আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুনামগঞ্জের হাওরে দেশিধান কাটার ধুম, হাইব্রীড এখনো পাকেনি

দাগ খতিয়ান নাইতো আমার/ঘুরি আতাইর পাতাইর...

সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে স্থানীয়জাতের বোরো ধান কাটার ধুম পড়েছে। হাইব্রীড ও উফশীর তোলনায় দেশীয় এই ধান আগে পেকে যাওয়ায় কৃষকরা ধান গোলায় তোলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিষানীরাও ব্যস্ত ধানখলায়। দেশিধানের ফলন এবার ভালো হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। তবে হাইব্রীড পাকতে আরো কয়েকদিন লাগবে বলে কৃষকরা জানান।

তবে দেশিধানের ফলণ ভালো হওয়ায় আগামীতে হাইব্রীডের বদলে আরো বেশি করে দেশিধান লাগানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন কৃষকরা। সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রপ্সারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৮-২০০৯ বছরে সুনামগঞ্জে বোরো ফসলের ল্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ১ল ৯৫হাজার ৭শ হেক্টর। এর মধ্যে উফশী ১ল ২৯হাজার ৯শ হেক্টর, হাইব্রীড ২০হাজার ৮শ হেক্টর ও স্থানীয় ৪৫ হাজার হেক্টর। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় জাতের রাতা, টেপি গছি, শালিধানসহ বিভিন্ন ধান এখন কাটা হচ্ছে। হাইব্রীড ও উফশীর তোলনায় এই ধান আগে পেকে যাওয়ায় কৃষকরা এই ধান নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

তাদের অনেকেই ঝড়আফাল ও বন্যার সঙ্গে লড়াই করে ঠিকে থাকা এই দেশিধান আগামী বছর থেকে আরো আরো বেশি পরিমাণে চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন। সদর উপজেলার দেখার হাওরপাড়ের জানিগাও গ্রামের কৃষক মশিউর রহমান বলেন, ''ইবার দেশিধান আগে ফাকছে। আমি ৮/১০ কিয়ার খাটছি। হাইব্রীড ধান ফাকতে আরো কয়েক দিন সময় লাগব''। খরচার হাওরপাড়ের গ্রাম মল্লিকপুরের কৃষক জাহাঙ্গীর বলেন, ''দেশিধান ইবার ভালা অইছে।

সময় মতো সার বীজ না পাওয়ার পরও নিজেরা বীজ করে ভালো ফলন পাইছি। এই ধানের বীজ আগামীতেও নিজেরা করে খেতে লাগাবো'' তিনি জানান, তিনি প্রায় এক একর দেশীয় জাতের ধান চাষ করেছিলেন এবছর। আগামীতে আরো বেশি চাষ করবেন তিনি। তবে তাদেরকে দেশিধান লাগাতে কৃষি অিফসের কেউ উৎসাহ দেয়নি বলে তিনি জানান। দেশিধান না লাগানোয় অনেক কৃষক আফসোসও করছেন এবার।

কারণ সপ্তাহ দেড়েক আগে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় হাইব্রীড ও উফশীধান ঝরে গেছে। এমন অনেক হাওর আছে যার নব্বই ভাগ ফসলই নষ্ট হয়ে গেছে। বিশ্বম্বপুর উপজেলার লখার হাওরপাড়ের কৃষক ইকবাল আহমেদ জানান, তিনি এবার ৩৬০ শতাংশ জায়গায় হাইব্রীড ও উফশী ধান লাগিয়েছিলেন কিন্তু এখন আর কাটার উপায় নেই। ওই হাওরের প্রায় নব্বইভাগ ফসলই শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। পার্শবর্তী হাওর হিঙ্গড়াঘাটের পুরো ফসলও নষ্ট হয়ে গেছে।

সদর উপজেলার কানলার ও জোয়ালভাঙ্গার হাওরও নষ্ট হয়ে গেছে শিলাবৃষ্টিতে। এসব হাওরের ফসল কাটার উপযোগি আর নেই। আর তিগ্রস্থ সব গুলো হাওরেই হাইব্রীড আর উফশী ফসল নষ্ট হয়েছে বেশি। সেই তোলনায় দেশিধান তিগ্রস্থ হয়েছে কম। সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আব্দুল জলিল বলেন, শিলাবৃষ্টিতে এবার বোরো ধানের মোটামুটি তি হয়েছে।

কিন্তু দেশিধানের তেমন তি হয়েনি। এই ধান বরাবরে মতো আগে পেকে যাওয়ায় শিলাবৃষ্টিতে কোন তি না হওয়ায় কৃষকরা এখন এই ধানই কাটছেন। আরো কয়েকদিন পর হাইব্রীড ও উফশী কাটা পুরোদমে শুরু হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.