আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনাব আলি আপনার কথা বুঝিনি......................

আর ভালোলাগে চাঁদনী রাত ......

কিছু সংখ্যক বিপথগামী এবং রাষ্ট্রদ্রোহী বিডিআর জওয়ান এর নৃশংশ হত্যাকান্ডে সমগ্রজাতি যখন শোকাভীভূত তখন আমাদের গণমাধ্যমে দেশের বরন্য ও বিশারদগণ ঘটনা নিয়ে বহু আলোচনায় ব্যাস্ত ছিলেন। সেসকল আলোচনায় ঘটনা নিয়ে অনেক কিছুই আলোচিত হয়েছে তবে আমাকে যা অবাক করেছে তা হলো কয়েকজন বিশারদের মন্তব্য। যেমন: ২ দিন পূর্বে গভির রাতে চ্যানেল ওয়ান এ প্রাক্তন একজন সামরিক কর্মকর্তা ঘটনা নিয়ন্ত্রনে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের দৃঢ় সমালোচনা করে বল্লেন যে এভাবে সময় ক্ষেপন না করে বিষয়টা সেনাবাহিনী দিয়ে নিষ্পত্তি করলে ক্ষয়ক্ষতি আরও কম হতো। তিনি আরও বল্লেন যে সম্পূর্ণ ঘটনা নিষ্পত্তি করতে সেনাবাহিনীর সময় লাগত মাত্র ২০ মিনিট ( ক্যান্টনমেন্ট থেকে পিলখানা আসতে ১৫ মিনিট আর অস্ত্র হাতে বিডিআর দমনে আরও ৫ মিনিট)। অথচ সরকার কোন উদ্দেশ্য এই পথে গেলেন যেটা সম্পূর্ণ ভূল সিদ্ধান্ত।

তিনি ক্ষোভের সাথে বল্লেন যে তিনিই চীফ-অব-ষ্টাফ হতেন কিন্তু এরশাদের জন্য পারেননি। তিনি আরও অনেক কথাই বলেছেন যা নিয়ে কথা বলার ধৈর্য নেই......। উনার কথা এবং মন্তব্য আমি প্রথমে বিষ+মিত (বিস্মিত) হয়েছি। কেননা উনার কথায় বর্তমান সরকারকে শুধুই খাটো করে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি একটি রাজনৈতিক দলের একজন প্রথম সারির নেতা।

উনার বক্তব্য নিয়েই উনাকে কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর প্রশ্নকারিরা পেয়েছেন বলে মনেহয় না। উক্ত সমরবিশারদ এর বর্ননা মোতাবেক যদি বর্তমান সরকার বিডিআর দমনে সেনাবাহিনী ব্যবহার করতেন তবে ওই সকল বিপথগামী ও রাষ্ট্রদ্রোহী জওয়ানরা পিলখানায় আটকথাকা সকল জিম্মীদের হত্যা করত তারপর গোলাগুলিতে মারাযেত আরও অনেক জওয়ান, যেহেতু ঘটনাস্থল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মধ্যে সেহেতু না চাইলেও উভয় পক্ষের দ্বারা সাধারণ মানূষ আক্রান্তহত - এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিহতে পারত তা কি তিনি অনুমান করতে পারেন? আবার ওই ঘটনার আঁচ দেশের অপরাপর সকল বিডিআর দফতর ও ক্যাম্পের জওয়ানদের কি আরও উত্তেজিত করতনা? এমনিতেই সর্বত্রই উত্তেজিত বিডিআর জওয়ানরা অস্ত্র হাতে নিয়েছিল মুখোমুখি দাড়িয়েছিল সেনাবাহিনীর। আর সেক্ষেত্রে দেশের সর্বত্রই সেনাবাহিনীকে নামতে হতো বিডিআর দমনে। সেই সংঘর্ষে আরও কত সেনাসদস্যসহ সাধারণ মানুষ মারাযেত তাকি তিনি একবারও ভেবেছেন? অবশ্য উনি এও বলেছেন যে বাঙালী হল ভিতুর জাতি - সেনাবাহিনীর সামনে একমিনিটও দাড়াতে পারতনা। অবশ্য আমরা বাঙালীরা ভিতু আর উনি কোন রাষ্ট্রের সাহসী পুরুষ সিটা তিনি বলেননি।

আমি ঠিক জানিনা কি কারনে উনি শান্তিপূর্ণভাবে চেষ্টা না করেই সংঘাতের পথে যেয়ে পুরো দেশকেই একটা অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যেতে পক্ষপাতি ছিলেন। ওই রাষ্ট্রদ্রোহী ঘটনায় আমরা যাদের হারিয়েছি তাদের আমরা কোনদিনও আর ফিরে পাবনা। যাদেরকে আমরা আমাদের মাঝে জীবিব ফিরে পেয়েছি তাদেরকে নিয়ে কিভাবে গেম খেলতে চাইলেন তিনি বোঝা গেলনা। এরপর পরদিনই বিএনপি-র প্রেসনোট এবং সেই পুরানো কথকথা। যেভাবে ঘটনাটি সরকার নিয়ন্ত্রন করেছেন তার কৌশল ভূল ছিল।

শুধুতাইনয় ঘটনার সংগে তারা ক্ষমতাসিনদের আতাতের অভিযোগ তুলছেন আবার মধ্যস্থাকারীরা নতুন এবং তরুন সেকথাও এসেছে। সবকিছুর পরে এটা বুঝতে কোন অসুবিধা হয়নাযে শুধু বিরোধীতার জন্যই একথাগুলো বলা। কিন্তু উনারা কি একবারও ভাবলেন না যে উনাদের এইসব কথামালার প্রভাব সুন্দর নয়। শুধু বিরোধীতার জন্যই নয় বরং দেশ ও জাতির জন্য রাজনীতি করতে ব্যর্থ হলে তারা আস্তাকুরে নিক্ষিপ্ত হবেন। এই বোধদয় থেকেই সকলের রাজনীতি করা উচিৎ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।