আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্ম মানুষকে মহান করে না মানুষ কর্মের মাধ্যমে নিজ ধর্মকে মহান কিংবা কলংকিত করে ।

uব্লগিং করলে নাকি জাতে উঠা যায় !জাতে ওঠার তীব্র আকুলতায় তার দুই হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন বাবা। মা বললো, অনেক হয়েছে, আর নয়। এখানেই খেলা শেষ করে দেয়া যাক! মার কথা শুনে বাবা তাকে বললেন একটা পলিথিন ব্যাগ আনার জন্য। মা তাই করেন। এরপর বাবা জোরে একটা ধাক্কা মেরে আপাকে ঘরের মেঝের ওপর ফেলে দেন।

বাবা তার দুই হাটু আপার দুই উরুর উপর তুলে দিয়ে তাকে অনড়ভাবে ধরে রাখেন। আর দুই হাত দিয়ে ধরে রাখেন আপার দুই বাহু। বাবার শক্তিশালী বিশাল শরীরের কাছে আপার কেবল মোচড়ামুচড়িই সার! পরে বাবা তাড়াতাড়ি পলিথিন ব্যাগটা আপার নাকে মুখে ‘সুন্দর করে’ চেপে ধরতে বলেন। মা তাই করে। আপা জোরে জোরে নিঃশ্বাস টেনে দম নেয়ার চেষ্টা করে।

কিন্তু পলিথিন ব্যাগের কারণে সেটা সম্ভব হয় না। সে সর্বশক্তি দিয়ে গোঙানি দেয়ার চেষ্টা করে। আর মা সর্বশক্তি দিয়ে পলিথিনের ব্যাগটা নাকে মুখে অনড়ভাবে চেপে ধরে রাখার চেষ্টা করেন। কষ্টে আপার চোখ দুটো যেন গর্ত থেকে বের হয়ে আসছিল। একদিকে প্রাণে বাঁচার সর্বোচ্চ চেষ্টা, আরেকদিকে নাকমুখ বন্ধ করে নিঃশ্বাস বন্ধ করার জোর চেষ্টা।

আমরা কয় ভাইবোন দর্শক। অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি। একপর্যায়ে দেখা গেল, আপা রণে ভঙ্গ দিয়েছে! আর দাপাদাপি করছে না। -তারপর? আপা নিঃশ্বাস নেয়ার চেষ্টা বন্ধ করে দিল। পা ছোড়াছুড়ি থামিয়ে দিল।

বুঝলাম সব শেষ! মা মুখ থেকে পলিথিন ব্যাগটা সরিয়ে নিলেন। তারপর কোনো কারণ ছাড়াই আপার নিথর শরীরটার বুকের উপর বাবা কষে একটা লাথি দিলেন। আমরা তিন বোন উপরের রুমে গিয়ে কান্নাকাটি করছি। শুধু ভাই জুনায়েদ এসে বলছে, উচিত শিক্ষা হয়েছে! ব্রিটেনে একটা ‘সম্মানিত’ পাকিস্তানি পরিবারে লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের শুনানিতে আদালতে প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ এটি। প্রত্যক্ষদর্শী আর কেউ নয়, খুন হওয়া মেয়েটির ছোট বোন।

আর খুনি তার বাবা মামা! মা-বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছেন পরিবারের কনিষ্ঠ কন্যাটি। পাশ্চাত্যে ঝড় তোলা এই খুনের ঘটনার শুনানি চলছে ইংল্যান্ডের চেস্টার আদালতে। গত বুধবার আদালতে ছোট মেয়েটি তার সাক্ষ্যে সেদিনের খুনের ঘটনা এভাবে বর্ণনা করে। মা বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে কন্যা আবেগপ্রবণ হয়ে সাক্ষ্য দেয়া বন্ধ করে দিতে পারে, এই আশঙ্কায় তার কাঠগড়ার সামনে একটি পর্দা ঝুলিয়ে দেয়া হয় যাতে তিনি তাদের মুখ দেখতে না পারেন। খুনের বর্ণনা শুনে আদালতে উপস্থিত সবার চোখ কপালে ওঠে।

পাকিস্তানি এই পরিবারটির বাস উত্তর পশ্চিম ইংল্যান্ডের চেশায়ারে। ৫০ বছর বয়স্ক ইফতিখার আহমেদ ও তার স্ত্রী ফারজানা আহমেদের (৪৭) চার কন্যা ও এক পুত্র নিয়ে সংসার। ছেলেমেয়েরা জন্মসূত্রে ব্রিটেনের নাগরিক। ২০০৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর খুন করা হয় বড় মেয়ে শাফিলিয়া আহমেদকে। কিন্তু অসীম দক্ষতায় ইফতিখার আহমেদ তার মেয়ের লাশ গুম করে ফেলেন।

ছেলেমেয়েদের শাসিয়ে দেন তারা যেন এ ব্যাপারে মুখে টু শব্দ না করে। শাফিয়ালা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিলে কয়েকদিন পর তার স্কুলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় ইফতিখার দম্পতির সঙ্গে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে তারা জানিয়ে দেন শাফিলিয়া ‘নিঁখোজ’ হয়েছে। আর নীরব থাকা নিরাপদ হবে না মনে করে তারা পুলিশের কাছে মেয়ের নিঁখোজ হওয়া নিয়ে একটা সাধারণ ডায়েরি করেন। শাফিলিয়ার স্কুলের পক্ষ থেকেও পুলিশের কাছে বিষয়টি অবহিত করা হয়।

মাঠে নামে ব্রিটেনের পুলিশ ও গোয়েন্দারা। হন্যে হয়ে তারা শাফিলিয়ার ‘অপহরণকারীদের’ পিছু ছোটে। পরের বছর ইফতিখারদের আবাসস্থান থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে কাম্ব্রিয়ায় কেণ্ট নদীতে বন্যায় ভেসে আসা কার্টনে ভর্তি একটি লাশের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। তার সাথে থাকা ব্রেসলেট ও আংটি এনে পুলিশ ইফতিখার দম্পতিকে দেখান। তারা সনাক্ত করেন এটা তাদের মেয়েরই লাশ।

কিন্তু কেবল হাড়গোড় থেকে পুলিশ কিছু বুঝে উঠতে পারে না। এক দফা ময়না তদন্ত হয়। কিছুই উদ্ধার করা গেল না। আরেক দফা ময়নাতদন্ত হয়। অভিমত দেয়া হয়, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

লাশ থেকে দাঁত এনে শাফিলিয়ার ডেন্টিস্টকে দেখানো হয়। তিনি মনে করতে পারেন না। শেষে পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্ট করা হয়। ডিএনএ টেস্টে প্রমাণ হয় এটা ইফতিখার দম্পতির ‘গুম’ হওয়া কন্যা শাফিলিয়া। এবার পুলিশের সামনে দ্বিতীয় বিপদ।

মা-বাবার চোখে কুমিরের অশ্রু। মেয়ের খুনিদের বের করে দিতে হবে, খুনের বিচার করতে হবে। পুলিশের উপর তারা চাপ দিতে থাকেন। জলজ্যান্ত আদরের মেয়েটা ‘গুম’ হয়ে গেল আর পুলিশ গোয়েন্দারা করছে কী! এভাবে কেটে যায় টানা সাত বছর। চরম লজ্জায় পড়ে যায় বাঘা বাঘা ব্রিটিশ গোয়েন্দারা।

কারণ দেশটিতে এভাবে দীর্ঘদিন খুনির লুকিয়ে থাকা কিংবা খুনের রহস্য উদঘাটন না হওয়া অনেকটা অবিশ্বাস্য। সব রাস্তাতেই চেষ্টা করে গোয়েন্দারা। কিন্তু কোনো ক্লু খুঁজে পায় না। কিন্তু ঘটনা দেরিতে হলেও উদঘাটন হয় ছোট মেয়ে আলিশার এক অদভুত আচরণের মাধ্যমে। ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট আলিশা তার দুই বন্ধুকে নিয়ে তাদের নিজের বাড়িতেই ডাকাতি করে করে বসেন! মুখে কালো মুখোশ পরিহিত আলিশা ও তার দুই সঙ্গী তাদের বাড়িতে ঢুকে তার মা, দুই বোন এবং ভাইকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে তাদের মুখে টেপ লাগিয়ে দেন।

ঘটনার সময় তার বাবা বাড়ি ছিলেন না। তারা ঘর থেকে প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন ডলার সমমূল্যের নগদ অর্থ এবং জুয়েলারি নিয়ে পালিয়ে যান। কয়েকদিনের মধ্যেই পুলিশ আলিশাকে সন্দেহ করে তাকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তার দুই সহযোগী লাপাত্তা হয়ে যায়।

নিজের বাড়িতে ডাকাতি, এই অস্বাভাবিক ঘটনার কারণে আলিশাকে জিজ্ঞাসাবাদে মনোঃরোগ বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেয়া হয়। একপর্যায়ে আলিশা সাত বছর ধরে যে কষ্ট লুকিয়ে রেখে বেড়ে উঠেছেন তা প্রকাশ করে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। কিভাবে তাদের কয়েক ভাই-বোনের সামনে মা-বাবা তাদের আপাকে হত্যা করেছিলেন সেই কাহিনী শোনান। কিন্তু তার কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করা ঠিক হবে না, এমন মনে করে পুলিশ তার বাবা ইফতিখার আহমেদ, মা ফারজানাসহ সব ভাই বোনের ফোনে আঁড়িপাতা শুরু করে। তাদের কথাবার্তা থেকে এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার স্পষ্ট আলামত পেয়ে ২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় এই দম্পতিকে।

সেই খুনের বিচার চলছে চেস্টার আদালতে। সাক্ষ্য দিচ্ছেন আলিশা। আলিশা গত বুধবার আদালতে ঘটনার পুরো বর্ণনা দেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তার মা বাবা কেন তার সম্ভাবনাময়ী বোনকে এভাবে খুন করলেন। জবাবে আলিশা জানান, ঘটনার সময় শাফিলিয়া ছিল ১৭ বছরের তরুণী।

পড়তো এ লেভেলে। ছিল তুখোড় মেধাবী। তার স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা শেষ করে বড় আইনজ্ঞ হবে। পাকিস্তানি বংশোদভুত হলেও সে ব্রিটেনের স্থানীয় মেয়েদের মতো স্বাধীনচেতা ছিল। কিন্তু তার মা বাবার চাওয়া ছিল মেয়ে রক্ষণশীল ঘরানার হোক।

তার উপর চলতো মা বাবার গোয়েন্দাগিরি। শাফিলিয়া স্কুল থেকে ফিরলে গোপনে তার স্কুলব্যাগ চেক করা হতো। মোবাইল ফোনের কললিস্ট চেক করা হতো। ছেলেদের নাম্বারে কথা বলার প্রমাণ পেলে বকাঝঁকা করতেন তারা। শাফিলিয়া পছন্দ করত জিন্সের প্যান্ট, টি শার্টসহ ব্রিটেনের নতুন প্রজন্মের সব পছন্দের পোশাক।

চুলে রং লাগাতো। কিন্তু তার মা বাবা এসব পছন্দ করতেন না। বকাঝকা করতেন। কিন্তু আপা শুনতো না। এক পর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেন, তাকে কৌশলে পাকিস্তানে নিয়ে সেখানে একটা ধর্মভিরু পরিবারের ছেলের সাথে তার বিয়ে দিয়ে দিবেন, তাতে সব ঠিক হয়ে যাবে।

সেই মোতাবেক তাকে পাকিস্তানে নিয়ে যান। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। আবার ব্রিটেনে ফিরে এসে পড়াশোনায় মনোযোগী হয় সে। সে ছিল স্কুলের প্রিয় মুখ। মেধাবী হবার কারণে শিক্ষকরা খুব স্নেহ করতেন।

সব বিষয়ে একশ পার্সেন্টের কাছাকাছি নম্বর পেতো। সুন্দরী হবার কারণে বন্ধুরা তাকে ‘অ্যাঞ্জেল’ বা পরী বলে ডাকতো। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে অগণিত দাতব্য কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে সে। পড়াশোনার মাঝে পার্টটাইম চাকরি নিয়েছিল একটি টেলিমার্কেটিং কোম্পানিতে। সেই উপার্জনের অর্থের একটা অংশ দাতব্য কর্মসূচিতে খরচ করতো।

লেটেস্ট ফ্যাশনের পোশাক এবং ডিজাইনার জুতা তার পছন্দ হলে কি হবে, সে রান্না-বান্না এবং ঘরকন্যার কাজেও ছিল সমান পটু। আর মৃত্যুর পর পুলিশ তার ডায়েরি ঘেটে আবিষ্কার করেছে সে কবিতাও লিখতো। ইংরেজি ভাষায় লেখা অগণিত কবিতা পাওয়া যায় তার ডায়েরিতে। এতসব সত্ত্বেও শাফিলিয়ার মা-বাবা তার পাশ্চাত্য ঘরানার সাজসজ্জা ও চলাফেরা অপছন্দ করতেন। তারা মনে করতেন মেয়ের কারণে তাদের পরিবারের ‘সম্মানহানি’ হচ্ছে।

তাই প্রতিনিয়ত মেয়েকে শাসন করা তাদের অন্য কাজগুলোর মতো রুটিন হয়ে গিয়েছিল। একপর্যায়ে তার জন্মদাত্রী মা-ই সিদ্ধান্ত নেন ‘খেলা শেষ করে’ দিতে! আলিশা গত বুধবার আদালতে আরো জানান, সেদিন বোনকে নির্মমভাবে হত্যা করতে দেখে তিনি উপরের তলায় গিয়ে অন্য বোনদের সঙ্গে কান্নাকাটিতে অংশ নেন। কিছুক্ষণ পর আবার নিচে এসে উঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করেন মা বাবা কি করছে। তিনি দেখেন তার মা একটি কার্টনে স্কচটেপ লাগাচ্ছেন। আর শাফিলিয়ার লাশ কার্টনে ভরার উপযুক্ত করার জন্য বাবা ইফতিখার আহমেদ তা কেটে খন্ড খন্ড করছেন! বিভত্স দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে আলিশা আবার উপরে চলে যান।

কিছুক্ষণ পর দরজা খোলার শব্দ পেয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখেন বাবা কার্টনটা পাজাকোলা করে ধরে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন। এরপর গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট হবার এবং প্রস্থানের শব্দ। কার্টনটা তার বাবা কোথায় ফেলে এসেছিলেন তা পরিবারের কেউ জানতো না। গত সপ্তাহে আদালতে আলিশা আরো বলেন, আপার নৃসংশ হত্যাকান্ড ও লাশ টুকরা করার দৃশ্য দেখে তার সব ভাই বোনদের মধ্যে মৃত্যুভয় ঢুকে যায়। তারা অসীম দক্ষতায় নিজেদের মধ্যে ঘটনাটি গোপন রাখেন।

কারণ তাদের হুমকি দেয়া হয়েছিল, কেউ জানতে পারলে তাদের পরিণতিও শাফিলিয়ার মতো হবে। তিনি আরো বলেন, তার মা বাবা অতটা ধর্মচর্চা না করলেও শাফিলিয়াকে খুন করার পর থেকে তারা নিয়মিত নামাজ পড়া শুরু করেন। অন্যদিকে, এদিন পুলিশ আদালতে জানায়, ২০০৩ সালে মেয়ে নিঁখোজ হওয়া সত্ত্বেও ইফতিখার পুলিশে খবর দেননি। তাদের কল লিস্ট চেক করে দেখা গেছে, তারা মেয়ের মোবাইলে কল দেয়ারও চেষ্টা করেননি! তার মানে তারা জানতেন কল দিয়ে লাভ হবে না। অথচ এর আগে একবার শাফিলিয়া রাগ করে তার বান্ধবীর বাসায় চলে গেলে তাকে খুঁজে বের করতে হেন কোনো চেষ্টা বাকি রাখেননি তারা।

একারণে এই দম্পতিকে সন্দেহভাজন হিসেবে ২০০৪ সালে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে তারা চমত্কার অভিনয় করে পুলিশকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করেন যে তারা নির্দোষ। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু ডাকাতি মামলায় তাদের ছোট মেয়ে আলিশাকে গ্রেফতার করার পর আলিশাই জানিয়ে দেন ওই খুন তার মা বাবা করেছেন। কিন্তু তার কথা পুরোপুরি বিশ্বাস না হওয়ায় বাড়ির সবার ফোনে আঁড়ি পাতা হয়।

ফোনে একদিন ফারজানা (শাফিলিয়ার মা) স্বামীর কাছে জানতে চান, ‘তারা ধরা পড়বে না তো? শাস্তি হবে না তো?’ ইফতিখার তার স্ত্রীকে অভয় নিয়ে বলেন, ‘চিন্তা করো না। আমাদের অপরাধ আদালতে প্রমাণ করার কোনো সুযোগই রাখিনি। ’ আরেকদিন তিনি স্ত্রীকে বলেন, ‘ব্রিটেনে খুনের ঘটনা শতভাগ নিশ্চিত না করতে পারলে সাজা হয় না। তুমি যদি ৪০ জনকেও খুন কর, তুমিই যে খুন করেছো এটা শতভাগ প্রমাণ না করা পর্যন্ত কিছুই করতে পারবে না আদালত!’ কিন্তু ইফতিখার নিজেকে অনেক বুদ্ধিমান মনে করলেও তিনি বুঝতে পারেননি, ‘দেয়ালেরও কান আছে’! এত কান্ড করেও এত দিন পরে ধরা পড়তে হলো স্বামী স্ত্রীকে। প্রতিনিয়ত ছুটতে হচ্ছে আদালতে, মেয়ের মুখে শুনতে হচ্ছে হত্যার বর্ণনা।

আর গুণতে হচ্ছে শাস্তির প্রহর। এই মামলার দিকে কঠোরভাবে নজর রাখছে ইউরোপ-আমেরিকার মিডিয়াগুলো। ঘটনাটির উল্লেখ করে বিখ্যাত ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’ মন্তব্য করেছে, অপরাধী হাজার চেষ্টা করলেও তার পাপের শাস্তি অনিবার্য। হতে পারে তা দু’দিন আগে কিংবা দু’দিন পরে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.