আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জার্মানির চিকিৎসকরা ১৮ কেজি ওজনের একটি টিউমার দূর করলেন৷

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

কথায় বলে, চিকিৎসকরা হলেন ঈশ্বরের দ্বিতীয় রূপ৷ মৃত্যুর মুখ থেকে তারা ছিনিয়ে আনেন রোগীকে৷ এবার সেকথাই আবার প্রমাণ করলেন জার্মানির চিকিৎসাবিদরা৷ শৈল্য চিকিৎসার মধ্য দিয়ে ১৮ কেজির একটি টিউমার অপসারণ করে নতুন করে চমক দেখালেন তারা৷ ‘‘পুনর্জন্ম হলো আমার’’ বললেন সৌদিবাসিনী এক রমণী৷ জার্মানির চিকিৎসকরা শৈল্য চিকিৎসার মধ্য দিয়ে তার ১৮ কেজি ওজনের একটি টিউমার দূর করলেন৷ শৈল্য চিকিৎসা শেষে সাফল্যের সাথে চিকিৎসকরা জানালেন, এত বড় টিউমার তারা আর দেখেননি৷ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ৩ সন্তানের জননী ৩৫ বছর বয়স্কা সেই সৌদি রমণী জানালেন, তিনি তার দেশে ফিরে যাবেন৷ বার্লিনের চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় বসে এ কথা বললেন তিনি৷ দেশে গিয়ে সেইসব চিকিৎসকদের সামনে দাঁড়াবেন যারা বলেছিলো যে তার সুস্থ হওয়ার কোনো আশাই নেই৷ ২০০৪ সালে রমণীটির নিতম্বের হাড়ের মধ্যে মালিগন্যান্ট কার্টিলাগিওনাস নামে একটি টিউমার সনাক্ত হয়৷ তিনি কুয়েতে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে অস্বীকার করেন৷ কারণ, তারা তাকে বলেছিলো তাঁর নিম্নঔদরিক খাঁজের অর্ধেক এবং ডান পাশের পাটি কেটে ফেলতে হবে৷ ২০০৮ সালে তিনি জার্মানিতে আসেন যখন তাঁর টিউমারটির আকার অনেক বড় হয়ে যায়৷ ছবিতে তাঁর টিউমারটির আকার বলের মতো দেখাচ্ছিল৷ টিউমারটির কারণে তাঁর প্রাত্যাহিক প্রাকৃতিক কার্য সম্পাদন করতে খুবই কষ্ট হতো৷ এমনকি তাঁর পাকস্থলী থেকে মলদ্বার পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো৷ টিউমারটি বাইরের দিকে চলে এসেছিলো ৷ টিউমারটি তাঁর নিতম্ব এবং উরুর চামড়াকে এতটাই বিস্তৃত করেছিলো যে তা ত্বক ভেদ করে নিতম্বের কাছে বহিঃসারিত হয়ে যায়৷ এমনাবস্থায়, ক্যামোথেরাপি দিয়ে বার্লিনের ক্যাপিটাল হেলথের চিকিৎসকরা টিউমারটিকে ভেঙ্গে ফেলেন এবং পাঁচবার আলাদাভাবে শৈল্যচিকিৎসার মধ্য দিয়ে তা শরীর থেকে দূর করেন৷ তৃতীয়বার অপারেশনের পর রমণীটি ৬ মাসের মধ্যে প্রথমবার বিছানায় উঠে বসেন৷ পরবর্তী নিরীক্ষায় তার তনুতে টিউমারের কোন লক্ষণ আর পাওয়া যায়নি৷ চিকিৎসক হেইন্স সুরব্রুয়েগ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পরবর্তী ধাপ হলো রমনীটির নিম্নঔদরিক খাঁজের কিছু অংশ পুর্ণনির্মান করা এবং একটি কৃত্তিম নিতম্ব তাঁর তনুতে বসিয়ে দেয়া৷ রমণীটি এখন প্রথাগত আরবীয় পোশাক পড়ছেন কারণ তাঁর শরীরে পূর্বের মাপ ফিরে এসেছে৷ ক্রাচে ভর দিয়ে হাটছেন এবং আঙ্গুল তুলে জয়ের চিহ্ন প্রদর্শন করছেন৷ তিনি বললেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম আর কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবোনা৷ আমি যখন ঘরে ফিরে যাব প্রথমে আমি আমার সন্তানদের জড়িয়ে ধরব’’৷ প্রসঙ্গত, সৌদিবাসিনীর চিকিৎসার পিছনে ১ লক্ষ ইউরো খরচ হয়েছে৷ তাঁর স্বামী যে তেল কোম্পানীতে চাকুরী করেন তারাই এর খরচ বহন করেছে৷ ফারজানা কবীর খান

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।