আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৈনিক সেনাবাহিনী হোক কিংবা বিডিআর হোক তারা সৈনিক, তাদের অপমান যাতে না হয়।

আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে

পত্রিকার পাতা আর নানাবিদ লেখালেখির ফলে বর্তমানের বাংলাদেশে বিডিআর নামের সাথে যেন একটা সামগ্রিক ঘৃণা জন্ম নিয়েছে। কিন্ত এটা আসলে ঠিক না, তারা সৈনিক, যেমন আমাদের সেনাবাহিনী সৈনিক। এবং আমরা চাই যাতে কোন সৈনিকের অপমান না হয়, সৈনিক ভুল করলে তাকে সৈনিকের মত মরণ দেয়া হোক। কলার ধরে চোর সাজিয়ে কিংবা রিমাইন্ডের নামে পিটিয়ে হাসপাতালের কোলে মরণের চেয়ে জঘণ্য কাজ আর হতে পারে না। আজ দিকে দিকে সেনাবাহিনীর লোকে লোকারণ্য তাই বলে সামগ্রিক বিডিআর ব্যবস্থার উপর যেন জাতির ঘৃণা জন্ম না নেয় সেদিকে সরকারের খেয়াল রাখা উচিত।

আমি জানি না, কারা দোষী, কেন দোষী, কিভাবে দোষী। বিডিআর বিদ্রোহের সময় তারা যেসব দাবী উত্থাপন করেছিল সেসবেরও তদন্ত হওয়া উচিত, যেভাবে তদন্ত হওয়া উচিত এতগুলো সেনা কর্মকর্তা হত্যার জন্য যদি অন্য কোন সংগঠন দায়ী থাকে তো তারও। কিন্তু এমন হতে পারে যে, আসলে এটা একটা বিদ্রোহ ছিল। আবার এও হতে পারে যে, কিছু সংখ্যক লোক এর জন্য দায়ী। জানি না, বানিজ্য মন্ত্রি ফারুক খানের পাগল বক্তব্য কিংবা তদন্তের নামে (যদি অত্যাচার হয়ে থাকে সকল বিডিআরের প্রতি) তা বন্ধ হওয়া উচিত।

সাধারন বিডিআর হয়রানী আর একটি বিদ্রোহের জন্ম দিতে পারে, আমাদের মনে রাখা উচিত সকল প্রকার বঞ্চনা ও ঘৃণা থেকেই বিদ্রোহের জন্ম হয়। অথবা ষড়যন্ত্র মুলক হত্যাকান্ড যদি হয়ে থাকে তবে, তা যেন জন সন্মুখে প্রকাশ করা উচিত কিন্তু পূর্ণ তদন্তের শেষে। তদন্তের মাঝে মাঝে অমুলক কথাবার্তার মাধ্যমে জন মনে সংশয়ের সৃর্ষ্টি আমাদেরকে মিশ্র অনুভুতির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। হত্যা অবশ্যই পৃথিবীর জঘণ্য কাজ গুলোর একটি কিন্তু এ হত্যা পরবর্তী পরিস্থিতি আর জঘণ্য যদি না তা সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রন ও বিণ্যাস করা যায়। আশা করি, সুষ্ট্য তদন্ত ও পর্যাপ্ত অনুসন্ধানের মাধ্যমে সঠিক ফলাফল বেরিয়ে আসুক।

দোষী দের শাস্তি হোক, কিন্তু একটি সামগ্রিক বাহিনীর যেন সম্নান হানী না হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।