আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেপলার মহাকাশ দূরবীন

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

অনেকদিন ধরে নাসা সৌরজগতে এবং সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর মতো গ্রহ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে৷ সেই প্রচেষ্টায় এবার যুক্ত হয়েছে ‘‘কেপলার মহাকাশ দূরবীন’’৷ মহাকাশে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরের মিশনে পাঠানো হয়েছে‘‘কেপলার মহাকাশ দূরবীন’’ কে৷ কেপলার মহাকাশ দূরবীনকে এই মিশনে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ছায়াপথে পৃথিবীর মতো গ্রহের খোঁজ করা৷ ‘‘কেপলার মহাকাশ দূরবীন'' এমন একটি যন্ত্র যা দিয়ে আলোর তীব্রতা পরিমাপ করা যায়৷ মহাকাশে কেপলারের কাজ হলো ছায়াপথের মধ্যে যেসব নক্ষত্র ঘুরে বেড়ায় তাদের আলোর তীব্রতা পরিমাপ করা৷ আলোর তীব্রতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নক্ষত্রের চারদিকে আবর্তিত সেই গ্রহগুলোর সন্ধান করা, যেখানে প্রাণীর বসবাস আছে৷ এই যন্ত্রের উন্নত সংস্করণ করতে নাসার খরচ হয়েছে ছয়শো মিলিয়ন ডলার৷ নাসার বিজ্ঞান বিষয়ক অধিদপ্তরের সহযোগী প্রশাসক এড ভাইলার বলেছেন, ‘‘এই মিশনের অন্যতম লক্ষ্য হলো পৃথিবীর মতো আরো গ্রহ আছে কিনা তা খুঁজে বের করা৷ এটি শুধু বিজ্ঞানের বিষয় নয়, বরং এটি একটি ঐতিহাসিক অভিযাত্রা৷ এই অভিযাত্রার মাধ্যমে খুব শীঘ্রই আমরা জানতে পারবো সৃষ্টির রহস্য৷ উদঘাটন করা যাবে সেই প্রাচীন প্রশ্ন, কোথা থেকে মানুষের জিনের উদ্ভব হয়েছে-এর উত্তর৷ এমনকি পৃথিবীর প্রথম মানব ও মানবীর রহস্য উদঘাটন করা যাবে৷ সেই প্রশ্নের উত্তরটিও খুঁজে পাওয়া যাবে যে প্রশ্নটি সাধারণত মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে করে থাকে, আমরা কি এই বিশ্মব্রহ্মান্ডে একা?'' ক্যালোফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসা গবেষণা কেন্দ্রের কেপলারের বিষয়ে প্রধান গবেষক উইলিয়াম বোরৌকি বলেছেন যে, ‘‘এই প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে এমন কিছু গ্রহ খুঁজে বের করা যা জীবনধারণের জন্য উপযোগী৷ আমরা এমন কিছু গ্রহের সন্ধান করছি যেখানকার তাপমাত্রা ভীষণ গরমও হবেনা৷ আবার ভীষণ ঠান্ডাও হবেনা৷ আমরা এমন জলবায়ু যুক্ত গ্রহ খুঁজছি যার ভুতলে পানির সন্ধান পাওয়া যাবে৷ যদি এধরনের গ্রহ খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে হবে যে, বিশ্বব্রহ্মান্ডের মধ্যে প্রাণীর বসবাস অতি সাধারণ ব্যাপার৷ এবং সেখানে প্রাণের বিকাশ ঘটানোর সুযোগ রয়েছে৷ আর যদি খুঁজে পাওয়া না যায় বা অল্প কিছু গ্রহের খোঁজ পাওয়া যায়, তাহলে বুঝতে হবে পৃথিবীর মতো মানুষের বাসযোগ্য গ্রহ খুব কমই আছে৷ বুঝতে হবে যে, হয়তো শুধুমাত্র পৃথিবীই প্রাণীর বসবাসের একমাত্র গ্রহ'' কেপলার মহাকাশ দূরবীনের মাধ্যমে বিজ্ঞানীগণ এক লক্ষ নক্ষত্রের অভ্যন্তরে গবেষণা করতে পারবে৷ কেপলারের মূল যাত্রা সাড়ে তিন বছরের হলেও নাসার বিজ্ঞানীদের ইচ্ছা এ মিশন ৪-৬ বছর পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া৷ পৃথিবীর মতো প্রাণী বসবাস করে এমন গ্রহের খোঁজ করা কেপলারের অন্যতম কাজ৷ কেপলার খুঁটিয়ে দেখবে মঙ্গল গ্রহের আয়তন জুপিটার গ্রহের সমান কিনা! এটি সূর্যের মতো আরও নক্ষত্র খুঁজে বের করবে যার চারপাশে অসংখ্য গ্রহ উপগ্রহ আবর্তিত হয়৷ কেপলার মহাকাশ দূরবীন এর প্রথম ফলাফল পাঠাতে সক্ষম হবে তিন মাস পর থেকে৷ নাসার বিজ্ঞানীরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে সেই দিনটির জন্য৷ ফারজানা কবীর খান

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।