আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শর্তহীন সাধারন ক্ষমার কতল



পিলখানায় যা ঘটে গেলো. তাকে গণহত্যা না বলে উপায় নেই। আর বিশ্বাস করা কঠিন এটা আমাদের বিডিআর জোয়ানদের কাজ। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ভাড়াটে খুনী এসে এই পাশবিকতা ঘটিয়ে চলে গেছে। যা কিছু অপরাধ নৃশংসতা ঘটলো তা ৭১ এর যুদ্ধাপরাধের সাথে তুলনীয়। খুনীকে কোনো সমবেদনা নয়।

আর তথাকথিত ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে যে অদৃশ্য মহল বিশেষ এই নাশকতা ঘটালো তাদের ঘৃনা করার ভাষা নেই। কয়েকটা বিষয় এখানে তুলে ধরছি একেবারে নিজস্ব বিবেচনা থেকে। আমাদের ইমেচিউর মিডিয়ার কল্যাণে একতরফা বিদ্রোহের কথা ঘটা করে প্রচারের পর এমনকি সাধারন মানুষ কাঁদতে লাগলো বিডিআরের দু:খে। ভেতরে কি হচ্ছে, জিম্মিদের অবস্থা কি, সেদিকে কোনো টার্ন না নিয়ে আসলো সাধারন ক্ষমার ঘোষনা। ৎসাধারন ক্ষমা ভেতরের বন্দিদের ছেড়ে দেয়ার আগে সাধারন ক্ষমা ঘোষণা এবং এর কিছুক্ষণ পর ব্ল্যাক আউট, এই দুই ঘটনার মধ্যে অনেক কিছুই লুকিয়ে আছে।

হতে পারে ঘটনার শুরুর দিন থেকেই গণহত্যা চালানো হয়েছে। তবে বড় ধরনের একটা হ্যাভক ঘটেছে সাধারন ক্ষমা ঘোষণার পর। সাধারন ক্ষমা ঘোষনার পর বন্দি আরো অনেককে হত্যা এবং লুটপাটসহ ধর্ষনের মতো অপরাধগুলো সম্প্ন্ন হয়েছে। এটা একজন নির্বোধও বুঝবে, যে যায়েজ করে দেয়ার পর অপরাধীরা আরো চাঙ্গা হয়ে তৎপর হয়ে উঠে। সাধারন ক্ষমা ঘোষণার পর এক দুই ঘন্টায় অনেক কিছুই হয়েছে যা এড়ানো যেতো।

চারপাশে সামরিক বাহিনীকে মোতায়েন করে ঘিরে ফেলা যেতো। গুরুত্ত্ব দেয়া হয়েছে শুধু প্রবেশমুখগুলোতে। অথচ, দেয়াল টপকে যখন খুনিরা পালাচ্ছে, সেটা নিয়ন্ত্রনে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। সবারই বোধয় ধারনা হলো, অস্ত্রসমর্পন করে সুবোধ বালক সেজে দাড়িয়ে থাকবে খুনিরা। হলো ঠিক উল্টোটা।

প্রশ্ন উঠতে পারে, সাধারন ক্ষমা ঘোষণা না করে সরকার কি করতে পারতো?সময়ের দাবী? ইত্যাদি? আসলে কি তাই?ব্লাডি মার্ডারাররা যা কিছু দুদিনে করেছে, তা কি বন্ধ করা গেছে?পৃথিবীর সবখানে কোথাও জিম্মির ঘটনা ঘটলে আগে চজম্মিদের অবস্থার ওপর গুরুত্তব দেয়া হয়, আর আমাদের এখানে ডাল-ভাতের গুরুত্ত্ব আগে! বন্দিরে বিনিময় শর্তে সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করা হলে অনেককে লাশ হতে হতো না, অনেক লাশকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যেতো। অনেক মা বোনের ইজ্জ্বত বাঁচতো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।