আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঐ যে কিষাণ কাটছে ধান

রুপ নারানের কুলে জেগে উঠিলাম, জানিলাম এ জগত স্বপ্ন নয়। ছেলেবেলায় আমাদের রচনা মুখস্ত করতে হতো। বহু কিসিমের রচনা এই জীবনে মুখস্ত করেছি। অধ্যবসায়, ছাত্রজীবন, সময়ের মূল্য ছিলো তার মধ্যে কমন। এসব বনেদি ঘরানার রচনার পাশাপাশি আরেকটা আতরাফ ঘরানার রচনাও আমরা পড়তাম।

বাংলার অশিক্ষিত চাষাভুষাদের নিয়ে লেখা রচনাটার একটা পোশাকী নাম ছিলো বাংলার কৃষক। মাঝে-মধ্যে পরীক্ষায় আসতো, পড়ে না গেলেও চিন্তা ছিলোনা, গোময় মস্তিক মন্থন করে ঠিকই আমরা কিছুনা কিছু একটা লিখতে পারতাম। বাংলা ২য় পত্র বইতে বাংলার কৃষকের বর্ণনাটা ছিলো দুর্দান্ত। কৃষক সূর্য উদয়ের সাথে সাথে পান্তাভাত খেয়ে, লাঙ্গল-জোয়াল কাধে নিয়ে মাঠের দিকে ছুটে। তার নিজের শরীরের মত হালের বলদের শরীরও হাড় জিরজিরে।

তার পেটে খাদ্য নেই, ঘরে ছাউনি নেই। বাংলার কৃষক মানেই যেন অভাবের একটা বিবর্ণ ছবি। সেসব বইতে কৃষকের এই অবস্থা থেকে উত্তরণের দাওয়াই বাতলানো থাকতো। যেমন: কৃষককে হতে হবে আধুনিক, বলদের বদলে কলের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করতে হবে। রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে, কৃত্রিম পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

বাঙ্গাল-লিংকের স্লোগানের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলার কৃষকও তার দিন বদলেছে। কৃষক এখন আধুনিক। তার ঘরে আছে বিদ্যুত সংযোগ, শোকেসের ওপর উয়ালটন টিভি, সেই টিভিতে আছে আবার ডিশ সংযোগ। কিষাণী এখন মনের সুখে সাতপাকে বাধা, মা, রাশি, মাসি-পিসি সহ নানা ধরণের সিরিয়াস সিরিয়াল দেখতে পারে। কৃষক এখন আসলেই কলের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করে, হাইব্রিড জাতের শস্য বপন করে।

ফলশ্রুতিতে বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত কৃষক বোরো মৌসুম সহ সব মৌসুমে ফসলের বাম্পার ফলন ফলিয়েছে, কিন্তু তার বুকের জিরজিরে হাড় ঢাকতে পারেনি। কেন? কারণ ওই বইগুলোতে লেখা ছিলোনা যে কৃষককে তার ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। লেখা ছিলোনা, শুধুমাত্র তত্বাবধায়ক নিয়ে হুটোপুটি না করে বিরোধী দলের উচিত কৃষকদের অধিকার নিয়ে কথা বলা। শুনেছি ভিক্ষুকদেরও নাকি সমিতি-সংগঠন থাকে, বাংলার কৃষকদের কোন সংগঠন নেই। এই আজন্ম অবলা কৃষকদের পক্ষে কে কথা বলবে? প্রতিটি পত্রিকায় বাধ্যতামূলক ভাবে কৃষি নিয়ে আলাদা সাময়িকী প্রকাশ করা উচিত।

প্রতি বৃহষ্পতিবার বিনোদন পাতায় উম্নুক্ত বক্ষা মহিলাদের ছবি না ছেপে, এই চাষাভুষাদের নিয়ে লেখা উচিত। ছেলেবেলায় আমাদের রচনা মুখস্ত করতে হতো। বহু কিসিমের রচনা এই জীবনে মুখস্ত করেছি। অধ্যবসায়, ছাত্রজীবন, সময়ের মূল্য ছিলো তার মধ্যে কমন। এসব বনেদি ঘরানার রচনার পাশাপাশি আরেকটা আতরাফ ঘরানার রচনাও আমরা পড়তাম।

বাংলার অশিক্ষিত চাষাভুষাদের নিয়ে লেখা রচনাটার একটা পোশাকী নাম ছিলো বাংলার কৃষক। মাঝে-মধ্যে পরীক্ষায় আসতো, পড়ে না গেলেও চিন্তা ছিলোনা, গোময় মস্তিক মন্থন করে ঠিকই আমরা কিছুনা কিছু একটা লিখতে পারতাম। বাংলা ২য় পত্র বইতে বাংলার কৃষকের বর্ণনাটা ছিলো দুর্দান্ত। কৃষক সূর্য উদয়ের সাথে সাথে পান্তাভাত খেয়ে, লাঙ্গল-জোয়াল কাধে নিয়ে মাঠের দিকে ছুটে। তার নিজের শরীরের মত হালের বলদের শরীরও হাড় জিরজিরে।

তার পেটে খাদ্য নেই, ঘরে ছাউনি নেই। বাংলার কৃষক মানেই যেন অভাবের একটা বিবর্ণ ছবি। সেসব বইতে কৃষকের এই অবস্থা থেকে উত্তরণের দাওয়াই বাতলানো থাকতো। যেমন: কৃষককে হতে হবে আধুনিক, বলদের বদলে কলের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করতে হবে। রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হবে, কৃত্রিম পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

বাঙ্গাল-লিংকের স্লোগানের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলার কৃষকও তার দিন বদলেছে। কৃষক এখন আধুনিক। তার ঘরে আছে বিদ্যুত সংযোগ, শোকেসের ওপর উয়ালটন টিভি, সেই টিভিতে আছে আবার ডিশ সংযোগ। কিষাণী এখন মনের সুখে সাতপাকে বাধা, মা, রাশি, মাসি-পিসি সহ নানা ধরণের সিরিয়াস সিরিয়াল দেখতে পারে। কৃষক এখন আসলেই কলের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করে, হাইব্রিড জাতের শস্য বপন করে।

ফলশ্রুতিতে বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত কৃষক বোরো মৌসুম সহ সব মৌসুমে ফসলের বাম্পার ফলন ফলিয়েছে, কিন্তু তার বুকের জিরজিরে হাড় ঢাকতে পারেনি। কেন? কারণ ওই বইগুলোতে লেখা ছিলোনা যে কৃষককে তার ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। লেখা ছিলোনা, শুধুমাত্র তত্বাবধায়ক নিয়ে হুটোপুটি না করে বিরোধী দলের উচিত কৃষকদের অধিকার নিয়ে কথা বলা। শুনেছি ভিক্ষুকদেরও নাকি সমিতি-সংগঠন থাকে, বাংলার কৃষকদের কোন সংগঠন নেই। এই আজন্ম অবলা কৃষকদের পক্ষে কে কথা বলবে? প্রতিটি পত্রিকায় বাধ্যতামূলক ভাবে কৃষি নিয়ে আলাদা সাময়িকী প্রকাশ করা উচিত।

প্রতি বৃহষ্পতিবার বিনোদন পাতায় উম্নুক্ত বক্ষা মহিলাদের ছবি না ছেপে, এই চাষাভুষাদের নিয়ে লেখা উচিত। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.