আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে সাহসী বাহিনী- বাংলাদেশ এয়ারফোর্স



সঠিক সংখ্যাটি হয়তো জানা যাবে একটু চেষ্টা করলেই, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হলো, তখন বাংলাদেশের মাটিতে কতজন সামরিক বাহিনীর সদস্য কর্মরত ছিলেন, ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধ করেছেন, তবে বীরের অনুপাত দেখলে মনে হয় মূলত যুদ্ধ করেছিলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালী কর্মকর্তা ও সাধারণ সৈনিকেরা। বীরশ্রেষ্ঠদের ভেতরে একজনও সিভিলিয়ান নেই, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, যারা মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্ব হারিয়েছেন, এবং যারা সবচেয়ে বেশী আত্মত্যাগ করেছেন দেশের জন্য তাদের কেউই শ্রেষ্ঠবীর হওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন না, এটা ভাবতেই অবাক লাগলেও আমাদের মেনে নিতে হয় বিষয়টি। ১৫ই ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখবার জন্য ৭জনকে বীরশ্রেষ্ঠ ঘোষণা দেয়। তাদের একজন মতিউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে তার কৃতিত্বপূর্ণ অবদান আমি খুঁজে পাই না।

শুধুমাত্র পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সদস্য হিসেবে একটি প্লেন চুরি করে পালাতে গিয়ে নিহত হওয়া মানুষটিকে শ্রেষ্ঠ বীর হিসেবে মেনে নিতে হচ্ছে আমাদের, কারণ সম্ভবত সামরিক বাহিনী, নৌবাহিনীর একজন করে বীরশ্রেষ্ঠ থাকলেও বিমান বাহিনীতে কেউ ছিলো না বলেই। এটা মনভোলানো খেতাব। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ইতিহাস পড়ছিলাম, মতিউর রহমান পাকিস্তান থেকে বিমান চুরি করে পালানোর সময় নিহত হওয়ার ঘটনা বাদ দিলে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবদান প্রায় বিকল ৩টি বিমান দিয়ে নারায়নগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের একটি জ্বালানী তেলের মজুত শেষ হওয়া গোডাউনে বিমান হামলা চালানো। সে সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন ১০০ জনেরও কম অফিসার। তাদের নিয়েই বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে এরা কেউই বিমানবাহিনীর সদস্য হিসেবে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন নি।

তবে এরা সবাই পাকিস্তান বিমান বাহিনীর অফিসার ছিলেন। স্কোয়ার্ডন লিডার মোহাম্মদ হামিদুল্লাহ খান- ১১ নং সেক্টরের কমান্ডার উইং কমান্ডার খাদেমুল বাশার - ৬ নং সেক্টরের কমান্ডার ফ্লাইট লেফট্যান্যান্ট লিয়াকত ছিলেন ব্যাটালিয়ন এডজুট্যান্ট, কোম্পানি কমান্ডার ফ্লাইং অফিসার রউফ, ফ্লাইং অফিসার আশরাফ ফ্লাইট সার্জেন্ট শফিকুল্লাহ । সাব সেক্টর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়ার্ডন লিডার ওয়াহিদুর রাহিম, স্কোয়ার্ডন লিডার শামুর রহমান এয়ার কমোডোর আতাউর রহমান উইকিপিডিয়া থেকে বীরউত্তমদের তালিকাতে পেলাম B.D- 1300 Group Captain A K Khandker B.D. -3733 Wing Commander M. K. Basar 4295 Squadron Leader Sultan Mahmud 4921 Flight Lieutenant Samsul Alam 4974 Flight Lieutenant Badrul Alam 5121 Flight Officer Liakat Ali Khan বীর বিক্রম ছিলেন Flight Sergeant Syed Monsur Ali তাদের কারও নামই দেখা গেলো না এই তালিকাতে, তবে আমি নিশ্চিত তারা বেশ গুরুতর যুদ্ধ করেছিলেন। নইলে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখবার জন্য তাদের বীরশ্রেষ্ঠ, বীরউত্তম এবং বীর বিক্রম উপাধি দেওয়া হতো না। শতকরা হিসেবে অবশ্য আমার মনে হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ছিলো মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে সাহসিকতাপূর্ণ বাহিনী, তাদের প্রায় ১০ শতাংশ সৈনিক ও অফিসার বীরত্বসূচক খেতাব পেয়েছেন।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.