আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধানমন্ত্রীর সৌদী সফর যেন অর্থবহ হয়.....

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

সৌদী আরব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। বিশ্বমন্দার সাথে সাথে কালমেঘ জমা হচ্ছে আমাদের এই শ্রমবাজারের আকাশে। প্রতিদিন অনেক শ্রমিক ফিরে আসছে তাদের কর্ম হারিয়ে, নতুন কোন কর্ম ভিসা দেয়া হচ্ছে না। আর যারা ওখানে এখনও টিকে আছে তাদের মধ্যে বড় একটা অংশ অনেক ধরনের সমস্যায় আছে।

যেমন, তাদের মধ্যে কেউ হয় কাজের মালিকানা বদল করেছে কিন্তু কোন ক্লিয়ারেন্স পেপার পায়নি, আবার হয়ত কেউ পেপার পেয়েছে আবার নতুন কোম্পানীর আন্ডারে কাজও করছে কিন্তু বিগত এক/দেড় বছর ধরে কোন বেতন পাচ্ছে না। সেদেশের যাওয়ার পর পাসপোর্ট জমা দিয়ে "কাফালা" (একটি বিশেষ সার্টিফিকেট) নিতে হয়। সেই কাফালা হয়ত তার কোম্পানীর কাছে জমা দিয়েছে, কিন্তু টোটাল কার্যক্রম স্থবির থাকার জন্য সেটা সে ফেরতও পাচ্ছে না, যার জন্য তার কর্মক্ষেত্র এবং আবাসিক ভবন ছাড়া গতিবিধির উপর বিধিনিষেধ চলছে, বা দেশে টাকা পাঠাতে পারছে না। এই রকম হাজারো রকমের সমস্যা আছে। এই ধরনের সমস্যা সৃষ্টির অনেক গুলো কারণ আছে।

যার মূল কারণ, বাংলাদেশের সাথে সৌদীআরবের কুটনৈতিক তৎপরতা ঢিলেঢালা যাওয়া। গত তত্বাবধায়ক সরকার বৈদেশিক কোন ব্যাপারে গুরুত্ব না দিয়ে দেশের অভ্যন্তরের কার্যক্রম নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ব্যাস্ত ছিল। ফলে এই ধরনের ফরেন এফেয়ার্সে মারাত্বক ভাবে ছেদ পড়ে। এরপর কিছু সুযোগ-সন্ধানী দুষ্টস্বভাবের প্রবাসী বাংলাদেশী সেখানে অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত থাকাটা আরো বেশী প্রভাব ফেলেছে। কয়েকবার চেষ্টা করেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবের সফর পিছিয়ে দিতে হলেও এবার অর্থাৎ আজ তিনি ওমরা হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন।

সেখানে তিনি এই ক্ষতবিক্ষত শ্রমবাজার নিয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করবেন আশা করি। যদিও তার সফরবহরে অনেকেই আছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়েছেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বাণিজ্যমন্ত্রী লে.কর্নেল (অব.) ফারুক খান ও তার স্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্ন-জান সুফিয়ান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ও তার স্ত্রী সংসদ সদস্য নিলুফার জাফরউল্লাহসহ প্রায় ৪০ জন। আগামী ২৫শে এপ্রিল তিনি দেশে ফিরে আসবেন। তাদের দ্বিপাক্ষীয় বৈঠকে এই শ্রমিক সমস্যাগুলো উঠে আসবে আশা করি।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় অবদানকারী রেমিটেন্স সরবরাহের চিত্র আবার আগের মত হবে তথা বাংলাদেশের শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়ন সর্বোপরি বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে। আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর এবার অর্থবহ হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.