আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহান মে দিবস পালিত

আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে।

গতকাল মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে। মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পালিত দিনটিতে গণমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটি বউবাজার শ্রমিক এলাকা হতে একটি লাল পতাকা মিছিল আয়োজন করে। উক্ত মিছিলে ঢাকা ও গাজীপুরের প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক-জনতা অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি বউবাজার হতে শুরু হয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে এসে শেষ হয়।

পরবর্তীতে বধ্যভূমিতে শ্রমিকদের মধ্যে গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে ১০জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার আহ্বায়ক শিবলী কাইয়ুম এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও অনুষ্ঠানের সভাপতি মাসুদ খান। সভায় মাসুদ খান বলেন, যে উদ্দেশ্যে মে দিবস ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে পালন হচ্ছে, অনধিক আট ঘন্টা কাজের সেই দাবি বিশ্বের অন্যান্য দেশে কিছু মাত্রায় বাস্তবায়িত হলেও আমাদের দেশে তা বিন্দুমাত্র বাস্তবায়িত হয়নি।

এর কারণ, এদেশের শাসকগোষ্ঠী কখনোই শ্রমিক-কৃষক-জনতার প্রতিনিধিত্ব করে না। বরং তারা এদেশীয় সামন্ত-দালাল বুর্জোয়া শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী। এদেশের মন্ত্রী-এমপিরাই একেকটি কারখানার মালিক। আর তাই যা তাদের অবৈধ মুনাফা অর্জনের পথ সঙ্কুচিত করে তা তারা কখনোই করবে না, করতে দেবে না। তাই এখন সময় হয়েছে নিপীড়িত শ্রমিক-কৃষক-জনতার ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার।

সময় হয়েছে নিজেদের রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলবার। জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ কৃষক-শ্রমিক-দেশপ্রেমিক জনগণের সেই সংগঠন। আমাদের সকলকে তাকে গড়ে তুলতে হবে, এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মাসুদ খান আরো বলেন, ৪৭, ৭১, ৯১-এ আমরা দেখেছি মুসলিম লীগ ও তার উত্তরসুরী এবং বিএনপি-জামাত-জাতীয় পার্টিসহ বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের মুক্তির স্পৃহাকে ব্যবহার করে নিজেরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। তারা জনগণের স্বার্থ নিয়ে বড় বড় বুলি আঁওড়ালেও ক্ষমতায় যেয়ে তারা বারবার বেঈমানীর পথ অবলম্বন করেছে।

ভোটের সাজানো নাটকে নিজেদের ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য জনগণকে ব্যবহার করেছে মাত্র। এদেরকে পরিত্যাগ করতে হবে। নিজেদের রাজনৈতিক শক্তি বিকশিত করতে হবে। আলোচনা সভার পর লালবাগ কমিটির শ্রমিক ভাই-বোনদের রচনা ও নির্দেশনায় শ্রমিকদের অংশগ্রহণে নাটিকা 'ন্যায্য অধিকার' মঞ্চস্থ হয়। নাটিকাটিতে কারখানার শ্রমিক নিপীড়নের চিত্র এবং তার প্রতিবাদে শ্রমিকদের আন্দোলনের শক্তি তুলে ধরা হয়।

এরপর প্রগতির পরিব্রাজক দলের (প্রপদ) বন্ধুদের গান পরিবেশিত হয়। সবশেষে গানের প্রতিযোগিতা ও নাটকে অংশগ্রহণকারী শ্রমিক ভাই-বোনদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন মাসুদ খান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণমঞ্চের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাজ্জাদ জহির ও শারমিনুন নাহার, সদস্য সচিব রাশেদ চৌধুরী, লালবাগ কমিটির আহ্বায়ক মোঃ রায়হান।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.