেনা এই বাংলায় আর। সত্যি! বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়, আষাঢ়ী ষড়যন্ত্র মেলা সার্থক হতেছে; বুদ্ধিজীবীগণ কয়।

হে বাংলা মাতা, মাটির ওপারে আমরা দাফন করেছি বাংলার গৌরবময় ঘাত, মাটির এপারে আমরা কাফন বুনেছি; হতে দেবনা ও বাংলা মা তোমার গর্ভপাত। হে বাংলা মাতা, তোমাকেই বলছি শুন; তোমার অশ্রুস্নাত চোখে লেখা আমার এই কবিতা; আমার এই কবিতা বুঝি দুমড়ে – মুচড়ে গেল আমাদেরই পদতলে। বুড়ো সূর্যটাও বুঝি ঘৃণায় – লজ্জায় লুকাল মেঘেরই আঁচলে। আরও দু ফোঁটা অশ্রু ঝরাল শিল্পীর তুলি, আরও দু ফোঁটা অশ্রু ঝরাল কবির কলম, আরও দু ফোঁটা অশ্রু ঝরাল সৈনিকের অস্র, গনধর্ষণের স্বীকার বাংলা মাতা আরও দু ফোঁটা অশ্রু ঝরাল নগ্ন শরীরে। আমরা বোকা নই তবু যেন বোকা হয়েই থাকতে হয়, আমরা অভাগা বাংলাদেশী – আমাদের মাঝে আজো আছে সেই রাজাকারের দল – আছে নব্য গড়ে উঠা যত শকুনের দল।

আজ একটিই শ্লোগান ধ্বনিত হোক বাংলার রাজপথে; প্রতিবাদী মিছিলে বীর জনতার কণ্ঠ হতে – “যুগে – যুগে চাইনা আর আমাদের বাংলা মাতার গর্ভপাত” জাগো বাংলাদেশী জাগো, সূর্যের আলোকে স্নান করে তপ্ত স্বদেশী তাজা রক্ত, শরীরে বহে সম্পূর্ণ স্বাধীনতার জীবনে শুধু সামনেই এগিয়ে চল। আমরা বাংলাদেশীরা আবারো স্বপ্নের নকশা বুনি, বাংলা মাতার সবুজ শাড়ির রক্তিম আঁচলে, ঐতিহাসিক কোন এক বিজয় দিবসে মহান আল্লাহ সুভআনাতাআলার অসীম রহমতের আশ্রম ছায়ায়, বীর বাংলাদেশীদের বীরত্তের সজীবতায় আমরা হয়েছি পুরনাঙ্গ স্বাধীন; পূব আকাসে উদেছে মৃত্যু দূত রুপী স্বাধীন সূর্য, সেই সূর্যের আগুনে জ্বলে পুড়ে ভস্ম হয়ে গেছে; “বাংলা মাতার গর্ভপাত” ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.