আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অদ্ভুতুড়ে: স্বর্ণ নগরী (মধ্যাহ্নের গল্প)

ঘাস ফড়িং এর স্বপ্নমালা
১ম বেলার গল্প সিবোলা এবং কুইভিরা সিবোলা এবং কুইভিরার কথা ইতিমধ্যে আমার লেখায় উঠে এসেছে। সেই স্বর্ণনগরী সিবোলা এবং স্বর্ণভূমি কুইভিরার কাহিণীর সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় আরেক দুঃসাহসিক স্পেনিশ অভিযাত্রী ফ্রান্সিস্কো ভাস্কুয়েজ ডি করনেডোর (১৫১০-১৫৫৪) গল্প। স্পেনিশ অভিযাত্রী ফ্রান্সিস্কো ভাস্কুয়েজ ডি করনেডো (১৫১০-১৫৫৪) করনেডো নতুন স্পেনের কলোনী ভিকেরি থেকে ছুটে গিয়েছিলেন সেই সদূর আমেরিকা বন্ধুবর এন্টোনি ডি মেন্ডোজের ডাকে সাড়া দিতে। সময়টা ১৫৩৯...... করনেডোর কাঁধে চেপেছে উপাখ্যানের সেই জায়গাগুলো স্পেন রাজের করায়ত্ত করার গুরুদায়িত্ব। করনেডোর যাত্রাপথ দীর্ঘ তিন বছর করনেডো এবং তাঁর লোকেরা উত্তর আমেরিকা চষে বেরালেন অর্থাৎ তাঁরা মেক্সিকো থেকে শুরু করে বর্তমানের এরিজোনা রাজ্য, নিউ মেক্সিকো, অক্লাহ্যাম এবং টেক্সাসে সাড়াশি অভিযান চালালেন।

কিন্তু কোথায় সেই সপ্ত স্বর্ণনগরী...... ও নগরী যে তখনো সোনার হরিণ । করনেডো হতোদ্যাম হলেন না...... পরিবর্তন আনলেন তাঁর পরিকল্পনায়। উত্তর বাদ দিয়ে এবার চললেন পুবের দিকে...... সময়টা ১৫৪১। এভাবে তাঁর বাহিনী নিয়ে তিনি পৌঁছে গেলেন ক্যানসাস পর্যন্ত...... কিন্তু তবুও অধরা রয়ে গেল সিবোলা এবং কুইভিরা...... ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে উঠল সবাই... শেষ পর্যন্ত ১৫৪২ সালে হতাশার চাদরে মুড়ে গেল সেই দুঃসাহসিক অভিযান। সমাপ্তি ঘটল এক অধ্যায়ের।

তবে সেই অভিযানটা যে শুধু ব্যর্থতার কাব্য ছিল তা কিন্তু নয়...... করনেডো এবং তাঁর লোকেরা একদম শূন্য হাতে ফিরে আসেননি মেক্সিকোতে। তাঁরা জয় করে ফিরেছিলেন তিয়া, জুনি এবং হুপি নামের আদিবাসীদের বিশাল ভূ-খন্ড। কিন্তু সব কথার শেষ কথা হল ...... ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে করনেডো সোনার ছোঁয়া পেলেন না। আজকের দিনে এটা জোর দিয়েই বলা যায় যে... সিবোলা এবং কুইভিরার মত নগরীগুলো অর্থনীতি দ্বারা চরমভাবে বিপর্যস্ত স্পেনের এক কাল্পনিক স্বপ্ন ছাড়া কিছু নয়। করনেডো এবং তাঁর অনুসারীরা আসলে পৌরাণিক পৃথিবীর এক মিষ্টি ফ্যান্টাসির পেছনে ছুটেছেন।

কিন্তু সোনার এমনি মাধুর্য্য গল্পগুলোর যৌক্তকতা কখনোই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়নি বরং শত শত বছর ধরে ফুলেফেপে ঢোল হয়েছে। কিন্তু এটাই কি শেষ কথা...... সব গোল বাধালো যে এল ডোরাডো। সব কাল্পনিকতাকে বাস্তবতার গঙ্গা জলে স্নানের দায়িত্ব যেন তুলে নিয়েছে এল ডারেডো। আজ থাক পরের পর্বে না হয় ঘুরে আসব এল ডারেডো থেকে। আমরা ধীরে ধীরে স্বপ্নের জাহাজটা বানায়...... তাড়াহুড়ো করে কেন মিছিমিছি মিষ্টি স্বপ্নটাকে তেতো করে ফেলব??...... আপনারাই বলুন।

শিল্পির চোখে এল ডোরাডো (চলবে)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।