আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিপস, বার্গার কোমল পানীয় প্রভৃতি জাঙ্ক ফুড গ্রহণে সতর্ক হোন...



শিক্ষিত মানুষ মাত্রই স্বশিক্ষিত, কিন্তু শিক্ষার মূল্য লক্ষ্য হলো দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন, মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কোন মানুষ নিজেকে বাঁচাতে আকুতি দিলেও নিজে যদি তার উদ্যোগ গ্রহণ না করে, তাহলে কেউ তাকে বাঁচাতে পারবে না। চিপস, বারগার ও কোমল পানীয় ইত্যাদি জাঙ্ক ফুড গ্রহণের কারণে বিশ্বে পাঁচ বছরের ২ কোটি ২০ লাখ ছেলে মেয়ে অস্বাভাবিক ভাবে মোটা হয়ে গেছে, অবধারিত ভাবে তারা হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগের আক্রান্ত হবার আশংকা। ফলে ও সমস্ত শিশুরা বড় হলেও স্থূল হয়ে যাবে এবং স্বাভাবিক ভাবে অনেক কাজই তারা করতে পারবে না। অকালে ঝরে পড়তে পারে অনেক মূল্যবান শিক্ষাজীবন স্বাস্থ্য সমস্যা হবে তাদের নিত্য সঙ্গী। সেকারণে ফাস্ট ফুড/জাঙ্ক ফুড পরিহার করে বাড়িতে তৈরি খাবার খেতে ছেলে মেয়েদের উৎসাহিত করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, কারণ বাড়ির তৈরি খাবারে থাকে মায়ের মমতা, থাকে না কোন ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি।

আর ভেজাল ও পণ্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ক্রেতা অধিকারের ভোগ করার জন্য কিছু দায়িত্ব পালনের জন্য ভোক্তাদের সংগঠিত হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। জাঙ্ক ফুড কোম্পানি গুলো মজাদার ও আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন প্রচার ও শিশুদের জন্য লোভনীয় পুরস্কার দিয়ে শিশুমনকে ভুলিয়ে জনগণের পকেট কেটে টাকার পাহাড় গড়লেও এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জাঙ্ক ফুড গ্রহণের কারণে বিগত ১০ বছরে পৃথিবীতে স্থূলতার হার বেড়েছে শতকরা ৫০%, যেখানে ১৯৯৫ সালে মুটিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ২০০ মিলিয়ন, সেখানে ২০০৩ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩০০ মিলিয়নে। পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশে মজাদার খাবার ও কোমলপানীয় সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকছে হাল প্রজন্মের কিশোর-কিশোরীরা। পৃথিবীতে খাদ্য পানীয় সংস্কৃতি এখন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির অন্যতম কারণ যা ওজন সংকট হিসেবে প্রকট আকারে রূপ নিয়েছে। যা আগামী প্রজন্মকে অলস, কর্মক্ষমতা হ্রাসের মেধাশক্তিহীন জাতিতে পরিণত করতে পারে।

তাই এখনই সময় এ সমস্ত ফাস্ট ফুডের বিরুদ্ধে আগামী প্রজন্মকে এর ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে অভিভাবক, শিক্ষক/শিক্ষিকা ও সচেতন মহলকে একযোগে কাজ করে জাঙ্ক ফুডের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। নাহলে সমূহ বড় বিপদের আশংকা রয়েছে। অসৎ ব্যবসায়ীরা অতি লাভের আশায় বাজারে তৈরি জাঙ্ক ফুড তৈরিতে নানা রকম ভেজাল, বাসি খাবার, সয়াবিনের পরিবর্তে মুবিলসহ নানা কেমিক্যাল দিয়ে থাকে যা শিশুর বাড়ন্ত শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কিন্তু ভোক্তারা কোন প্রকার গুণাগুণ বিবেচনা না করে, তা গ্রহণ করে মারাত্মক স্বাস'কষ্ট ঝুঁকির হুমকিতে পাড়ছে। এ জন্য দরকার ক্রেতা-ভোক্তা অধিকার বিষয়ে সচেতন তা ও পাড়ায়, মহল্লায় ক্রেতা সংগঠন গড়ে তোলা এবং অসৎ, সিন্ডেকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

সূত্র: আজাদি

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.